আর্টিকেল লিখার এ্যাডভান্স নিয়মকানুন - জানুন আর্টিকেল লিখে লাখ টাকা আয়
আর্টিকেল লিখার এ্যাডভান্স নিয়মকানুন আমরা অনেকেই জানি না। আমরা যারা আর্টিকেল লিখি তারা অনেকেই কীভাবে লিখতে হয় তা হয়তো জানি কিন্তু কিছু অ্যাডভান্স নিয়মকানুন রয়েছে যা অনেকেরই অজানা। আর্টিকেল পাঠককে পড়তে আকর্ষন করা আপনার আর্টিকেল লিখার উপর নির্ভর করে।
আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো আর্টিকেল লিখার এ্যাডভান্স নিয়মকানুন, আর্টিকেল ফরম্যাটিং টেকনিকস, HTML ফরম্যাটিং টেকনিকস, আর্টিকেল SEO লিস্টিং ট্যাগ পরিচিতি এছাড়াও আপনি কীভাবে পাঠককে আপনার আর্টিকেল পড়তে আকর্ষন করবেন তা আজকের আর্টিকেলে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
সূচীপত্রঃ আর্টিকেল লিখার এ্যাডভান্স নিয়মকানুন
- আর্টিকেল যেভাবে গ্রহনযোগ্য করে তুলবেন
- একটি পেজের সাথে আরেকটি পেজ লিংকিং করার নিয়ম
- একটি পেজের সাথে আরেকটি পেজ লিংকিং করে ইনকামের টেকনিকস
- এইচটিএমএল(HTML) ও সিএসএস(CSS) প্রোগাম ল্যাঙ্গুয়েজ কী?
- এইচটিএমএল(HTML) ও সিএসএস(CSS) প্রোগ্রাম প্র্যাকটিস করার নিয়ম
- এইচটিএমএল(HTML) কোডিং পরিচিতি
- আর্টিকেল এসইও (SEO) লিস্টিং ট্যাগ পরিচিতি
- এইচটিএমএল (HTML) কোড ব্যবহার করে লিস্টিং করার নিয়ম
- সিএসএস(CSS) প্রোগ্রাম পরিচিতি ও কাজের নিয়ম
- আমাদের শেষকথা
আর্টিকেল যেভাবে গ্রহনযোগ্য করে তুলবেন
আর্টিকেল যেভাবে গ্রহনযোগ্য করে তুলবেন তা একজন আর্টিকেল রাইটারের জানা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনি যদি এই আর্টিকেল লিখে লাখ টাকা আয় করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আর্টিকেল লিখার এ্যাডভান্স নিয়মকানুন খুব ভালোভাবে জানতে হবে। আর্টিকেল তখনই যখন আপনি আপনি আর্টিকেল মানসম্পন্ন ভাবে লিখবেন।আপনার আর্টিকেল তখনই র্যাংক হবে যখন আপনার লিখার মধ্যে ইউনিক কিছু থাকবে।
তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে আপনি আপনার আর্টিকেল সবার কাছে গ্রহনযোগ্য করে তুলবেন। আপনি যখন আর্টিকেল লিখবেন তখন আপনার আর্টিকেলে ৭টি বিষয় খুব ভালোভাবে ব্যবহার করতে হবে। সেগুলো হলো:
পাঠকের ইন্টারেস্ট ধরে রাখা
আর্টিকেল লিখার এ্যাডভান্স নিয়মকানুন মধ্যে এটি সবথেকে গুরুত্বপূণফ যে, আপনি আপনার আর্টিকেল লিখার সময় সবসময় এমন কিছু কথা ব্যবহার করবেন যাতে পাঠকের ইন্টারেস্ট বা আগ্রহ আরো বেড়ে যায়। যা কিছু লিখবেন তার মধ্যে কিছু চাটুকদার শব্দ ব্যবহার করবেন যাতে পাঠক বিরক্তি বোধ না করে। আর অবশ্যই কোন বেকের জিনিস লিখবেন না যাতে পাঠক সেখান থেকে চলে যায়। যে বিষয়ে লিখবেন সকল ইনফরমেশন দিয়ে লিখবেন যাতে একজন মানুষ উপকৃত হয়।
পাঠক যা জানতে আসছে তা যদি সে খুঁজে না পায় তাহলে কখনোই সেই পোস্ট বা আর্টিকেলে কেউ বেশিক্ষণ থাকবে না। আর আপনার ওয়েবসাইটে যদি কেউ বেশিক্ষণ না থাকে তাহলে সেখানে থেকে ইনকাম হওয়া অনেকটা কষ্টস্বাধ্য বিষয় হয়ে পড়বে। তাই এমন কিছু ওয়ার্ড, লাইন, ইনফরমেশন ব্যবহার করবেন যাতে আপনার ভিজিটর বাড়ে মানুষ আপনার আর্টিকেল পড়তে বাধ্য হয়। তাহলেই আপনার আর্টিকেল র্যাংকে আসবে।
ম্যাজিকাল টাইটেল ব্যবহার করা
