এলার্জিতে নিমপাতার ব্যবহার

 

এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার আমাদের শরীরের ত্বকের জন্য মারাত্মক একটি মহৌষধ হিসেবে কাজ করে। এলার্জির সমস্যা অনেকের হয়ে থাকে কিন্তু এই নিম পাতার ব্যবহার অনেকেরই জানা নেই। এই আর্টিকেলে আজকে আমরা জানবো কীভাবে এলার্জিতে নিমপাতার সঠিক ব্যবহার করে ফল লাভ করবেন। 

এলার্জিতে-নিমপাতার-ব্যবহার-1

আপনি যদি আমাদের আর্টিকেল ধৈর্যসহকারে পড়েন তাহলে এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার, এলার্জি হওয়ার কারন ও লক্ষণ, নিমপাতার উপকারিতা ও অপকারিতা. নিম পাতা ব্যবহারের সঠিক নিয়ম, নিমপাতার রসের উপকারিতা ও অপকারিতা, মুখে নিমপাতা ব্যবহারের নিয়ম এই সকল বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। 

সূচিপত্রঃ এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার 

এলার্জি হওয়ার ১২ টি কারণ

এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার এর পূর্বে এলার্জি হওয়ার সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখতে হবে। আমাদের দেশে বেশিরভাগ এলার্জি রোগী দেখা যায় পানির সমস্যার কারণে। যা আমাদের জন্য সবথেকে বেশি অস্বস্তি বোধ মনে হয়। এলার্জি হলে সবথেকে বেশি ভালো লাগে চুলকাতে যা সবথেকে বেশি ক্ষতির দিকে নিয়ে যায় আমাদের শরীরের ত্বককে। আমাদের শরীরে এলার্জি হওয়ার বেশ কিছু কারন রয়েছে যা আমাদের শরীরকে ক্ষতির দিকে। এই কারণগুলোর বিষয়ে আমরা যদি আগে থেকে সচেতন হয় তাহলে এই এলার্জি নামক বড় ধরণের সমস্যা থেকে রক্ষা পেতে পারি।
  • পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবে
  • অতিরিক্ত ঘামের কারণে 
  • আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে 
  • শুষ্ক ত্বকের জন্য এলার্জি
  • শরীরে প্রয়োজনের তুলনায় কম খাবার গ্রহণের কারণে
  • বিভিন্ন ক্যামিকেল জাতীয় রং ব্যবহারের কারণে ( চুলে রং করা)
  • চামড়ার ওপর ট্যাটু করলে
  • পোকামাকড় কামড়ালে
  • কোন প্রকার ড্রাগ বা ওষুধের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার কারণে
  • বায়ু দূষণের কারণে
  • পানি দূষণের কারণে
  • খাবারের কারণে

এলার্জি হওয়ার ৬টি লক্ষণ

এলার্জি হলে সবথেকে বেশি ভালো লাগে চুলকাতে যা সবথেকে বেশি ক্ষতির দিকে নিয়ে যায় আমাদের শরীরের ত্বককে। এই চুলকানোর জন্য পরবর্তীতে আমাদের শরীরে বের হওয়া  ব্রণের মতো ফুসড়িগুলো লালচে কালার হয়ে ফুলে ওঠে।
  • চুলকানি হয়
  • ত্বকের রঙ পরিবর্তন হওয়া ( ত্বক লাল লাল হয়ে যায়)
  • ব্রণের মতি ফুসকুড়ি বের হয়
  • পতন বা ফাটল ধরে
  • জ্বালা পোড়া করে
  • ব্রণে পরিণত হয়

মুখে নিম পাতার ব্যবহারের উপকারিতা

এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার এর পাশাপাশি মুখে নিমপাতার ব্যবহার খুবই উপযোগী একটা সমাধান। আমরা আমাদের ত্বক নিয়ে একেক সময় একেক সমস্যার সম্মুখীন হয়। তার মধ্যে ব্রণ অন্যতম। এই ব্রণ দূর করার জন্য নিমপাতার ব্যবহার খুবই উপযোগী। এই নিমপাতার ব্যবহার যে শুধু ব্রণের জন্য উপযোগী তা নয় আরো অনেক সমস্যার সমাধান রয়েছে এই নিমপাতায়। মুখে নিমপাতা ব্যবহারের অনেক উপকারী দিক রয়েছে তানিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। ধৈর্যসহকারে পড়তে থাকেন আশাকরি উপকৃত হবেন।

