বাংলাদেশে দিন কে দিন বেড়েই চলেছে জনসংখ্যা সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেকারত্ব। বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্মের কাছে বেকারত্ব থেকে বিরুপ এক মনোভাব তৈরি হচ্ছে। এই বেকারত্বের অভিশাপ থেকে ফ্রিল্যান্সার পেশা এই বেকারত্বকে গ্রাস করতে পারে। এতে কমবে বেকারত্ব কমবে আর্থিক অনটন।
বাংলাদেশে দিন কে দিন বেড়েই চলেছে জনসংখ্যা সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বেকারত্ব। বাংলাদেশের বর্তমান প্রজন্মের কাছে বেকারত্ব থেকে বিরুপ এক মনোভাব তৈরি হচ্ছে। এই বেকারত্বের অভিশাপ থেকে ফ্রিল্যান্সার পেশা এই বেকারত্বকে গ্রাস করতে পারে। এতে কমবে বেকারত্ব কমবে আর্থিক অনটন।
ফ্রিল্যান্সিং জগতে আপনার দরকার শুধু একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর দক্ষতা অর্জন করা। ফ্রল্যান্সিং জগৎ বেশ অনেক কয়েকটা সেক্টর নিয়ে গঠিত। যার মধ্যে ফটো এডিটিং, ভিডিও এডিটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন, কোডিং, এনিমেশন মেকিং, ব্লগিং, ওয়েবসাইট তৈরি সহ ইত্যাদি সকল অনেক প্রকারের কাজ পেয়ে যাবেন। এর মধ্যে বেশকিছু যা আপনার সম্পূর্ণ বায়ার এর ওপর নির্ভর করে থাকতে হয় আর কিছু যা আপনি নিজে ঘরে বসে আয় করতে পারবেন। যাকে আমরা প্যাসিভ ইনকাম বলে থাকি।
পেজসূচী পত্রঃ ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার প্রপার গাইডলাইন।
চলুন শুরু করা যাক ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গাইডলাইন
ফ্রিলয়ান্সিং কি?
ফ্রিল্যান্সিং মূলত একধরণের পেশা যেই পেশায় আপনি ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এই পেশাটি অনেকটা চাকরির মতোই পার্থক্য হলো চাকরিতে আপনার নিজেকে অন্য একজনের অধীনে কাজ করতে হবে আর এই পেশায় আপনার কারো অধীনে থাকতে হবে না। আপনার ব্যাক্তি স্বাধীনতা অনুযায়ী আপনি কাজ করতে পারবেন যা আপনি অন্য কোন পেশায় পাবেন না। দেখা গেলো আপনার কাজ করতেভ ইচ্ছা করলো না, আপনি চাইলে কাজ না করতেও পারেন। আপনার নির্দিষ্ট কোন ইমপ্লয়ার নেই। যখন যে বায়ারের কাজ করবেন সেই সময় আপনি সেই বায়ারের ইমপ্লয়ার।
চাকরির সাথে আরেকটি পার্থক্য রয়েছে তা হলো কাজের স্থান। কাজের স্থান এর যে পার্থক্য সেটি আপনি যে কোন জায়গা থেকে বায়ারের কাজ করতে পারবেন। এককথায় বলতে পারেন আপনার বাসাটাই এক প্রকার অফিস। আপনি নিজেও জানেন আমাদের দেশে দক্ষতার কদর কতটুকু সেই জায়গা থেকে আপনি চাইলে আজই শুরু করতে পারেন মুক্ত পেশা অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং।
কিভাবে শুরু করবেন?