আপনি যখন কোন আর্টিকেল লিখবেন সেই আর্টিকেলের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ম্যাজিকাল টাইটেল। আপনি কোন বিষয়ে পোস্ট লিখছেন সেই বিষয়কে আকর্ষণীয় করে মানুষের সামনে তুলে ধরাটাই মূলত ম্যাজিকাল টাইটেল। এই টাইটেল ৫-১০ শব্দের মধ্যে হতে হবে। এই টাইটেলে ৫-১০ শব্দের মধ্যে এমনকিছু ইন্টারেস্টিং শব্দ ব্যবহার করতে হবে যাতে পাঠক শব্দ দেখেই আপনার আর্টিকেলে পড়ার জন্য ক্লিক করে।
আপনাকে উদাহরণস্বরুপ বোঝানোর চেষ্টা করি, ধরুন আপনি একটি আর্টিকেল লিখছেন আপনার প্রতিপাদ্য বিষয় অনলাইন ইনকাম নিয়ে। এখন আপনি টাইটেল কে কীভাবে ম্যাজিকাল বানাবেন? আপনি এই অনলাইন ইনকাম এর সাথে এমন কিছু চাটুকদার ওয়ার্ড যোগ করুন যাতে মানুষ অধিক আগ্রহ নিয়ে আপনার আর্টিকেলে প্রবেশ করে। যেমন: অনলাইন ইনকাম করার ১০ গোপন টিপস বা কার্যকারী টিপস। এছাড়া আপনি লিখতে পারেন প্রতিদিন অনলাইনে ৫০০ টাকা ইনকাম করার ১০টি সেরা অ্যাপস বা ওয়েবসাইট ইত্যাদি।
আপনার ওয়েবসাইট বা আর্টিকেল মানুষ তখনই ভিউ করবে যখন সেখানে কিছু ইউনিক কিছু দেখবে। তাই অবশ্যই আপনি যখন কী ওয়ার্ড রিসার্চ করবেন এরপর সেই কী-ওয়ার্ডকে চাটুকদার করে তারপর টাইটেলে লিখে পাবলিশ করবেন এতে আপনার ভিউ, ক্লিক বেশি আসবে।
আমি আপনি শব্দের ব্যবহার করা
আমি আপনি শব্দের ব্যবহার করা অতীব জরুরী একটি বিষয়। যখন আপনি আমি ও আপনি শব্দের ব্যবহারটা করবেন এতে পাঠকের পড়তে ও বুঝতে সুবিধা হয়। কারণ পাঠক যদি বুঝতে না পারে তার যদি বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে আপনার আর্টিকেল লিখাটাই বৃথা। তাই কোন কিছু বুঝানোর ক্ষেত্রে বা উদাহরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই আমি আপনি ব্যবহার করবেন। আপনি যখন আমি আপনি শব্দ ব্যবহার করবেন তখন পাঠকের মনে হবে আপনি যেন তার সাথে কথা বলছেন।
উদাহরণ দিয়ে একটু বুঝানোর চেষ্টাকরি, আপনি যখন কোন একটি আর্টিকেল লিখবেন এবং সেই আর্টিকেলে যখন আপনি লিখবেন আমি এই কাজটি করে এতো টাকা ইনকাম করেছি বা আমি এই জিনিসটা ব্যবহার করেছি আপনিও করতে পারেন এমন যখন কথা গুলো লিখবেন তখন পাঠকের মন আপনি অনেকাংশেই জয় করে নিতে পারবেন। পাঠক যখন পড়বে তখন অনেকটাই ইন্টারেস্টের সাথে পড়বে যেন তার সাথে কেউ গল্প করছে এমন একটা উপলন্ধি চলে আসবে।
সঠিক পদ্ধতিতে এসইও (SEO) করতে হবে
সঠিক পদ্ধতিতে এসইও করতে হবে কারণ আপনি যদি গুগোলে যদি র্যাংক করাতে চান বা ভালো পজিশনে র্যাংক করাতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই এসইও খুবই ভালোভাবে করতে হবে। আর্টিকেল লিখার এ্যাডভান্স নিয়মকানুন গুলোর মধ্যে এসইও সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। এসইও অনেক জটিল একটি বিষয় যদিও এখানে বোঝানো সম্ভব নয়। আশাকরি এসইও নিয়ে একটি আর্টিকেল লিখে আপনাদের উদ্দেশ্যে পাবলিশ করা।
একটি পেজের সাথে আরেকটি পেজ লিংকিং করার নিয়ম
একটি পেজের সাথে আরেকটি পেজ লিংকিং অবশ্যই করতে হবে। একটি পেজের সাথে আরেকটি পেজ লিংকিং করার বিষয়টাকে বলা হয় ইন্টারনাল লিংকিং। আপনি একটি পেজের সাথে আরেকটি পেজ যখন লিংকিং করবেন তখন গুগোলের কাছে আপনার আর্টিকেলটি অনেকটা সাধারণের চেয়ে একটু ইউনিক মনে হয়। এরফলে সেই আর্টিকেলটি গুগোলে র্যাংক করার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।আপনি যেই আর্টিকেল লিখবেন সেই সকল বিষয়ের পোস্টগুলো আর্টেকেলে লিংকিং করবেন।