নিমপাতায় র‍য়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন অর্গানের জন্য খুবই উপাকারি। এছাড়াও নিমপাতা ব্রণ, ব্ল্যাকহেডসের মতো সমস্যা সমাধানের অন্যতম মাধ্যম। আমাদের অনেকের ত্বক অনেক বেশি তেল তেল করে এই তৈলাক্ততা দূর করতে নিমপাতা খুবই কার্যকরী উপাদান। এছাড়া আমাদের শরীরের লোমকূপে জমে থাকা ময়লা দূর করতে ফুটন্ত পানিতে নিম পাতা দিয়ে, তা আরো ভালোভাবে ফুটিয়ে সেই পানি ঠান্ডা করে গুসক করলে শরীরের সমস্ত ময়লা দূর হয়ে যায়।

আরো পড়ুনঃ সেনসেটিভ ত্বকের ব্রণ দূর করার ৮ টি গোপন টিপস

এছাড়াও আপনি যদি নিমপাতা বেটে আপনার মুখে লাগিয়ে ফেসপ্যাক হিসিবে ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার মুখের দাগ, ব্রণ, ত্বকের উজ্জ্বলতার সমস্যা সহ সকল রকমের সমস্যা সকল কিছু দূর হয়ে যায়। ফলে আপনার ত্বক হয়ে উঠে নরম, কোমল ও মসৃণ। আপানার ত্বকের দাগছোপ কমাতে এই নিমপাতার ব্যবহার কোন তুলনা নেই।  তাহলে বুঝতেই পার‍ছেন এই নিমপাতার মতো প্রাকৃতিক উপাদানের গুরুত্ব। 

নিম পাতা খাওয়ার সঠিক নিয়ম

নিমপাতা খাওয়ার বেশ অনেক উপকারি গিন রয়েছে। আপনি যদি প্রতিদিন নিমপাতা খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে রক্তের সুগার লেভেল অনেকটা কমতে সাহায্য করবে। আমাদের শরীরের রক্তনালীকে প্রশস্ত করে রক্তের সম্বোধন বাড়াতে এই নিমপাতা ব্যাপক সাহায্য করে। এছাড়া যদি আরো বেশি উপকার নিতে চান তাহলে আপনাকে প্রতিদিন সকালে উঠে খালি পেটে কচি নিমপাতার রস পান করতে পারেন। 

আপনি যদি ডায়াবসটিসের রোগী হয়ে থাকেন তাহলে প্রতিদিন সকালে ১০ টা করে নিমপাতা ও ৫ টি গোল মরিচ একসঙ্গে বেটে খেতে পারলে আপনার ডায়াবেটিস কমে যাবে।আমরাজানি এই নিমপাতা চর্মরোগের জন্য অনেকবেশি উপকারি। এছাড়াই নিমপাতা পেটের ব্যাথা, চোখের সমস্যা, আলসার, জ্বর, সর্দি-কাশি, মাড়ি ফুলে যাওয়াসহ অনেক রোগের সমাধান রয়েছে এই নিমপাতায়। প্রতিদিন সকালে উঠে খালি পেটে নিমপাতার রস খেলে আপনার পরিপাকতন্ত্রের অনেক সমস্যা দূর হয়ে যায়। 

তবে ভেশি পরিমাণে খেলে আপনার বমি, ডায়রিয়া ইত্যাদির সমস্যা হতে পরে। তাই শুরুতে আপনি অল্প পরিমানে খেয়ে শুরু করুন ধীরে ধীরে আপনার ডোজ বাড়াতে পারেন। অনেকের এই নিমপাতা চিবিয়ে বা রস করে খেতে সমস্যা হয়। এতে অনেক উপকার রয়েছে। এভাবে যদি না খেতে পারেন তাহলে মধু বা গুড়ের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে তেতোভাবটা অনেকটাই কেটে যায়। তবে যাদের ডায়াবাটিসের সমস্যা র‍য়েছে তাদের এই উপায়টা না মেনে চলাি ভালো। এছাড়াও যারা চা খান তারা নিমপাতার চা তৈরি করেও খেতে পারেন।   

