আমের জাত সম্পর্কে জানুন - চিনুন পরে কিনুন

আমের জাত চিনিনা এমন অনেকেই আছি। বাংলাদেশের আমে রয়েছে বিচিত্রতা এবং র‍য়েছে সমাহার। আম সারা পৃথিবীতেই কম-বেশী পাওয়া যায়। কিন্তু স্বাদে রয়েছে ভিন্নতা। এই স্বাদের উপর ভিত্তি করে রয়েছে হরেক রকমের আম। কিন্তু আপনি বিনা স্বাদ গ্রহণ করে চিনবেন কীভাবে? কোনটি কোন জাতের আম তা চিনতে বিড়ম্বনার শেষ নেই।

আমের জাত সম্পর্কে জানুন-চিনুন পরে কিনুন


অধিকাংশ ক্রেতাই আম চিনতে ভুল করেন। আম কেনার সময় ও পরে অনেক ক্রেতাই বুঝতে পারেন না কোন জাতের আম কিনেছেন। বাজারে হরেক রকমের আম হরেক রকমের দাম। যারা আমের জাত বা কোন কিছুই চিনেন না তাদের জন্য আজকের এই আর্টিকেলে সেরা ১০ জাতের আম সম্পর্কে জানবেন ও চিনবেন।

সূচীপত্রঃ আমের জাত সম্পর্কে জানুন-চিনুন পরে কিনুন

আমের সমাহার গুলোর মধ্যে গোপালভোগ আমের তুলনা নেই। সুমিষ্টি স্বাদে অনন্য এই গোপালভোগ আম সবার আগে। গোপালভোগ আম দেশের প্রায় সব জায়গায় পাওয়া যায়। কিন্তু উৎকৃষ্ট জাতের গোপালভোগ আম দেশের উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নাটোরে পাওয়া যায়। এই আম মূলত মে মাসের ২য় সপ্তাহ থেকে অর্থাৎ জৈষ্ঠ্য মাসের প্রথম থেকে পাকতে শুরু করে। গোপালভোগ আম দেখতে মাঝারি আকৃতির লম্বা এবং অনেকটাই গোলাকার। এই আমের বুক অনেকটাই মাঝারি এবং গড়ে এই আম লম্বাই ৮.৬ সে.মি হয়ে থাকে। 

এই আমের গড় ওজন ২১০ থেকে ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই আম কেজিতে অর্থাৎ এক কেজিতে ২-৫ টা আম ধরে। এই আমের বোঁটা শক্ত এবং যখন এই আম পেকে যায় তখন এই আমের বোঁটার আশেপাশে হলুদ রং ধারণ হয়। এছাড়াও এই আম পাকার ফলে আমের গায়ে হলুদ ছোপ ছোপ দাগ থাকে। এই আমে কোন প্রকার আঁশ নেই,খেতে সুস্বাদ্য ও মিষ্টি।

আশ্বিনা আম

আশ্বিনা আম আমের মধ্যে সবথেকে নাবি জাতের আম। এই আম দেশের উত্তরাঞ্চলের চাঁপাইনবাবগঞ্জে বেশি পাওয়া যায়। এছাড়াও রাজশাহী, নঁওগা জেলায়ও ভালো পরিমাণে পাওয়া যায়। এই আম মূলত যখন অন্য গাছের মুকুলে পুরো বাগান ভরে উঠে সেই সময় এই আশ্বিনা আমের মুকুল সোনালি রং নিয়ে হাজির হয়। গাছে মুকুল আসার ৫-৬ মাস পর এই আম পেকে যায়। এই আম সাধারণত বর্ষাকালে পাকে। এই আমটি পাকা অবস্থায় কাঁচার মতো দেখা যায়।

এই আশ্বিনা আম একেকটি গড়ে ৪০০-৫০০ গ্রামের হয়ে থাকে। ১কেজিতে এই আম ২-৩ টা ধরে। এই আম তুলনামূলক কম মিষ্টি। এই আম কাঁচা অবস্থায় খেতে টক আর পাঁকা অবস্থায় অনেকটা আনারসের মতো স্বাদ। সাধারণত এই আম আচারের জন্য বেশি ব্যবহার করা হয়। এই আম দেখতে অনেকটা ফজলি আমের মতো দেখতে। নিচের দিকে অনেকটা চুচালো আকৃতির। এই আমের খোসা মাঝারি মোটা। এই আমে রয়েছে আঁশ এবং এই আঁশ সাধারণত হলুদ ও হলুদাভাব হয়ে থাকে। 

