আর্টিকেল রাইটিং এ্যাডভান্স ফরম্যাটিং টেকনিকস ২০২৪
আর্টিকেল রাইটিং এ্যাডভান্স ফরম্যাটিং টেকনিকস পর্বে আমরা কিছু বেসিক কনসেপ্ট জানবো। আমরা যারা আর্টিকেল লিখি বা অনলাইনে ওয়েবসাইট পরিচালনা করি তাদের জন্য আজকের এই ফরম্যাটিং টেকনিকসগুলো অনেক সাহায্য করবে। আজকের আলোচ্য বিষয়গুলো আমাদের ওয়েবসাইটকে আরো প্রমিয়াম ও এক ধাপ এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।
আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো কীভাবে টেবিল তৈরি করতে হয় অর্থাৎ টেবিল ফরম্যাটিং টেকনিক, ইন আর্টিকেল ভিডিও কন্ট্রিলিং, CSS আর্টিকেল ফরম্যাটিং টেকনিকস। যারা বিশেষকরে অনলাইন সাটে ব্যবসা-বাণিজ্য করে থাকেন তাদের ক্ষেত্রে টেবিল ফরম্যাটিং টেকনিকস সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তাহলে চলুন বিষয় গুলো বিস্তারিত জেনে আসি।
সূচীপত্রঃ আর্টিকেল রাইটিং এ্যাডভান্স ফরম্যাটিং টেকনিকস
- টেবিল ফরম্যাটিং টেকনিকস কী?
- টেবিল তৈরি করার এইচটিএমএল(HTML) কোডিং পরিচিতি
- এইচটিএমএল (HTML) ব্যবহার করে টেবিল তৈরি করার নিয়ম
- CSS প্রোগ্রাম ব্যবহার করে টেবিল কাস্টমাইজিং করার নিয়ম
- টেবিল রেসপন্সিভ করার নিয়ম
- টেবিল রি-কাস্টমাইজ পর্ব-১
- টেবিল রি-কাস্টমাইজ পর্ব-২
- টেবিল রি-কাস্টমাইজ পর্ব-৩
- ইন-আর্টিকেল ভিডিও কন্ট্রোলিং টেকনিকস
- আমাদের শেষকথা
টেবিল ফরম্যাটিং টেকনিকস কী?
টেবিল ফরম্যাটিং টেকনিকস আর্টিকেল রাইটিং এ্যাডভান্স ফরম্যাটিং টেকনিকস এর একটি অংশ যার অর্থ হলো সহজভাবে বোঝায় টেবিল তৈরি করা। আমরা যারা ওয়েবসাইট পরিচালনা করি তাদের জন্য এই টেবিল ফরম্যাটিং টেকনিকস অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। বিশেষকরে যারা অনলাইনে ব্যবসা-বাণিজ্য করে তাদের ক্ষেত্রে তাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন পণ্যের মূল্য তালিকা দিতে হয়। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে টেবিল ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও যারা আমরা আর্টিকেল রাইটিং করি তাদের ক্ষেত্রেও জরুরি একটি বিষয়।
আমাদের যখন রমজান মাস আসে তখন অনেকেই রমজান ক্যালেন্ডার লিখে সার্চ করে। সেক্ষেত্রে আপনি যদি একটি এই বিষয়ের ওপর আর্টিকেল লিখে তা পাবলিশ করেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে ভালো পরিমাণে ক্লিক আসতে পারে যদি আর্টিকেল রাইটিং ভালো থাকে। সেই ক্যালেন্ডার বানাতে আপনাকে অবশ্যই টেবিল বানাতে হবে এছাড়া সেই ক্যালেন্ডার দেখানো সম্ভব নয়। তাই আপনাকে টেবিল ফরম্যাটিং টেকনিকস সম্পর্কে জানতে হবে এবং সেই অনুযায়ী টেবিল বানাতে হবে।
টেবিল তৈরি করার এইচটিএমএল(HTML) কোডিং পরিচিতি