এলার্জিতে-নিম-পাতার-বব্যহার-2

চুলকানিতে নিম পাতার উপযুক্ত ব্যবহার

চুলকানিতে নিমপাতার ব্যবহার এতোটাই কার্যকরী যে ভাষায় প্রকাশ সম্ভব নয়। এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহারের কোন জোড়া ভাব যেমনটা নেই ঠিক তেমনি চুলকানিতে নিমপাতার ব্যবহারেরও জোড়াভাব নেই। প্রাচীনকাল থেকেি এই নিমপাতার ব্যবহার সকল স্তরের মানুষ ব্যবহার করে আসছে। যে সকল ব্যক্তিদের বিভিন্ন স্থানে চুলকানি হয়ে ধাকে তাদের জন্য নিমপাতা মহৌষধ হতে পারে। এই নিমপাতা দিয়ে চুলকানি দূর কারার কিছু প্রাকৃতিক নিয়ম রয়েছে যা আমরা এই পয়েন্টে বিস্তারিত আলোচনা করব।

প্রথমে আপনি একটি পাত্রে পানি নিয়ে তা ফুটাতে থাকেন সেই ফুটাতে ফুটাতে পানির মধ্যে নিমপাতা দিয়ে আরো ভালোভাবে তা ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর সে পানি দিয়ে গোসল করলে আপনার শরীরের জীবানু গুলো দূর হয়ে যায়। এছাড়াও আপনার চোখে যদি এলার্জি জনিত কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে ফুটন্ত পানিতে নিমপাতা ছেড়ে দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। সেই পানি ঠান্ডা করে চোখে আস্তে আস্তে ঝাপটা মেরে চোখ পরিষ্কার করে নিলে তা আস্তে আস্তে এলার্জি দূর হয়ে যায়। চুকলানিও কমে যাবে। 

আরো পড়ুনঃ পেঁয়াজের তেল বানানোর নিয়ম - ২ দিনে চুল পড়া বন্ধ করুন

এছাড়াও অনেকের শরীরে র‍্যাস বের হয়। সেটা অনেক সময় ওষুধের পাশ্ব-প্রতিক্রিয়াস্বরুপ হয়ে থাকে,অনেকের পানিজনিত কারণে হয়ে থাকে এই সকল র‍্যাসের সমস্যার সমাধানও রয়েছে এই নিমপাতায়। এই সমস্যা দূর করতে ফুটন্ত পানিতে নিমপাতা ছেড়ে দিয়ে ফুটিয়ে নিতে হবে। সেই পানি ঠান্ডা করে চোখে আস্তে আস্তে ঝাপটা মেরে চোখ পরিষ্কার করে নিলে তা আস্তে আস্তে চুলকানি দূর হয়ে যায়। সেই সাথে র‍্যাসের কারণে ফুসড়ির মতো যেগুলো বের হয় তা নির্মূল হয়ে যাবে।

নিম পাতা ব্যবহারের উপকারিতা

আমরা আমাদের ত্বকের জন্য অনেক কিছু ব্যবহার করে থাকি। বিভিন্ন ওষুধ, প্রসাধনী ইত্যাদি কিন্তু ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে নিমপাতার ব্যবহার অন্যতম। নিমপাতার উপকারিতা যে শুধু রূপচর্চাতেই তা নয় আরো অনেক উপকৃত হওয়ার দিক রয়েছে যেমনঃ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি, চর্মরোগ দূর করা, জ্বর, সর্দি-কাশি দূর করা, হজম শক্তি বৃদ্ধি ইত্যাদি । নিচে বিস্তারিত আলোচনা করলে ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। আশাকরি মনোযোগ দিয়ে পড়ে অনেক কিছু জানবেন এবং উপকৃত হবেন। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি:

নোম পাতায় র‍য়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদান যা আমাদের শরীরের বিভিন্ন অর্গানের জন্য খুবই উপাকারি। এই উপাদানগুলো আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোদ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে তোলে। এই পাতায় যে ঔষধিগুন রয়েছে তা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়াও এই উপাদানগুলো আপনার শরীরে অনেকধেণের সংক্রামণ ও রোগ থেকে বাঁচাতে পারে।

জ্বর ও সর্দি-কাশি দূর করে:

নিমপাতায় রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটারি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা জ্বর ও সর্দি-কাশি দ্রুত নিরাময় করতে সাহায্য করে। 

চর্মরোগ দূর করে:

নিমপাতার অ্যান্টি- ফাঙ্গাল গুণাবলী বিভিন্ন চর্মরোগ দূর করতে সাহায্য করে।

হজম শক্তি বৃদ্ধি করে:

আপনার যদি পরিপাকে অথাৎ হজমে কোন প্রকারের সমস্যা হলে নিমপাতা হতে পারে তার জন্য উপযুক্ত সমাধান। নিমপাতা হজম শক্তিকে বৃ্দ্ধি করতে অনেক সাহায্য করে। এছাড়াও পরটফোলা এবং কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে অনেক সাহায্য করে।

আরো পড়ুনঃ বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় - ঘরোয়া উপায়ে সমাধানের নিয়ম

নিম পাতা ব্যবহারের অপকারিতা

এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহারের যেমন অনেক উপকারিতা দিক র‍য়েছে তেমনি রয়েছে অপকারি দিকও বটে। সবকিছুতেই দেখা যায় নিমপাতার উপকারের দিকটাই বেশি তবে যারা গর্ভবতী নারী রয়েছেন তাদের জন্য এই নিমপাতার ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকাটাই সবথেকে বেশি উপকারি। কারণ গর্ভাস্থায় গর্ভবতী মায়েরা নিমপাতার ব্যবহারে বেশি সমস্যার সম্মখীন  হতে পারে। নিমপাতার ব্যবহারে গর্ভপাতের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যারা বিবাহিত রয়েছেন তারা নিমপাতার ব্যবহার করা থেকে কিছুটা দূরে থাকবেন।

এলার্জিতে নিম পাতার সঠিক ব্যবহারের নিয়ম

এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার খুবই উপযোগী একটা সমাধান। যা অনেক অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধে কাজ করে না তা নিমপাতায় কাজ করে। এমন অনেক মানুষ র‍য়েছে যারা এই এলার্জির কারণে তাদের প্রিয় খাবার খেতে পারে না যেমনঃ ইলিশ মাছ, গরুর মাংস, গরুর দুধ, হাঁসের মাংস, বেগুন, কচুঁ, হাঁসের ডিম ইত্যাদি। এই সকল খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় এলার্জির কারণে চুলকানি শুরু হয়। এই চুলকানোর জন্য পরবর্তীতে আমাদের শরীরে বের হওয়া  ব্রণের মতো ফুসড়িগুলো লালচে কালার হয়ে ফুলে ওঠে।

আবার কারো হাতে বা চোখে চুলকায়। চুলকাতে চুলকাতে লাল হয়ে ফুলে উঠে। এছাড়াও হাঁচি, কাশি, হাঁপানি, চর্মরোগ, নাক দিয়ে পানি পড়া এই সকল সমস্যাগুলো এলার্জিজনিত কারণে হয়ে থাকে। এই সকল সমস্যা দূর করতে আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হয় ওষুধ খেতে হয়। এতে আপনার শরীরের পক্ষে অনেক বেশি পাশ্ব-প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু আপনি যদি প্রাকৃতিক উপায়ে ঘরে বসে এই সমস্যা সমাধান করতে পারেন তাহলে সেটা আপনার জন্য অবশ্যই কতোটা সহজ ও কার্যকার হবে তা বুঝতেই পারছেন।

আরো পড়ুনঃ ছেলেদের জন্য অশ্বগন্ধা পাউডারের উপকারিতা - খেলে কী হয় ও খাওয়ার নিয়ম

সঠিকভাবে নিমপাতার ব্যবহার আপনার শরীরে সৃষ্টি হওয়া এলার্জিকে চিরতরে দূর করতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনাকে যেটা করতে হবে তা হলো নিম পাতার গুঁড়া এক চা চামচের ৩ ভাগের ১ ভাগ নিন। এর পর একটি গ্লাসে পানি নিয়ে তাতে ভূষি গুলিয়ে ৩০ মোনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর চামচ দিয়ে তা ভালোভাবে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে এক গ্লাস, দুপুরে ভরা পেটে এক গ্লাস এবং রাতে ঘুমানোর পূর্বে এক গ্লাস পান করুন। এভাবে এক মাস প্রতিনিয়ত পান করলে এলার্জি থেকে মুক্তি পাবেন অনায়াসে।