ধরুন আপনি অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে লিখছেন। সেক্ষেত্রে আপনার অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে আরো যে পোস্ট গুলো আছে সেগুলো নতুন আর্টিকেলে লিংক করে দিন। আপনি চাইলে এই লিং গুলো শব্দের সাথেও করতে পারেন আবার বাটন তৈরি করে করতে পারেন। বাটন তৈরি করার জন্য আপনাকে কোড জানতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ডেস্কটপে স্ক্রিনশট নেয়ার টেকনিকস। আর্টিকেল রাইটিং
আপনি কোন ওয়ার্ডের সাথে কীভাবে অন্য একটি পোস্টকে লিংক করবেন চলুন সেটা শিখে আসি। আপনি যে পোস্টটাকে লিংক করাতে চান সেি পোস্টের লিংক কপি করুন। আশাকরি আমরা সবাই লিং কপি করতে পারি। আর যারা পারি না তা সে পোস্টে যাবেন এবং মাুস সেই পোস্টের ওপর রেখে মাউসের রাইট বাটন ক্লিক করবেন। এরপর নিচে Copy link address এ ক্লিক করলেই আপনার পোস্টের লিংক কপি হয়ে যাবে।
এরপর আপনি যে ওয়ার্ডটিতে লিংক সেট করবেন সেই ওয়ার্ডটি সিলেক্ট করুন। এরপর উপররে দিকে লক্ষ্য করুন পিন আইকনের মতি একটি অপশন রয়েছে সেখানে ক্লিক করুন। এরপর আপনার সামনে একটি বক্স আসবে যেখানে উপরের লাইনে আপনার সিলেক্ট করা ওয়ার্ডটি যেটাতে লিং সেট করবেন তা লিখা আছে। নিচের লাইনটিতে কপি করা লিংকটি Ctrl+v চেপে পেস্ট করে দিন। এরপর Apply এ ক্লিক করুন। তাহলেই দেখবেন আপনার ওই ওয়ার্ডটি নীল কালার হয়ে গেছে।
একটি পেজের সাথে আরেকটি পেজ লিংকিং করে ইনকামের টেকনিকস
একটি পেজের সাথে আরেকটি পেজ লিংকিং করে ইনকামের টেকনিক রয়েছে এটা শুনে অনেকেই অবাক হচ্ছেন। আর্টিকেল লিখে লাখ টাকা আয় করা যায় এখানে অবাক হওয়ার তেমন কিছুই নেই বিষয়টি একেবারে সত্য। আমরা আগেই বলেছি আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইটে লিংক যংযুক্ত করবেন এতে আপনার ওয়েবসাইট ইউনিক হবে সে সাথে আপনার ওয়েবসাইটের ক্লিক বাড়বে। আর যত ক্লিক বাড়বে আপনি তত টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এছাড়াও আরো একটি উপায়ে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। সেটি হলো গুগোল অ্যাডসেন্স। এই গুগোল অ্যাডসেন্স থেকেই ইনকাম করাটা আমাদের সবার মূল লক্ষ্য। যেখান থেকে আপনি ভালো একটা বড় এমাউন্টের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আর সেই জন্য ইন্টারনাল লিংকিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ। চলুন বুঝার চেষ্টা করি এই গুগোল অ্যাডসেন্স এর সাথে ইনটারনাল লিংক এর সম্পর্কটা কোথায়। আপনি যখন গুগোল অ্যাডসেন্স পেয়ে যাবেন তখন আপনার ইন্টারনাল লিংক গুলো থেকে টাকা আসবে।
যখন আপনি একটি আর্টিকেল লিখলেন এবং সেই আর্টিকেলে আপনি কিছু বাটনে এবং চাটুকদার ওয়ার্ডে অন্য পোস্ট লিংক করলেন। যখন কোন পাঠক সেই লিংকে ক্লিক করবে তখন সেই পাঠকের সামনে একটি অ্যাড চলে আসবে। সেই পাঠক যখন ওই অ্যাডে ক্লিক করবে তখন আপনি সেই অ্যাড থেকে টাকা পেয়ে যাবেন। নিজের ওয়েবসাইটের গুগোল অ্যাডসেন্স অ্যাডগুলো কখনোই দেখবেন না কারণ এটা গুগোলোরে নীতিমালার বাইরে পড়ে।
এইচটিএমএল(HTML) ও সিএসএস(CSS) প্রোগাম ল্যাঙ্গুয়েজ কী?