আর্টিকেল রাইটিং এ্যাডভান্স ফরম্যাটিং টেকনিকস এ আমরা টেবিল তৈরি করার নিয়ম সম্পর্কে জানার পূর্বে টেবিল তৈরির করার জন্য যেই ট্যাগ প্রয়োজন সে ট্যাগ গুলো সম্পর্কে আগে জানতে হবে। আমাদের ওয়েবসাইটের জন্য টেবিল কতোটা গুরুত্বপূর্ণ তা আশাকরি কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছি। আমরা সকলেই কলাম এবং রো কি তা খুব ভালোভাবেই জানি ও চিনি। লম্বা বা খাঁড়া লাইনগুলোকে আমরা কলাম বলে থাকি আর আনু্ভূমিক যে লাইনগুলো থাকে সেগুলো হলো রো বা সারি।
এই টেবিল আমরা HTML কোড ব্যবহার করে তৈরি করব। HTML কোডিং সম্পর্কে আমরা আগের আর্টিকেলে আলোচনা করেছি। আমরা যদি একটি টেবিল কল্পনা করি যেখানে ৪টা কলাম ও ৪টা সারি রয়েছে। তাহলে সেখান সেল অর্থাৎ ঘর গুলোর সংখ্যা হবে ১৬টি। এই ঘরগুলোকে HTML এর ভাষায় এই ঘর গুলোকে টেবিল ডেটা বলা হয়। তাহলে এই ঘরগুলো তৈরী করার জন্য আমরা যে ট্যাগ ব্যবহার করব সেই ট্যাগ হলো <td> ।
আরো পড়ুনঃ আর্টিকেল রাইটিং এর জন্য স্পিনিং-স্ক্রাপিং সহ ৬টি এ্যাডভান্স টিপস
আমরা টেবিলের সবার উপরের যে কলাম রয়েছে সেই কলাম গুলোকে কে আমরা বলি টেবিল হেডার এই টেবিল হেডার করার জন্য যে ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে সেই ট্যাগ হলো <th> ট্যাগ। আর যে সারি গুলো রয়েছে সেই সারি গুলোর কে HTML এর ভাষায় টেবিল রো। আর এই টেবিল রো তৈরি করার জন্য যে ট্যাগ ব্যবহার হয় তা হলো <tr> ট্যাগ। আর পুরো টেবিল তৈরি করার জন্য সবার প্রথমে আমাদের নিতে হবে টেবিল ট্যাগ। আর এই টেবিল ট্যাগটি হলো <table>। এই ট্যাগ দিয়েই টেবিল তৈরির ধাপ শুরু হবে আবার টেবিল তৈরির ধাপ শেষ হবে।
এইচটিএমএল (HTML) ব্যবহার করে টেবিল তৈরি করার নিয়ম
এইচটিএমএল (HTML) ব্যবহার করে টেবিল তৈরি করার নিয়ম আর্টিকেল রাইটিং এ্যাডভান্স ফরম্যাটিং টেকনিকস এর একটি অন্যতম অংশ। আমরা পূর্বের হেডিং এ টেবিল তৈরি করার জন্য ব্যবহৃত ট্যাগ গুলো সম্পর্কে জেনেছি। এখন সেই ট্যাগগুলো ব্যবহার করে আমরা টেবিল তৈরি করব। সেই জন্য আমাদের সর্বপ্রথম যেতে হবে সাবলাইম টেক্সক্ট এডিটরে। সাথে গুগোল ক্রম ব্রাউজার ওপেন করে নিতে হবে। পাশাপাশি দুইটি রেখে আমরা কাজ শুরু করব। যারা সাবলাইম টেক্সক্ট,HTML.CSS প্রোগ্রামিং সম্পর্কে জানা নেই তারা এই আর্টিকেলের সবার ওপরের যে বাটন দেওয়া আছে তাতে ক্লিক করে সকল কিছু জেনে নিন।
চলুন তাহলে টেবিল তৈরি করা যাক। আমরা সর্বপ্রথম টেবিল শুরু করার জন্য টেবিল ট্যাগ লিখবো। <table> লিখর কী-বোর্ড থেকে tab চাপলেই পুরো কোড চলে আসবে। এরপর Enter চেপে কোডটি আলাদা করে নিব। যেহেতু আমরা ৪ টা কলাম ও ৪ টা রো তৈরি করব সেক্ষেত্রে আমরা প্রথমে <tr> ট্যাগ লিখে কী-বোর্ডে tab চেপে পোরো কোডটি বসিয়ে নিন। এরপর কোডটি কপি করে লাইনের নিচে লাইন পরপর ৪ বার পেস্ট করুন। এরপর মাঝ থেকে Enter চেপে আলাদা করে নিব কারণ মাঝে আমাদের আরো ট্যাগ ব্যবহার করব।
এখন আমরা Enter দিয়ে যে ট্যাগ ব্যবহার করব সেই ট্যাগটি হলো <th>। ধরুন আমরা যে টেবলটি তৈরি করব তাতে ৪জন ব্যক্তির নাম থাকবে, তাদের বিল নাম্বার, তাদের মোবাইল নাম্বার, কে কত টাকার জিনিস কিনেছে। এখন আমরা প্রথমে <tr> ট্যাগের মাঝে ৪ টা <th> ট্যাগ বসাবো। এখন এই <th> এর মধ্যে আমরা লিখবো কাস্টমার নেম, কাস্টমার বিল নাম্বার, কাস্টমার মোবাইল নাম্বার আর টাকা। আমাদের হেডিং এর কাজ শেষ।