আরো পড়ুনঃ সবরি কলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

হাড়িভাঙ্গা আম

হাড়িভাঙ্গা আম বাংলাদেশের আঁশবিহীন আমগুলোর মধ্যে অন্যতম সুস্বাদু আম। এই হাড়িভাঙ্গা আম মূলত রংপুরে বেশি পরিমাণে উৎপাদন করা হয়। এই হাড়িভাঙ্গা আমের সাথে আঁটি আমের সাথে অনেক মিল রয়েছে। এই আম জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে বাজারে পাওয়া যায়। এই আমের বঁটার দিকের অংশ চওড়া এবং নিচের দিকে চিকন। এছাড়াও এই আমে কোন প্রকার আঁশ নেই বললেই চলে। এই জন্য এই আম বেশি পেকে গেলে খাওয়া যায় না। ভেতরে অনেকটা জেলির মতো ও নরম হয়ে যায়।

হাড়িভাঙ্গা আম একেকটি গড়ে ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রাম হয়ে থাকে। প্রতি কেজিতে এই আম ২ থেকে ৩ টা পর্যন্ত ধরে। তবে মাঝারি সাইজেরও এই আম রয়েছে যেগুলোর গড় ওজন ৩০০-৩২৫ গ্রাম। এই আম দেখতে মাংশাল, গোলাকাএ ও একটু লম্বা। এই আমের শাঁস অনেক ছোট এবং কোন প্রকার আঁশ নেই। এই আমের বিশেষ দিক হলো এই আম অনেকদিন হয়ে গেলেও খোসা কুচকে গেলেও ভিতরে সহজে পচে যায় না।

ফজলি আম

ফজলি এর অপর নাম ফকিরভোগ। এই আমের চাষ বেশিরভাগ রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোরে, নঁওগা, সাতক্ষীরা, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হয়ে থাকে। তবে উৎকৃষ্ট জাতের,প্রসিদ্ধ ও উন্নতমানের ফজলি রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলে হয়ে থাকে। এই আম সাধারণত সকল আমের শেষে হয়। এই আম জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পাকা শুরু হয় এবং তা আগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত পাওয়া যায়। এই আম সকল আমের চেয়ে বড় ও লম্বা।

ফজলো আম প্রত্যেকটি গড়ে ৬০০ থেকে ৬৫০ গ্রাম হয়ে থাকে। যা প্রতি কেজিতে ২ টি করেই আম ধরে। তবে এই ফজলি আম একেকটি ১কেজি ওজনেরও হয়ে থাকে। এই আম লম্বায় সাধারণত গড়ে ৯.৫ সে.মি থেকে ১৩.৮ সে.মি পর্যন্ত হয়ে থাকে। ফগলো আমের খোসা পাতলা হয়ে থাকে, দেখতে কিছুটা চ্যাপ্টা ও বেশ লম্বা। ছিট অবস্থায় এই আমের রং কালো সবুজ থাকলেও বড় হওয়ার সাথে সাথে তার রং গাঢ় সবুজ হয়ে যায়। এই আম পাকার সময় হালকা হলুদ বর্ণ ধারণ করে। এই আম মূলত শাস হলুদ,আশবিহীন,রসালো,সুমিষ্টি ও সুস্বাদু   

লক্ষণভোগ বা বারি আম-২

লক্ষণভোগ আম আমাদের কাছে লখনা আম নামেই বেশি পরিচিত। এই আম বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের চাঁপাইনবাবগঞ্জ,রাজশাহী অঞ্চলে বেশি চাষ হয়। এই আম জিন মাসের প্রথম দিক হতে পাওয়া যায়। এই আম চেনা সবচেয়ে সহজ। আর সেই সহজ পদ্ধতিটি হলো এই আমের গায়ে একধরণের নাক আছে। এই আম যখন পাকে তখন এটি হলদে রং ধারণ করে। এই আমের খোসা কিছুটা পাতলা কিন্তু আঁটি পাতলা। এই আম মিষ্টি কম তাই এই আমকে ডায়াবেটিস আমও বলা হয়।

লক্ষণভোগ আম পাকার পরে ৬-৮ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে। এই আম অগ্রিম প্রজাতির হওয়ায় মৌসুমের শুরুর দিকে পাওয়া যায়। এই আমের প্রত্যেকটির গড় ওজন ৩০০-৩৫০ পর্যন্ত হয়ে থাকে। যার জন্য প্রতি কেজিতে এই আম ৪-৫ টির মতো ধরে।

