ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

দিন যত যাচ্ছে মানুষ তত উন্নত হচ্ছে। প্রযুক্তির ওপর বাড়াচ্ছে নির্ভতা। আজকাল সকল সেক্টরে অনলাইন মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে তাদের সকল সেবা প্রদান করে যাচ্ছে। ব্যাংকিং সেক্টরও তার ব্যাতিক্রম কিছু নয়। আজকাল অনেকেই তাদের মাসিক বেতন ব্যাওকের মাধ্যমে নিয়ে থাকেন। এর জন্য অবশ্যই একটা ব্যাংক একাউন্ট প্রয়োজন।

এ ক্ষেত্রে আপনার হাতে যদি ব্যাংকে গিয়ে একাউন্ট খোলার মতো হাতে যদি পর্যাপ্ত সময় না থাকে এবং কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই ঘরে বসে একাউন্ট খুলতে চান এই পোস্টটি তাহলে আপনার জন্য অনেক সহায়ক হবে। 

পেজসূচী পত্রঃ

ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

প্রথমত আপনার ঠিক করা দরকার আপনি কোন ব্যাংকে একাউন্ট খুলবেন। সরকারি নাকি বেসরকারি ব্যাংক! বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে সেরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ৪৭ টার মতো ব্যাংক রয়েছে। এই ব্যাংক গুলোকে নূলত তফসিলী ব্যাংক বলা হয়। আপনি কোন ব্যাংকে একাউন্ট খুলবেন তা আপনার একান্ত ব্যাক্তিগত বিষয়। আপনি যে ব্যাংকে একাউন্ট খুলবেন সে ব্যাংক আপনার কর্মস্থলের দূরত্ব, অনলাইন সুবিধা, কার্ড সুবিধা, দেশের বিভিন্ন স্থানের শাখা বিস্তার ইত্যাদি বিষয়গুলো অবশ্যই বিবেচনায় রাখবেন। আপনি যদি সুদমুক্ত ব্যাংকিং চান, তাহলে আপনি ইসলামি ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে পারেন। তবে আজকাল প্রায় বাংকে ইসলামিক একাউন্ট খোলার ব্যবস্থা রয়েছে।

ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কি কি লাগে?

ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য পূর্বের নিয়মকানুন অনুযায়ী শাখায় গিয়ে বেশ কিছু কাগজপত্র প্রদান করা লাগে -

একাউন্ট হোল্ডার অর্থাৎ যার নামে একাউন্ট খোলা হবে ও নমিনি উভয়ের জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মসনদের ফটোকপি, পাসপোর্ট, একাউন্ট হোল্ডার ও নমিনি উভয়ের সদ্যতোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি। 

ব্যাংক কর্তৃক প্রদানকৃত ব্যাংক একাউন্ট ওপেনিং ফর্ম যা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বিনামূল্যে প্রদান করা হয়ে থাকে।

তবে অনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চাইলে এসব কাগজপত্রের কোন প্রকার ঝামেলার হয় না। অনলাইনে যে ফর্ম প্রদান করা তা ভালোভাবে পূরণ করে সকল প্রকার তথ্য প্রদান করে সাবমিট করলে খুলতে পারেন খুব সহজেই অনলাইন ব্যাংক একাউন্ট।  

ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে?

ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কোন প্রকার ফি বা চার্জ দিতে হয় না। বাংলাদেশের ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো একাউন্ট খোলার জন্য কোন প্রকার ফি নিয়ে থাকে না। তবে নতুন ব্যাংক একাউন্ট খোলার পরে তা এ্যাক্টিভেট করতে নূন্যতম পরিমাণ টাকা জমা দিতে হয়। এই টাকার পরিমাণ ১০০-১০০০ টাকা হতে পারে যা আপনার একাউন্টে জমা হয়ে থাকবে। পরে যে কোন সময় তা উত্তোলন করতে পারবেন।

যে সকল ব্যাংক অনলাইন সেবা ও একাউন্ট খোলা যায়

বাংলাদেশের অধিকাংশ ব্যাংকই অনলাইনে একাউন্ট খোলার সুবিধা দিচ্ছে ও তাদের সেবা নিশ্চিত করছে। কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যাংকের নাম নিচে তুলে ধরা হলোঃ