এখন যদি সেভ করে রিফ্রেশ করেন তাহলে মনে হবে প্যারাগ্রাফ এর একটি লাইনের মতো। এইবার আমরা কাস্টমাদের ডাটা ইনপুট করব ঠিক একই পদ্ধতিতে শুধু একটি ট্যাগ পরিবর্তব হবে। আবারো <tr> এ Enter চেপে মাঝে ৪টা <td> ট্যাগ দিতে হবে। এখন আমরা প্রথম কাস্টমের ডাটা ইনপুট করব। তাহলে প্রথমের <td> টগের মধ্যে নাম, পরেরটাই বিল নাম্বার, পরেরটাই মোবাইল নাম্বার আর শেষেরটাই টাকার পরিমান। এরপর সেভ দিয়ে রিফ্রেশ করলে দেখবেন একটির যেটার নিচে যা বসার কথা ঠিক সেটাই বসে গেছে। পরপর আরো চার বার তিন বার এমন করলে আমাদের ৪টা কলাম ও ৪টা রো তৈরি হয়ে যাবে।
এতোক্ষণ লিখালিখি করলাম কিন্তু এরমধ্যে এখনো কোন দাগ আসেনি। চলুন দাগ নিয়ে এইবার কাজ করা যাক। আমরা আগেই জেনেছি কোন প্রকার স্টাইল কররা জব্য আমাদের CSS ব্যবহার করতে হবে।এতোক্ষণ আমরা HTML এর ব্যবহার করলাম এখন CSS এর ব্যবহার করব। এখন আমরা ইন্টারনাল CSS করব। মনে রাখবেন ট্যাগ এরমধ্যে ইনলাইন CSS করতে হয়। আর ইন্টারনাল CSS করতে হয় স্টাইল এর মধ্যে। আর স্টাইল ট্যাগ পাবেন হেড এর মধ্যে।
এখন আমরা দাগ নেওয়ার জন্য যেখানে স্টাইল ট্যাগ শেষ হয়েছে তার ওপরে একলাইন ফাঁকা করে নিব এরপর আমরা সেখানে কিছু কোড লিখবো। যেখানে } এই ব্রাকেটটি আছে তার নিচের লাইনে table, th, td {
border:border value(আপনি কেমন মোটা বর্ডার নিবেন সেটা উল্লেখ করতে হবে পিক্সেল আকারে) border color;
}
তাহলে আর্টিকেল রাইটিং এ্যাডভান্স ফরম্যাটিং টেকনিকস এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ টেবিল তৈরি হয়ে গেলো।
CSS প্রোগ্রাম ব্যবহার করে টেবিল কাস্টমাইজিং করার নিয়ম
CSS প্রোগ্রাম ব্যবহার করে টেবিল কাস্টমাইজিং করার নিয়ম জানার জন্য আপনাকে আগে পূর্বের টেবলটি দেখতে হবে। উপরের ট্যাগগুলো দিয়ে আপনি রিফ্রেশ করলে দেখতে পাবেন দুইটি বর্ডার আসছে একটি টেবিলের অপরটি td অর্থাৎ টেবিল ডাটা বা সেল গুলোর। যা দেখতে খুব একটা ভালো লাগছে না বা প্রোফেশনালি লাগছে না। তাহলে আমাদের যেহেতু ২ টা বর্ডার আছে তাহলে আমাদের প্রথমে একটি বর্ডার ভাঙতে হবে।
আর সেই বর্ডার ভাঙ্গার কোড হলো বর্ডার কল্যাপস (border-collapse)। তাহলে চলুন টেবিল কাস্টমাইজ করা যাক। আমাদের আবারো আগের কোডে ফিরে যেতে হবে। এরপর বর্ডার কালার এর নিচে আমরা লিখবো border-collapse: collapse; এখন সেভ করে রিফ্রেশ করলে দেখবেন একটি বর্ডার উঠে যাবে। এখন লিখাগুলো অনেকটা বর্ডারের কাছাকাছি অবস্থান করছেখ। দেখতে অনেকটা অর্ড লাগছে। এখন লিখাগুলোকে একটি সরিয়ে আনা যাক।
আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গাইডলাইন