HTML ও CSS প্রোগাম ল্যাঙ্গুয়েজ কী এটা জানা জরুরি একটি যিষয়। আমরা যেমন বাঙালি আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। সেহেতু আমি যদি কোন ইংরেজকে আমার মনের ভাব বোঝাতে চায় তাহলে সে নিশ্চই বাংলা বুঝবে না তাকে অবশ্যই ইংরেজিতে বুঝাতে হবে। ঠিক এমনটাই আপনি যখন ওয়েবসাইট ব্যবহার করবেন তখন ওয়েবসাইট বাংলা কোন কিছু বুঝবে না। সে বুঝবে কোডিং। আর এই HTML ও CSS প্রোগাম কোডিং এর ভাষা।
আমরা যেমন মানুষের সাথে কথা বলার জন্য বাংলা বা ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করি ঠিক তেমনি ওয়েবসাইটকে কমান্ড বা নির্দেশনা দিতে চাই বা ওয়েবসাইট মোডিফাই বা এডিটিং করতে চাই তাহলে আমাদের HTML ও CSS প্রোগাম ল্যাঙ্গুয়েজ এর মাধ্যমে দিতে হবে। এই দুইটাই একে অপরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা শুধি HTML ব্যবহার করে কোন ভালো কিছু করতে পারবো না সেখানে অবশ্যই আমাদের CSS প্রোগ্রাম ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ আর্টিকেল রাইটিং এর জন্য স্পিনিং-স্ক্রাপিং সহ ৬টি এ্যাডভান্স টিপস
আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে রঙিন বা বিভিন্ন স্টাইল কোন কিছু যদি দেখি সেগুলো মূলত CSS দ্বারা তৈরি করা আর সেগুলোর ভিত্তি হলো HTML দ্বারা পরিচালিত। সহজ একটা উদাহরণ দেই আপনাদের কিছুক্ষণ আগে আমরা যে লিংকিং এর বিষয়টি শিখলাম সেখানে আমরা বাটনে ও শব্দতে লিংকিং এর কথা পড়েছি। আপনি যখন ওয়ার্ডে কোন কিছু লিংক করেন তাহলে সেটা HTML দ্বারা তৈরি করা সম্ভব আর যদি বাটন তৈরি করেন সেটা স্টাইলের মতো অনেকটা সেক্ষেত্রে সেখানে CSS দ্বারা তৈরি করা সম্ভব।
এইচটিএমএল(HTML) ও সিএসএস(CSS) প্রোগ্রাম প্র্যাকটিস করার নিয়ম
HTML ও CSS প্রোগ্রাম প্র্যাকটিস করার নিয়ম আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে। আমরা এই দুইটি ল্যাঙ্গুয়েজ শিখার জন্য কম্পিউটারকে ব্যবহার করব। আপনি চাইলে ফোনেও প্র্যাকটিস করতে পারেন। এক্ষেত্রে আমাদের ২ই সফট্যওয়ার ব্যবহার করব। একটিতে লিখবো অপরটিতে এই লিখার ফলাফল জানতে পারব। যেই সফট্যওয়ারে আমরা লিখবো সেই সফটওয়ারটি হলো সাবলাইম টেক্সক্ট আর বেখানর ফলাফলা দেখবো সেটি হলো গুগোল ক্রম ব্রাউজার।
চলুন প্র্যাকটিস শুরু করা যাক। আপনি প্রথমে আপনার ইউন্ডো বা স্টার্ট মেনুতে ক্লিক করে সেখানে সার্চ করুন folder লিখে। আপনার যদি উইন্ডোজ 7,8 অথবা 10 হয় তাহলে Folder Option দেখাবে আর যদি উইন্ডোজ 11 বা 11 pro হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে File Explore Options দেখাবে। এরপর সেখানে ক্লিক করুন। আপনার সামনে একটি বক্স আসবে সেখানে প্রথমে View এ মাউস পয়েন্টার টা রেখে ক্লিক করুন।