আমের জাত সম্পর্কে জানুন-চিনুন পরে কিনুন
খিরসাপাত/ক্ষিরসাপাত আম

খিরসাপাত আম উন্নতজাতের আম গুলোর মধ্যে অন্যতম সুস্বাদু আম। এই আমকে অনেকেই হিমসাগর আম নামেও চিনে কিন্তু তা একদমই ধারণা। খিরসাপাত আম ও হিমসাগর আম দেখতে অনেকটা একই হলেই এদের জাত ভিন্ন। এই খিরসাপাত আম উত্তরবঙ্গের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর, বগুড়া, নাটোরসহ দেশের সাতক্ষীরা অঞ্চলে এই আম এর চাষ ভালোই হয় থাকে। এই আম জুন মাসের শুরু থেকেই পাকতেই শুরু করে। এই আম সংগ্রহের পর ঘরে ৬-৮ দিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যেতে পারে। 

এই আমটি দেখতে গোলাকার আকৃতির মাঝারি সাইজের। আমটি লম্বায় প্রায় ৮সে.মো এবং প্রস্থা প্রায় ৭ সে.মি। এই আমের প্রতিটির গড় ওজন ২৬৪-২৮০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। যা প্রতি কেজিতে প্রায় ৪-৫ টা পর্যন্ত ধরে। এই আমের বোঁটা বেশ শক্ত ও মোটা। এই আমের ত্বক অনেক মসৃণ এবং পাকলে বোঁটার আশেপাশে রং হলুদাভাব ধারণ করে। এই আমের মধ্যের অংশ থেকে নিচের অংশ হালকা সবুজ। এই আমে কোন প্রকার আঁশ নেই এবঢ আমটির শাঁস হলুদাভাব। এই ফলটি অত্যন্ত মিষ্টি,রসালো ও সুস্বাদু।

হিমসাগর আম 

হিমসাগর আমের জনপ্রিয়তা এতটাই বেশি যে এই আমকে আমের রাজাও বলা হয়ে থাকে। এই আম দেশের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা জেলাতে চাষ করা হয়। এই আমের স্বাদ ও ঘ্রান অন্য আমের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন। হিমসাগর আম ল্যাংড়া ও আল্পফন্স আমের চেয়ে স্বাদে অনেকটা উন্নত ও সুস্বাদু। এই হিমসাগার আম জুন মাসে পাকতে শুরু করে এবং জুন মাসের শেষের দিকে বাজারে পাওয়া যায়। এই আমের ৭৭ শতাংশই আম বাকি ২৩ শতাংশ আমের আটি।

এই আম কিছুটা লম্বা আকৃতির। এই হিমসাগর আমের প্রত্যেকটির গড় ওজন ২৫০-৩৫০ গ্রাম হয়ে থাকে। যা ১ কেজিতে ৩-৪ টা পর্যন্ত ধরে। এই আমের বোঁটা বেশ শক্ত ও মোটা হয়। কাঁচা অবস্থায় এই আম সবুজ রং ধারণ করে পাকলে হালকা হলুদ ও হালকা সবুজ মিশ্রিত থাকে। এই আম পাকার সময় বোটার আশেপাশে হলুদভাব ধারণ করে। এই আমের ভিতরের রং হলুদ ও কমলা। এই আমে কোন প্রকার আঁশ নেই। এই ফলটি অত্যন্ত মিষ্টি,রসালো ও সুস্বাদু।

ল্যাংড়া আম

ল্যাংড়া আম মৌসুমের মাঝের সময় পাওয়া যায়। বাংলাদেশের সব জেলাতেই এই আম চাষ করা হয়ে থাকে।তবে এই আম উত্তরবঙ্গের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর অঞ্চলে এই আম এর চাষ ভালোই হয় থাকে। তাই উৎকৃষ্ট জাতের ল্যাংড়া আম এই অঞ্চল থেকেি বেশি পাওয়া যায়। এই ল্যাংড়া আম জুন মাসের ১৫ তারিখের দিকে বাজারে পাওয়া যায় এবং তা জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত পাওয়া যায়। এই আম পাকার পর ৮-১০ দিনের মতো সংগ্রহ করে রাখা যায়।