সেই জন্য আমাদের পেডিং ব্যবহার করতে হবে। এখন আপনি আবারো border-collapse: collapse; এটার নিচে padding লিখলেই কোডটি চলে আসবে। সেটি tab এ চেপ নিয়ে নিন। এখন আপনি বর্ডার থেকে কতখানি সরাবেন তা আপনার ওপর নির্ভর করে। তবে 5px সারালেই অনেক। তাহলে আমরা এখন padding: 5px; দিয়ে সেচ করে রিফ্রেশ করলে আগের থেকে ভালো একটা ভিউ দেখতে পারবেন।
টেবিল রেসপন্সিভ করার নিয়ম
টেবিল রেসপন্সিভ করার নিয়ম আর্টিকেল রাইটিং এ্যাডভান্স ফরম্যাটিং টেকনিকস এর অন্যতম একটি টপিক। যারা টেবিল রেসপন্সিভ বিষয়টি বুঝতে পারেননি তাদের জন্য বলি আমরা যখন কোন ওয়েবসাইটে ঢুকি এবং সেখানে যে লিস্ট বা তালিকা দেখতে পায় সেগুলো যখন স্ক্রিন ছোট বা বড় করা হয় তখন কিন্ত স্ক্রিনের সাথে টেবিল ছোট বড় হয় অর্থাৎ অটোমাটিক কাস্টমাইজ হয়ে যায়। এর পেছনে টেবিল ওয়াইড ডিক্লিয়ার করতে হবে।
এটি করার জন্য আমাদের টেবিল ট্যাগের মধ্যে ইনলাইন CSS করতে হবে। তাহলে আমাদের <style> ট্যাগে যেতে হবে এরপর table এর শেষে একটি ব্যাকস্পেস হবে। আমি আপনাদের কোডটি লিখে দেখায় <table stule="width: 100%;"> এখন আপনি ছোট বা বড় যাই করেন সব কিছু সম্পূর্ণ স্ক্রিন জুড়ে দেখাবে।
টেবিল রি-কাস্টমাইজ পর্ব-১
টেবিল রি-কাস্টমাইজ পর্ব-১ এ আমরা জানবো টেবিল কাস্টমাইজ করার আরি কিছু স্টাইল। আমরা এতোক্ষণ টেবিল বানানি শিখলাম এখন শিখবো এই টেবিল কে আরো কীভাবে কাস্টমাইজ করা যায়। আমরা এই টেবিলকে বেশ কয়েকটা নিয়মে কাস্টমাইজ করব। চলুন দেখা নেয়া যাক সেই নিয়মগুলো কী কী এবং কীভাবে কাজ করে।
আমরা যে টেবিল ব্যবহার তৈরি সেখানে যদি আমি উপরের ২টা অ্যামাউন্টের ঘরকে একতটি ঘরে রূপান্ত্র করব। ধরুন প্রথম দুইজনের বিলের পরিমাণ ২৫০০ টাকা সেক্ষেত্রে আমরা ২ টা হর না করে একটি ঘরের মধ্যে ২৫০০ কে রাখবো। সে জন্য আমরা প্রথমে Md.Safayet এর বিলের পরিমানের যে ট্যাগ <td>2500</td> আছে সেটা কেটে দিব। যেহেতু আমরা রো কে বাদ দিচ্ছি সেক্ষেত্রে আমাদের যে ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে সেটি হলো রো স্প্যান ট্যাগ।
আরো পড়ুনঃ ডেস্কটপে স্ক্রিনশট নেয়ার টেকনিকস। আর্টিকেল রাইটিং।
এখন আমাদের প্রথম কাস্টমের যে ট্যাস রয়েছে সেখানে গিয়ে টাকার পরিমানের যে td ট্যাগ আছে সেখানে td এর পাশে ব্যাকস্পেস চেপে rowsoan লিখে tab এ চাপ দিলেই সেই কোডটি চলে আসবে। এখন আমরা যে কয়টি রো কে একত্রিত করবো সেটার পরিমান "" এর মধ্যে বসিয়ে দিব। যেহেতু আমরা ২ টা রোকে একত্রিত করছি সেক্ষেত্রে আমরা "" এর মধ্যে 2 দিব। তাহলেই ২টা রো একত্রিত হয়ে গেলো।
আবার অনেকসময় আমাদের কলাম স্প্যান করার প্রয়োজন হয়। যেহেতু আমাদের কলাম ৪টা সেইজন্য আমাদের টেবিল ডাটাও ৪টা। এখন টেবিল ডাটা গুলো স্প্যান করার জন্য যে ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে সেটি হলো কলস্প্যান। কলস্প্যান করার জন্য আমাদের প্রথমের ঘরে অর্থাৎ কাস্টমারের নাম যেখানে সেখানে কাজ করতে হবে। যেহেতু আমি নিচের কলামকে একত্রিত করছি সেক্ষেত্রে আমি MD.Mursalin এর ট্যাগে চলে যাচ্ছি।