এরপর নিচের দিকে এসে Hide extentions for known file types এ যদি টিকমার্ক দেওয়া থাকে তাহলে সেই টিক মার্কটা উঠিয়ে দিন এরপর Apply এ ক্লিক করুন। তাহলে আপনার স্ক্রিনে দেখবেন নতুন একটি ফাইল সংযুক্ত হবে। সেই ফাইলের শেষে এক্সটেনশন হিসেবে txt লিখা থাকবে। অথবা আপনি মাউসের রাইট বাটনে ক্লিক করে নিউ এ ক্লিক করবেন Text Document এ ক্লিক করবেন আপনার সামনে একটি ফাইল চলে আসবে।
সেই ফাইলটির নাম সেট করব। সেই ফাইলে .txt এর সামনে আপনার নাম লিখুন এরপর txt এর জায়গায় html লিখুন তাহলে দেখবেন সেই ফাইলটির লোগো গুগোল ক্রম ব্রাইজার হয়ে গেছে। যদি সেখানে ক্রম বাইজার ওপেন না হয়ে অন্য কোন ব্রাইজার ওপেন হয় তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি ক্রম ব্রাইজার সেট করবেন কীভাবে? চলুন সেটাও জেনে নেয়া যাক। আপনি ক্রম বাউজার দিয়েই করবেন অন্য ব্রাইজারে অনেক ধরণের সমস্যা হয়।
প্রথমে আপনি সেই ফাইলে মাউস কাউন্টার নিয়ে গিয়ে তার ওপর রাইট বাটনে ক্লিক করবেন। এরপর নিচের দিকে Propertise এ ক্লিক করুন এরপর Change এ ক্লিক করে ক্রম ব্রাউজার সেট করে নিন।
এখন আপনি সাবলাইম টেক্সট এ প্রবেশ করুন। এরপর সটাকে ধরে আপনার ডেস্কটপ স্ক্রিনে নিয়ে আসুন। এখন আপনি কিছুক্ষণ আগেই যে ফাইল টা ক্রিয়েট করেছেন অর্থাৎ abir.hml তা মাউসের লেফ্ট বাটনে দিয়ে ওই ফাইলটিকে ধরে রেখে সেই সাবলাইম টেক্সক্ট এর মধ্যে ছেড়ে দিন। এর আপনার ডেক্সটপ স্ক্রিনে সাবলাইম টেক্সট এডিটর একপাশে রাখুন আর আপনার ক্রিয়েট করা ফাইলটি পাশাপাশি রাখুন। তাহলে আপনি তৎক্ষনাত ফলাফল দেখতে পাবেন।
এখন আপনি সাবলাইন টেক্সটে < দিয়ে আপনি যে tag লিখতে চাচ্ছেন তার প্রথম অক্ষর লিখুন। ধরুন আমি html tag এর কোড লিখবো সেক্ষেত্রে আমি <h লিখলেই নিচে লিস্ট আকারে অনেকগুলো ট্যাগ আসবে। সেখানে থেকে html লিখা আসবে সেখানে ক্লিক করলেই html মার্কাপ ল্যাঙ্গুয়েজ শিখার জন্য যে বেসিক কোড গুলো জানা প্রয়োজন সেগুলো আপনার সামনে চলা আসবে।
এখন আপনাকে জানতে হবে কোথায় কি লিখবেন। আপনি সাবলাইমে খেয়াল করুন <title></title> আছে সেখানে গিয়ে ওই কোডের মাঝে গিয়ে আপনার লাম লিখুন বা টাইটেলে যা দিবেন সেটা লিখুন। আপনি বাংলা বা ইংরেজি দুইটাই লিখতে পারেন। এরপর <body> ট্যাগ এর নিচে একটি ফাকা লাইন রয়েছে সেখানে আপনি আপনার মতো করে কিছু লিখে ফেলুন। এরপর উপরের দিকে File এ ক্লিক করুন এরপর নিচের দিকে save এ ক্লিক করুন এছাড়া আপনি কী-বোর্ঘ থেকে ctrl+s চাপলেই সেভ হয়ে যাবে। এখন আপনার পাশে যে ক্রম ব্রাউজার আছে সেখানে রিফ্রেশ করুন। দেখবেন উপরে টাইটেলে নাম এবং বডিতে লিখা অংশ সাদা অংশে দেখাবে।
এইচটিএমএল(HTML) কোডিং পরিচিতি