অনেকের ফ্রিল্যান্সোং শেখার ইচ্ছা থাকা শর্তেও তা শিখতে পারেন না কারণ প্রথমত আপনার এই বিষয় নিয়ে কোন জ্ঞান নেই দ্বিতয়ত আপানর গাইডলাইন নাই কিভাবে শুরু করবেন। প্রথমেই আলোচনা করেছি আপনাকে সর্বপ্রথম একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হবে।আপনি যে কোন একটি বিষয়কে টার্গেট করে তার ওপর দক্ষতা অর্জন করুন।আপনি যে বিষয়টি বেছে নিবেন তার আগে অবশ্যই আপনার নিজেকে বুঝতে হবে সেই বিষয়ের ওপর আপনার নিজের আগ্রহ কেমন, কেমন বুঝছেন, কেমন পারছেন।
যদি আপনার নিজের কাছে মনে হয় আপনি নিজে ঠিকঠাক সবকিছু রিলেটেড করতে পারছেন সেক্ষেত্রে আপনি কাজ শুরু করতে পারেন। এখন কথা হলো কাজ তো শিখলেন কিন্তু কাজ করবেন কোথায়। এই সকল কাজের জন্য অনেক প্ল্যাটফর্ম রয়েছে । যেমনঃ Fiverr, Freelancer.com, Upwork, LinkedIn ইত্যাদি। এই সকল একাউন্ট খোলার পর সেই একাউন্টকে সুন্দর করে সাজাতে হবে। ঠিক আপনার নতুন দোকান যেভাবে সাজান ঠিক সেই ভাবে। আপনার করা কাজগুলো পোর্টফোলিও আকারে সাজিয়ে রাখতে হবে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস গুলোতে। এরপরে শুধু কাজের জন্য আপেক্ষা।
পৃথিবিতে কোন কাজই সহজ নয়। সকল কাজে আপনার পরিশ্রম আর ধৈর্য দুটোই বেশি কাজে আসে। আশাকরি আপনিও আপনার পরিশ্রম ও ধৈর্য দুটো দিয়েই সাফল্যের লক্ষে পৌঁছাবেন।
কি কি দক্ষতা লাগবে ফ্রিল্যান্সিং করতে?
আসলে সত্য কথা বলতে ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য সেইরকম কোন দক্ষতে লাগেে না। লাগে শুধু ইচ্ছা শক্তি আর ধৈর্যশক্তি। যা আপনাকে ফ্রল্যান্সিং জগতের সাফল্যের চূড়ায় পৌঁছে দিবে।এর সাথে আরেকটি বিষয় শিখা জরুরি তা হলো ভাষাগত যোগ্যতা। যেহেতু আপনার কাজ বিদেশি বায়ারের সাথে বেশি হবে সেক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষা শিখা জরুরি একটা বিষয়। কিভাবে শিখবেন ফ্রিল্যান্সিং?
ধরুন আপনি পড়াশোনা শেষ করে একটি ব্যাংকে ব্যাংকার হিসেবে যোগদান করলেন আপরদিকে আপনার বন্ধু একজন অ্যাকাউন্টেন্ট। আপনাদের দুজনের পদবী আলাদা হলেও আপনারা দুজনেই চাকরিজীবি। ঠিক একই রকমভাবে ফ্রিল্যান্সিং জগতে কেউ হচ্ছেন ডিজিটাল মার্কেটার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, ওয়েব ডিজাইনার ইত্যাদি। প্রত্যেকের পদবি একই কিন্তু সবাই ফ্রিল্যান্সার। এখন আমি যদি আপনাকে প্রশ্ন করি কিভাবে চাকরি করা শেখা যায় তার সদুত্তর কি দিতে পারবেন? একদমই না। ঠিক একইভাবে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবেন তার সদুত্তরও নেই। আপনাকে আবশ্যই নির্দিষ্ট একটি বিষয় কে কেন্দ্র করেই দক্ষতা অর্জন করে তারপর আপনি নিজেকঢ ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তুলতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটে কাজ কিভাবে পাবেন?
ফ্রিল্যান্সারদের জন্য যে মার্কেটপ্লেস গুলো রয়েছে তাতে অনেক অনেক ফ্রল্যান্সাররা কাজ করে সে ক্ষেত্রে আপনাকে একজন ক্লায়েন্ট কেন কাজ দিব? সেজন্য আপনাকে অবশ্যই খুব ভালো মানের যোগাযোগ ব্যবস্থায় ভালো হতে হবে। তাছাড়া ক্লায়েন্ট তার কাজ শেষে আপনার পেমেন্ট কীভাবে নিবেন তা আপনাকে অত্যন্ত ভালো ভাবে সম্পূর্ণ করতে হবে।
মনে রাখবেন বায়ারের সাথে যত ভালো সম্পর্ক তৈরি হবে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার ততো ভালো হবে। তাই চেষ্টা করবেন অবশ্যই যেন বায়রের সাথে সম্পর্ক ভালো থাকে।
শেষকথা
এইছিল মূলত আজকের ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে সকল কিছুর বিস্তারিত আলোচনা। আশাকরি বিষয়গুলো ভালোমতো বুঝতে পেরেছেন। এবার সময় হচ্ছে আপনার। তাই আজ থেকেই শুরু করুন নতুন এক উদ্দ্যোমে।
আবির ইনফো টেকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url