এই আমের প্রত্যেকটির গড় ওজন ২০০-৭০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। যা প্রতি কেজিতে প্রায় ২-৫ টা পর্যন্ত ধরে। এই আমটি দেখতে অনেকটা ডিম্বাকার গোলাকৃতি। কাঁচা অবস্থায় এই আম সবুজ রং ধারণ করে থাকে কিন্তু পাকা অবস্থায় এই আম হালকা সবুজ থেকে হালকা হলুদ রং ধারণ করে। এই আমের নোটা চিকন ও অত্যন্ত পাতলা। এই আমের শাঁস হলুদাভাব। এই ফলটি অত্যন্ত মিষ্টি,রসালো ও সুস্বদু।

রানি পছন্দ আম

রানি পছন্দ আম আশু বা আগাম জাতের আম। এই আমের অনেক কদর রয়েছে। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোরে এই আম চাষ করা হয়। এই আমটি মধ্য ১জুন থেকে মধ্য জুন পর্যন্ত এই আম বাজারে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। এ আম বছরে খুব অল্প সময় পর্যন্ত পাওয়া যায়। এই আমটি দেখতে আকারে ছোট ও গোলাকার। ফলটির বোঁটা শক্ত, খোসা পাতলা, আঁশ নেই, ত্বক মসৃণ। পরিপক্ক অবস্থায় হালকা সবুজ এবং পাকলে হলুদ রং ধারণ করে।

এই আমের প্রত্যেকটি গড় ওজন ১২৫-১৫০ গ্রাম। প্রত্যেক কেজিতে এই আম ৮-১০ টি ধরে। পরিপক্ক অবস্থায় এই আম হালকা সবুজ এবং পাকলে হলুদ রং ধারণ করে। অত্যন্ত মিষ্টি সুগন্ধযুক্ত এই রানিপছন্দ আম। ফলটির চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এই আমের ৬৫ ভাগ ই আম বাকি ২৫ ভাগ আটি। ই ফলটি অত্যন্ত মিষ্টি,রসালো ও সুস্বদু     

আম্রপালি আম

আম্রপালি একপ্রকার নাবি জাতের আম। এই আম্রপালি আম শংকর জাতের আম। আম্রপালি সাধারণত দুইটি জাতের হয়ে থাকে। একটির গড়ন ছোট অপরটির গড়ন তুলনামূলক বড়। এই আম আষাঢ় মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে পাকতে শুরু করে। এই আম কেনার সঠিক সময় ২৮ জুন থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। ফুল আসা থেকে শুরু করে আম পাকতে সময় লাগে প্রায় ৫ মাস।

আমের ঘ্রাণ শুকে ভালো আম চেনার উপায় 

ফল টাটকা কি না বুঝতে নিজের ঘ্রাণশক্তিকে কাজ লাগান। আপনার ঘ্রাণশক্তির উপর ভরসা রাখুন। যেহেতু আমের রয়েছে সমাহার ঠিক তেমনি রয়েছে একেক আমের একেক ঘ্রাণ। আমের বোঁটার কাছ থেকে যদি ফলের মিষ্টি গন্ধ বের হয় তাহলে সেই আম ভালো সেই আম কিনুন। খুব জোরালো, টক বা অ্যালকোহলিক গন্ধ বের হয় তাহলে সে আম খারাপ। নরম আমের গায়ে আঙ্গুলের মাথা দিয়ে টিপে টিপে দেখুন। পাকা আম সুন্দর নরম হবে।

আমের জাত সম্পর্কে জানুন-চিনুন পরে কিনুন

তবে যদি আঙ্গুলের চাপে গর্ত হয়ে যায় তাহলে সেই আম কিনবেন না। কারণ সেই আম বেশিদিন খেতে পারবেন না। যদি বাড়িতে এক সপ্তাহ রেখে খেতে চান তাহলে একটু শক্ত দেখে আম কিনুন।

আমাদের শেষকথা

আম আমদের সবার পছন্দের একটি ফল। আম আপনি তখনই কিনতে পারবেন বা কিনে সফল হবেন যখন আপনার আম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকবে। আজকের এই আর্টিকেলে আপনি কীভাবে আম চিনবেন এভং কিনে জিতবেন সে সকল টেকনিকস আলোনা করেছি। আশাকরি আজ থেকে যাদের আম কিনতে  বিড়ম্বনা হয়েছে তারা খুব সহজেই আম কিনতে পারবেন। আর হ্যাঁ অবশ্যই মনে রাখবেন রাজশাহী ও চাপাইনবাবগঞ্জের কিন্তু সেরা। কিনতে ভুল করবেন না যেন।

এইরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। কারণ আমরা আমদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরণের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।     


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আবির ইনফো টেকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url