HTML কোডিং পরিচিতি পর্বে আমরা HTML ল্যাঙ্গুয়েজ শিখার জন্য যে কোড প্রয়োজন সে গুলোর সাথে পরিচিত হবো। আমরা যখন বাংলাকে আক্ষরিক ভাবে চিনি তখন আমরা প্রথমে বর্ণ চিনি ঠিক এখানেও আপনাকে কিছু বেসিক কোডিং চিনতে হবে যেগুলো ছাড়া এও HTML ল্যাঙ্গুয়েজ শুরু করতে পারবেন না। আমরা আমাদের সাবলাইম টেক্সক্ট এডিটরে আবারো একটি ফিরে যায়। সেখানে যে কোডগুলো রয়েছে সেগুলোএ সাথে পরিচিত হওয়া যাক।
<!DOCTYPE. html> এটার অর্থ বোঝানোর আগে আপনাকে একটি উদাহরণ দিই আমরা মোবাইল ফোনে যে অ্যাপসগুলো ব্যবহার করি সেখান বিভিন্ন ভার্সন অ্যাপস থাকে। যেগুলো প্রতিনিয়ত আপডেট হওয়ার মাধ্যমে লেটেস্ট ভার্সন আসে। ঠিক এখানেই এই ব্যাপরটি ঘটছে। আপনি যখন HTML ল্যাঙ্গুয়েজ লিখছেন তখন যদি আপনি HTML ডকুমেন্ট লিখা শুরুর প্রথমেই <!DOCTYPE html> এটা লিখেন। এর মানে HTML 5 প্রগ্রামে আপনি কোডিং করছেন। যেটা লেটেস্ট একটি ভার্সন। এই DOCTYPE যে কোন ভাবে লিখতে পারেন।
<!DOCTYPE. html>, <!DocType. html>, <!Doctype. html>, <!doctype. html> এগুলো মূলত কেস সেনসেটিভ নয়। কেস সেনসেটিভ বিষয়টি হলো যেখানে বড় হাতের অক্ষরের প্রয়োজন সেখানে বড় হাতের অক্ষরই দিতে হবে যেখানে ছোট হাতের অক্ষর সেখানে ছোট হাতের অক্ষরই ব্যবহার করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে ইনকাম করার ১৫ টি কার্যকরী ট্রিকস
<html> এটা অর্থ আপনি কোন প্রোগ্রামিং ভাষায় লিখছেন। প্রাগ্রামিং ভাষা অনেক ধরণের রয়েছে যেমন: Java, CSS. HTML ইত্যাদি। আমরা যেহেতু html প্রোগ্রামিং করছি সেক্ষেত্রে সেখানে html লিখেছি। আরেকটি বিষয় একটু ক্লিয়ার করে দিই আমরা যখন কোনন লিখা লিখছি তার আগে < এই ধরণের ট্যাগ ব্যবহার করছি। এই ট্যাগটিকে শুরুর ট্যাগ বা ওপেনিং ট্যাগ বলা হয় আর </ এই ট্যাগটিকে শেষের ট্যাগ বা ক্লোজিং ট্যাগ বলা হয়।
<head> ট্যাগ এর মধ্যে আপনি যা কিছু লিখবেন সকল কিছু আপনার ওপরের টাইটেল বারে দেখাবে। আর <body> এই ট্যাগে ভিতরে যা কিছু লিখবো সকলকিছু আমাদের ক্রমের সাদা অংশে দেখাবে। এরপর <p> ট্যাগ আমরা ব্যয়আর করব অনেক জায়গায়। আমরা যেহেতু লাইন বাই লাইন লিখবো সেহেতু আমাদের p ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে। এই p ট্যাগ <body> এর নিচের লাইনে লিখব। <p লিখে কী-বোর্ড থেকে tab চাপ দিব। উদাহরণ: <p> আনি যা লিখতে পারেন</p>।
আরেকটি বেসিক ট্যাগ রয়েছে যেটিকে বলা হয় ব্রেক ট্যাগ। এই ব্রেক ট্যাগের কাজ হলো লাইন ভঙ্গ করা। আপনি যখন একটি লাইন লিখবেন তখন লাইনের পর লাইন লিখতে পারবেন তবে এমন কিছু যদি সংযুক্ত করতে হয় যা একটির নিচে আরেকটি দিতে হয় সেক্ষেত্রে কীভাবে করবেন। চলুন উদাহরণ দিয়ে দেখিয়ে দিই।
আর্টিকেল এসইও (SEO) লিস্টিং ট্যাগ পরিচিতি
