সর্দি, কাশিতে ঘরোয়া সমাধান - সর্দি কাশি দূর করার ঘরোয়া উপায়

 

সর্দি, কাশি আমাদের জীবনের সাথে ওতপ্রতভাবে জড়িত। সর্দি, কাশির সমস্যা যে কোন পরিস্থিতিতে যে কোন সময় ভোগ করতে হয়। গরম হোক কিংবা শীত হোক সব পরিস্থিতিতেই আমদের এই সমস্যা হতে পারে। গরমে প্রায় অনেকেই সর্দি, কাশিতে ভোগেন। অনেকেই এই সমস্যা হতে মুক্তি পেতে কতই না ওষুধ খাচ্ছেন।


তবুও সমস্যা থেকেই যায়। কোন ভাবে মুক্তি পেলে বেশকিছু দিন পর আবারো একই সমস্যা। সকল কিছুরই কোন না কোন বিকল্প পথ রয়েছে। তাই আজ ঘরোয়ে কিছু প্রতিকার নিয়ে আলোচনা করব আশাকরি তা আপনার উপকারে আসবে।

দারচিনি, লবঙ্গ, তুলসিপাতা, গোলমরিচ

আপনি যদি দারচিনি, লবঙ্গ, তুলসিপাতা, গোলমরিচ ভালোভাবে বিশুদ্ধ পানিতে দিয়ে ফুটিয়ে ১০-১২ মিনিট  সেই পানি ঠান্ডা করে সেই পানিটি রোজ পান করলে আপনার সর্দি, কাশি পুরোপুরি দূর হয়ে যাবে। গলায় হালকা ব্যাথা থাকলে তাও দূর হয়ে যাবে। তবে যদি বেশি পরিমানে গলায় কাশি থাকে সেক্ষেত্রে আপনি লবন পানি উসুম উসুম গরম করে গার্গল করবেন দিনে ৩-৫ বার। তাহলে খুব কম সময়ের মধ্যে আপনার গলা বথ্যা দূর হয়ে যাবে।

আদা, কাঁচা হলুদ, তেজপাতা, মেথি

আদা, কাঁচা হলুদ, তেজপাতা আর মেথি একটি পাত্রের মধ্যে নিয়ে ভালোভাবে ফুটিয়ে এরপর কয়েক মিনিট রেখে দিন। তারপর গরমের তীব্র ভাবটা কেটে গেলে তার মধ্যে লেবুর রস চিপে দিন। সেই লেবুর রস মিশিয়ে চায়ের মতো পান করতে পারেন। এতে আপনার গলার ভিতরের ইনফ্লানেশনও চলে যাবে।

আমলকি বা লেবু

আমরাজানি আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন-সি। আর আমলকি আর লেবুতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-সি রয়েছে । তাই এই দুটি ফল নিয়মিত খেলে সর্দি কাশি থেকে মুক্তি মিলবে।

লেবু ও মধু

লেবু ও মধুর মিশ্রণটি বাকি উপকারি পানীয়র মতোই অত্যন্ত জরুরি। এই লেবু ও মধুর মিশ্রণ যে শুধু সর্দি কাশিতেই কাজে লাগে তা নয় আপনার শরীরের মেদ অর্থাৎ শরিরের চর্বি কমাতে অনেক উপকারে আসে।এক গ্লাস উসুম উসুম গরম পানিতে ২ চা চামচ মধু আর ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করবেন। 

পেঁয়াজ

সর্দির সমস্যা দূর করার জন্য পেঁয়াজ হতে পারে একটি কার্যকর হাতিয়ার। এটি শরিরের বিষাক্ত পদার্থ বের করার সাথে সাথে শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে দেয়। একটি পাত্রে কয়েক টুকরো পেঁয়াজ নেন তাতে মধু মেশান । এরপর সারারাত পাত্রটি ঢেকে রাখেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পাত্রটি থেকে যতটুকু তরল বের হবে তা পান করবেন। 

আদা চা

যে কোন ঠান্ডাজনিত রোগের জন্য আদা চা সবথেকে বেশি উপকারে আসে। আদা কুচি করে পানি বা চায়ের সাথে মিশিয়ে তা পান করুন।

গরম পানির ভাপ

সর্দি কাশির মতো সমস্যায় সর্বপ্রথম গরম পানির ভাপ বা স্টিম ইনহেল করা প্রয়োজন। সর্দি কাশি যদি বেশি হয় তাহলে দিনে ২-৩ বার এই গরম পানির ভাপ নিবেন। যাদের সাইনোসাইটিসের সমস্যা তাদের জন্য সেই বাস্পীয় পানি গলায় প্রবেশ করে কাশির সমস্যা আরো বাড়িয়ে দেয়। 

ঠান্ডা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন

সকল ধরণের ঠান্ডাজনিত খাবার এড়িয়ে চলুন। দই, শরবত, আইসক্রিম ইত্যাদি খাবার সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলবেন।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আবির ইনফো টেকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url