এখন আমরা কাস্টমারের নামের ট্যাগ রেখে বাকি তিনটা ট্যাগ সিলেক্ট করে ব্যাকস্পেস চেপে ডিলিট করে দিব। তারপর td এর পরে একটা স্পেস দিয়ে colspan লিখে tab এ চাপ দিন। আবারো "" এর মধ্যে 4 দিয়ে সেভ করে রিফ্রেশ করে দিব।
টেবিল রি-কাস্টমাইজ পর্ব-২
টেবিল রি-কাস্টমাইজ পর্ব-২ এ আমরা জানবো আপনি কালার পরিবর্তন করা শিখবো। আমরা টেবিলের সৌন্দর্য বাড়াতে বিভিন্ন কালার ব্যবহার করে থাকি। তারই প্রেক্ষিতে আমরা শিখবো কীভাবে আপনি আপনার টেবিলকে রঙিন করবেন। সেইজন্য আমাদের style ট্যাগে যেতে হবে। যেখানে </style> ট্যাগ শেষ হবে সেখানে গিয়ে ওপরের লাইনে tr:nth এই ট্যাগ লিখবো। এখানে nth অর্থ ভবিষ্যতে আপনি যতগুলো child ব্যবহার করবেন সেগুলোও রঙিন হয়ে যাবে।
child অর্থ বর্তমানে যে কাস্টমাইজ টেবিল তৈরি করেছেন সেখানকার রো এর লাইনগুলোকে child বলা হয়ে থাকে। এই child দুই ধরণের একটি জোড় child আরেকটি বিজোড় child। আমরা যদি জোড় সংখ্যক child রঙিন করতে চায় তাহলে কোডটি লিখতে হবে tr:nth-child(even) এখানে even অর্থ জোড়।এরপর আপনাকে ব্যাকগ্রান্ড কালার সেলেক্ট করতে হবে সেইজন্য ওই ট্যাগের নিচে background-color: color name। আপনি যে কালারটা নিবেন সেই কালারের নাম লিখে দিবেন। পুরো কোডটি হলো
}
tr:nth-child(even){
background-color:yellow;
}
আর আপনি যদি বিজোড় গুলোকে রঙিন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে একই কোড ব্যবহার করতে হবে শুধুমাত্র even এর পরিবর্তে odd লিখে সেভ করলেই বিজোড় child গুলো রঙিন হয়ে যাবে।
আরো পড়ুনঃ Copyright মুক্ত ইমেজ ডাউনলোড করার উপায়
টেবিল রি-কাস্টমাইজ পর্ব-৩
টেবিল রি কাস্টমাইজ পর্ব-৩ এ আমরা জানবো একেকটি লাইনের কালার একেক রকম করার নিয়ম। আমরা যদি টেবিলের হেডারকে আমার নিজের ইচ্ছেমতো রঙ দিতে চায় সেক্ষেত্রে করণীয় কি চলিন তা জেনে নিই। তাহলে পূর্বে যে কোডটি ব্যবহার করেছেন তা সিলেক্ট করে ব্যাকস্পেস চাপুন তাহলে ডিলিট হয়ে যাবে। এখন আমরা আবার নতুন কোড ব্যবহার করব। তাহলে আমরা আবারো সেই জায়গায় ফিরে যাব।
এখন সেখানে th লিখে সেকেন্ড ব্রাকেট দিয়ে দিব এরপর Enter চেপে নিচে নামিয়ে দিন। এরপর সেখানে th{
background-color:green;
color:white
} কোডটি বাসান দেখবেন আপনার হেডার কালার পরিনর্তন হয়েছে সেই সাথে ফ্রন্টের কালারও পরিবর্তন হয়র গেছে color এর জায়গায় আপনি White এর জায়গায় আপনার ইচ্ছামতো কালার ব্যবহার করতে পারেন ঠিক ব্যাকগ্রাউন্ড এর ক্ষেত্রেই একই। আপনি যেখানে যেখানে কালার পরিবর্তন করতে চান একই কোড ঠিক ওই কোডের মথ্যে এই কোডটি পেস্ট করে দিলেই সেখানে কালার পরির্তন হয়ে যাবে।
এখন আপনি যদি চান বাকি যেই লাইনগুলো আছে সেগুলোর কালার পরিবর্তন করতে। আপনি চাইলে সেটিও করতে পারবেন। তাহলে চলুন সেটিও শিখে নেওয়া যাক। সেইজন্য আপনি যেখানে হেডার কালার এর কোড বসিয়েছেন সেখানে আবারো চলে যান। এরপর সেখানে } ব্রাকেটের নিচে নিম্ন কোডটি বসিয়ে দিন। কোডটি হলো: td{