আর্টিকেল এসইও লিস্টিং ট্যাগ পরিচিতি আর্টিকেল লিখার এ্যাডভান্স নিয়মকানুন গুলোর মধ্যে অন্যতম। আপনার ওয়েবসাইটকে ভালো পজিশনে নিয়ে যেতে সবথেকে বেশি ভূমিকা রাখে এসইও। আপনি আপনার ওয়েবসাইটে যত বেশি এসইও স্কোর বেশি হবে সেই ওয়েবসাইট তত ভালো রান করবে এবং তত ইনকাম হবে। তাহলে চলুন জেনে নিই এসইও লিস্টিং কী ও এর পরিচিতি।
আরো পড়ুনঃ অনলাইন ইনকাম করার উপায়। মোবাইল দিয়ে ১০০০ টাকা ইনকাম বিকাশ নগদ বা রকেটে পেমেন্ট
আমরা আমাদের ওবেবসাইটে মূলত যে লিসটিং করি তা অনেক ওয়েবসাইটে সেটিংসে আগে থেকেই সেট করা থাকে আবার অনেক ওয়েবসাইটে থাকে না। আজকে আমরা নিজেরা কোডিং করে লিস্ট তৈরি করব। আমরা দুই ধরণের লিস্ট তৈরি করতে পারব। একটি অর্ডার লিস্ট আরেকটি আন-অর্ডার লিস্ট। যেই লিস্টগুলো ১,২,৩ আকারে লিস্ট করা থাকে সেই লিস্ট গুলো অর্ডার লিস্ট আর যেই লিস্ট গুলো বুলেট লিস্টিং করা থাকে বা ডট আকারে থাকে আন-অর্ডার লিস্ট।
এইচটিএমএল (HTML) কোড ব্যবহার করে লিস্টিং করার নিয়ম
এইচটিএমএল কোড ব্যবহার করে লিস্টিং করার নিয়ম অনেকাংশেই সহজ। সেই জন্য আপনাকে সাবলাইম টেক্সক্টে যেতে হবে। এরপর আপনি যেখানে লিস্টিং করবেন সেখানে দেখবেন কোথায় </p> ট্যাগ রয়েছে। সেখান থেকে একটি লাইন নিচে আসতে হবে। এরপর অর্ডার লিস্টের যে ট্যাগ রয়েছে তা লিখতে হবে।অর্ডার ট্যাগের কোড হচ্ছে <ol> আর শেষ ট্যাগ হচ্ছে </ol>। এইবার <ol লিখে কী-বোর্ড থেকে tab চাপুন। তাহলে শেষ ট্যাগও যুক্ত হয়ে যাবে।
এখন আপনি <ol> ট্যাগের নিচের লাইন থেকে আপনি যেইগিলো লিস্টিং করবেন সেগুলো লিখতে থাকুন। লিখার পূর্বে আরো একটি ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে সেটি হলো <li> ট্যাগ। অর্থাৎ লিস্টিং ট্যাগ। আপনি এইভাবে লিখবেন <li>messi</li>। messi এর জায়গায় আপনি আপনার ওয়ার্ড বা লাইন লিখে দিন। উদাহরণস্বরুপ নিচের ছবিটি দেখুন তাহলে আশাকরি স্বচ্ছ ধারণা পেয়ে যাবেন।আন-অর্ডার লিস্ট তৈরি করার নিয়মও জেনে নিন। এটাও অনেকটা একই পদ্ধতি শুধুমাত্র কিছু কোডের পরিবর্তন হব। আর সেটা হলো <ol> ট্যাগের পরিবর্তে <ul> ট্যাগের ব্যবহার হবে। বাকি সবকিছু একই থাকবে। এই লিস্টিং পদ্ধতিও আপনাদের উদাহরণস্বরুপ নিচের ছবিটি দেখুন তাহলে আশাকরি আন-অর্ডার লিস্টিং সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পেয়ে যাবেন।
সিএসএস(CSS) প্রোগ্রাম পরিচিতি ও কাজের নিয়ম
সিএসএস(CSS) প্রোগ্রাম সম্পর্কে আমরা প্রথমের দিকে হালকা কিছু ধারণা নিয়েছি। এই CSS প্রোগ্রামের কাজ হলো আপনার আর্টিকেল বা ওয়েবসািটের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা। বিভিন্ন স্টাইলিশ জিনিসপত্র বানানি মূলত এই CSS প্রোগ্রামিং এর কাজ। আমরা ওপরের হেডিং এ দেখেছি কীভাবে লিস্টিং করবেন। এখন এই লিখাকে যদি আপনি স্টালিশ করতে চান বা রং করতে চান তাহলে কী করবেন। কারণ করা বা স্টালিশ করে তুলা মূলত এই CSS প্রোগ্রামিং এর কাজ।