নিম পাতা খেলে কি হয়

নিমপাতা খেলে কি হয় অনেকের মনেই এই প্রশ্ন জাগে। নিমপাতা খাওয়ার সবথেকে প্রধান কারণ হলো রোগবালায় দূর করা। প্রাচীনকাল থেকেই গুনীজনদের কাছে থেকেই এর ব্যবহার হয়ে আসছে। শরীরের বিভিন্ন সমস্যা প্রাকৃতিক উপায়ে দূর করতে নিমপাতার বিকল্প নেই বললেই চলে। এই নিমপাতায় রয়েছে ঔষধিগুন যা আপনার শরীরের রোগবালায় দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। পরিপাকতন্ত্রের সমস্যার সমাধান, ডায়াবেটিসের সমস্যার সমাধান হয়।

এলার্জিতে-নিমপাতার-ব্যবহার-3

এছাড়াও রক্তের সমস্যার সমাধান সহ আরো অনেক সমস্যা র‍য়েছে যা এই নিমপাতার মাধ্যমেই নিরুপায় হয়ে থাকে। আবার চুলের যত্নেও নিমপাতার ব্যবহার খুবই উপকারি। নিমপাতা চুল পড়া বন্ধ করে পাশাপশি চুলের গোড়া শক্ত করতেও সাহায্য করে। এছাড়াও আরো অনেক উপকারি দিক রয়েছে যা উপরে আলোচনা করা হয়েছে। তাহলে বুজতেই পার‍ছেন নিমপাতা খেলে কি হয়।

নিম পাতা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

নিমপাতার ব্যবহারে আপনার ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করা সম্ভব। নিমপাতায় এমন সব গুনাগুণ রয়েছে যা ত্বককে চকচকে ও ব্রাইট করে তুলে। আমরা অনেকেই ফর্সা হওয়ার জন্য বিভিন্ন রকমের নাইট ক্রিম ব্যবহার করি যা আমাদের আজান্তে আমাদের ত্বকের অনেক বড় ক্ষতি করছে। এতে আপনার ত্বকে কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফর্সা আসলেও পরবর্তীতে আগের চেয়ে আরো বেশি কালো ও স্কিনে দাগ পড়ে যায়। যা দেখতে অনেকটাই বিকট লাগে।

তাই এখন থেকেই প্রকৃতিক উপায়ে রূপচর্চা করে ত্বকের যত্ন নিন। নিয়মিত ত্বকে নিমপাতার ব্যবহার আপনার ত্বককে করবে ফর্সা ও দাগমুক্ত। গোসল করার পূর্বে প্রতিদিন নিমপাতার সাথে একটু কাঁচা হলুদ বেটে পেস্ট বানিয়ে ফেসপ্যাক হিসেবে লাগিয়ে রাখবেন। এতে আপনাত ত্বকের সমস্ত কালচে দাগ ও ব্রণ দূর হবে এবং স্কিন ভিতর থেকে গ্লো করবে। যারফলে আপনার স্কিন হবে ফর্সা ও ব্রাইট। ত্বকের চর্চা করলে নিমপাতার ব্যবহারের বিকল্প কোন কিছু নেই। 


এছাড়াও আপনি প্রতিদিন পরিষ্কার পাটায় কয়েকটি নিমপাতা, কাঁচা হলুদ বেটে তারমধ্যে টক দই, একটু দুধ, কফি ও মধু মিশিয়ে ফেস এ ৩০ মিনিট লাগিয়র রাখুন। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখটি ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে টানা একমাস আপনার ফেসে নিমপাতার ব্যবহার করে দেখুন আপনি ভালো ফল পাবেন। আশাকরি আপনিও এই টেকনিকস ব্যবহার করে আজ থেকেই রূপের চর্চা নেওয়া শুরু করুন। 

আমাদের শেষ কথা

প্রিয় পাঠক সম্পূর্ণ আর্টিকেল পড়ে আশাকরি এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার এবং নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে স্বচ্ছ্য একাটা ধারণা পেয়েছেন। নিমপাতার উপকারিতা অপকারিতা ব্যবহারের দিকনির্দেশনা সকল কিছু নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা তোলে ধরার চেষ্টা করেছি। যা আপনার দৈনন্দিন জীবনের চলাফরার ক্ষেত্রে উপকারে আসতে পারে। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন অবশ্যই আপনার প্রিয়জন, বন্ধুদের শেয়ার করে তাদেরও জানার সুযোগ করে দিবেন।

এইরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। কারণ আমরা আমদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরণের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আবির ইনফো টেকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url