  • সোনালি ব্যাংক লিঃ
  • ডাচ বাংলা ব্যাংক লিঃ
  • মিচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিঃ
  • ইসলামি ব্যাংক লিঃ
  • ইউসিবি ব্যাংক লিঃ
  • আইএফআইসি ব্যাংক লিঃ
  • প্রাইম ব্যাংক লিঃ
  • দ্যা সিটি ব্যাংক লিঃ
  • মিডল্যান্ড ব্যাংক লিঃ 
  • ব্যাংক এশিয়া লিঃ 
  • স্যোশাল ইসলামি ব্যাংক লিঃ
  • ন্যাশনাল ব্যাংক লিঃ

অনলাইনে ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

প্রতিটি ব্যাংকের অনলাইনে একাউন্ট খোলার জন্য তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে আপনার কাঙ্ক্ষিত ব্যাংক একাউন্ট খোলার জন্য ব্যাংকের বেধে দেওয়া নিয়ম অনুসরণ করতে হবে। একেক ব্যাংকের একেক নিয়ম কানুন রয়েছে তবে সকল ব্যাংকের কিছু সাধারণ নিয়ম কানুন রয়েছে। আমরা এখন সেই নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানবো-

নিয়মঃ
প্রথমত আপনি যে ব্যাংকে একাউন্ট খুলবেন সেই ব্যাংকেএ ওয়েবসাইট বা অ্যাপে প্রবেশ করতে হবে। এরপর সেখানে যেসব তথ্য চাওয়া হবে তা ভালোভাবে পূরণ করে সাবমিট করতে হবে। 

কিছু ব্যাংকের অনলাইনে একাউন্ট খোলার জন্য এই ধাপটি বিশেষভাবে প্রযোজ্য। অনলাইনে সফলভাবে একাউন্ট খোলার পর সেই ব্যাংক থেকে একজন প্রতিনিধি কল দিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হন অথবা আপনাকেই ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে একাউন্টটি অ্যাক্টিভেট করে নিতে হয়।

অনলাইনে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

১.প্রথমত প্লে-স্টোর অথবা অ্যাপ স্টোর থেকে Nexus Pay অ্যাপটি ফোনে ইনস্টল করে নিতে হবে।

২.এরপর আপনার ব্যাক্তিগত মোবাইল নম্বর দিয়ে Nexus Pay একাউন্ট তৈরি করতে হবে। পরে অ্যাপের বাম পাশের মানুবারে ক্লিক করে Account Opening অপশনে দেখাবে সেখানে, সেখানে ক্লিক করতে হবে।

৩.ক্লিক করার পর আপনার নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে NID Verification ধাপটি সম্পূর্ণ করে নিতে হবে। এরজন্য যার নামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা হবে তার পরিচয়পত্রে কার্ডের উভয়পাশের ছবি তুলে সাবমিট করতে হবে।

৪.এখন ব্যাংক একাউন্ট হোল্ডারের বভাক্তিগত তথ্য দিতে হবে। অনেকক্ষেত্রে NID Verification করলে অটোমাটিক অনেক তথ্য ইনপুট হয়ে যায়। তবে সেখানে কোন ভূল তথ্য প্রদান করা হলে সেই তথ্যগুলো এড়িয়ে যায় তখন সেগুলো পুনরায় পূরণ করে পরবর্তী ধাপে যাতে হবে। 

৫.একাউন্ট হোল্ডারের সকল তথ্য প্রদান করা শেষে যিনি নমিনি তার তথ্য দিতে হবে। সকল তথ্য সঠিকভাবে দেওয়ার পর অ্যাকাউন্ট ওপেনিং Pending দেখাবে।

৬.উপরের দেখানো সকল ধাপগুলো সফলভাবে সম্পূর্ণ করলে আপনার একাউন্ট খোলার কাজ শেষ।এবার আপনার নিকটস্থ ডাচ বাংলা ব্যাংকে গিয়ে সেখানকার দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা সাথে সাথে আপনার একাউন্টটি চালু করে দিবেন।

আমাদের শেষ কথা

আশাকরি উপরোক্ত আলোচিত বিষয়টি খুব ভালো ভাবে বুঝতে পেরেছেন।তাই যদি আপনার ব্যক্তিগত কোন ব্যাংক একাউন্ট না থেকে থাকে তাহলে উপরে আলোচিত নিয়ম অনুযায়ি এখনি একাউন্ট তৈরি করে নিন।    

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আবির ইনফো টেকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url