আমরা আমাদের আবারো সেও সাবলাইম টেক্সট এডিটরে চলা যাবো। সেখানে আমরা যেটা রঙিন করবো সেটা হলো Argentina player list: । এই লাইনকে রঙিন করার জন্য প্রথমে সেই লানের কাছে যাব এরপর <h2> ট্যাগের ডান সাইটের অ্যাঙ্গেল ব্র্যাকেট কেটে দিব। এরপর একটি স্পেস দিয়ে style লিখে tab এ চাপ দিলেই আপনার পুরো কোডটি চলে আসবে। এবার "" এর মধ্যে আমরা লিখবো color:color name; । color name এর জায়গায় আপনি যেই কালার করবেন সেই কালারের নাম বসিয়ে দিবেন red, blue ইত্যাদি। এরপর > দিয়ে দিন।
এখন আপনি যতবার h2 ট্যাগ ব্যবহার করবেন ততবার এইরকম CSS প্রোগ্রামের style লিখে সেগুলোকে রঙিন করবেন? আপনি চাইলে করতে পারেন। তবে একটি পদ্ধতি রয়েছে যেখানে শুধুমাত্র কিছু নির্দেশনা দিয়ে দিলেই সব h2 ট্যাগ রঙিন হয়ে যাবে একে বলে ইন্টারনাল CSS । তাহলে চলুন শিখে নেওয়া যাক কীভাবে ইন্টারনাল CSS করবেন। তাহলে আবারো সাবলাইম টেক্সক্ট এডিটরে চালে যান।
এখন যেখানে head ট্যাগ শেষ হয়েছে সেখানে যান। ওপরের দিকে পেয়ে যাবেন। সেখান থেকে এক লাইন ওপরে <style> লিখে ট্যাপ করলেই পোরো ট্যাগ চলে আসবে। এখন মাঝের অংশগুলো কেটে দিব। দিয়ে </style> ট্যাগকে নিচে দিয়ে মাঝের লাইন থেকে লিখা শুরু করব। শুরুতে আমরা h2 লিখে { দিব। এর নিচের লাইনে color:color name; এর নিচের লাইনে আবারো } দিয়ে দিব। তার নিচে </style> থাকবে। এখন যতগুলো হেডিং দিবেন অর্থাৎ যতগুলো h2 ট্যাগ ব্যবহার করবেন ঠিক তত গুলোতে রঙিন হয়ে যাবে।
আমাদের শেষকথা
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আমরা আর্টিকেল লিখার এ্যাডভান্স নিয়মকানুন সেই সাথে আর্টিকেল লিখে লাখ টাকা আয়ের টেকনিকস সমূহ, HTML পরিচিতি, CSS পরিচিতি, কীভাবে কোডিং করবেন এই সকল বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশাকরি বিষয়গুলো সম্পর্কে স্বচ্ছ একটা ধারণা পেয়েছেন। যা আপনার ওয়েবসাইটকে আরি ভালো পজিশনে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে। অবশ্যই আর্টিকেল লিখার এ্যাডভান্স নিয়মকানুন মেনে আর্টিকেল লিখবেন এবং HTML ও CSS প্রোগ্রাম এর বেসিক কাজ গুলো করলে আপনি আর্টিকেল লিখে লাখ টাকা আয় করতে পারবেন।
এইরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। কারণ আমরা আমদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরণের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।
আবির ইনফো টেকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url