background-color:blue;
color:white
এখন দেখেন পিছনের পুরো ব্যাকগ্রাউন্ড নিল এবং ফ্রন্ট কালার সাদা। মনে রাখবেন কালার কম্বিনেশন সব সময় ভালো রাখতে হবে। একটি কালার ডিপ আর আরেকটি কালার লাইট ব্যবহার করার চেষ্টা করুন।
ইন-আর্টিকেল ভিডিও কন্ট্রোলিং টেকনিকস
আর্টিকেল রাইটিং এ্যাডভান্স ফরম্যাটিং টেকনিকস এ ইন-আর্টিকেল ভিডিও কন্ট্রোলিং টেকনিকস অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের আর্টিকেলে এমন কিছু লিখি যে সকল বিষয়গুলো মুখে বোঝানো সম্ভব হয় না সেগুলো আপনি ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। আপনি চাইলে আপনার রেকর্ড করা ভিডিও সরাসরি ব্যবহার করতে পারবেন আবার চাইলে ইউটিউব থেকে ভিডিও আপলোড করতে পারবেন।
আমরা চেষ্টা করবো ইউটিউব থেকে ভিডিও আপলোড করার এতে কিছু সুবিধা রয়েছে। যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেল থাকে সেক্ষেত্রে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিও গুলো আপলোড দিতে পারেন এতে আপনার ভিউ বাড়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে আপনি আপনার আর্টিকেলে ইউটিউব ভিডিও আপলোড করবেন। সেজন্য যেই ট্যাগটি ব্যবহার হবে তা হলো <iframe src=""></iframe> ।এই ট্যাগের src এর অর্থ সোর্স। আপনি এই সোর্সটি পাবেন ইউটিউব থেকে।
সেইজন্য আপনাকে প্রথমে ইউটিউবে প্রবেশ করতে হবে। এরপর আপনি যে ভিডিওটি সংযুক্ত করবেন সেই ভিডিওর লিংক কপি করতে হবে তবে ভিন্ন উপায়ে। সেই জন্য ভিডিওতে প্রবেশ করে Share অপশনে ক্লিক করুন। এরপর Embed অপশনে ক্লিক করে copy থেকে কপি করুন। সেখানে দেখবেন <iframe দিয়ে শুরু করা আছে। সেক্ষেত্রে আপনি কোডিং এ কোডটি বসানোর সময় না লিখলেও চলবে।
এখন আপনি যেই জায়গায় চিডিওটি বসাবেন সাবকাইম এডিটরে গিয়ে কোডটি পেস্ট করে দিন। সেই সাথে ভিডিওর সাইজ width: 1100 রাখবেন আর hight: 425 রাখবেন তাহলে ভিডিওটি পুরো স্ক্রিন জুড়ে আসবে। এতে ভিডিওটির সাইজ দেখতে অনেক সুন্দ লাগবে।
আমাদের শেষকথা
আজকের আর্টিকেলের আলোচ্য বিষয় আর্টিকেল রাইটিং এ্যাডভান্স ফরম্যাটিং টেকনিকস এর যে হেডিং গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি অর্থাৎ টেবিল তৈরি করার যে নিয়মগুলো HTML, CSS প্রোগ্রাম ব্যবআর করে টেবিলকে স্টাইলিশ করে তুলা এছাড়াও আপনার আর্টিকেলে ভিডিও অ্যাড করার নিয়ম। আশাকরি সকল বিষয়গুলো ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। আপনার যদি কোন প্রকার ওয়েবসাইট থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই সেখানে এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করবেন।
এইরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। কারণ আমরা আমদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরণের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।
আবির ইনফো টেকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url