গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম - পুরুষের জন্য মেথির উপকারিতা

গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আজকে জানবো। মেথি গাছের পাতা ও ফল একটি ঔষুধি গুন সম্পন্ন উপাদান যা আমাদের অনেক রোগ থেকে মুক্তি দেয়। বিশেষ করে ছেলেদের গ্যাসট্রিকের সমস্যা সহ বিভিন্ন ধরণের রোগের মুক্তি দেয় এই মেথি। এছাড়াও এই মেথি গাছের ফল বা পাতা আয়ুর্বেদিক, ইউনানী ও কবিরাজী চিকিৎসাশাস্ত্রে ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।

গ্যাস্ট্রিকের-জন্য-মেথি-খাওয়ার-নিয়ম-পুরুষের-জন্য-মেথির-উপকারিতা-1

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো গ্যাস্ট্রিক ও ডায়াবেটিসের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম, ওজন কমাতে মেথি খাওয়ার নিয়ম, মেথি খাওয়ার উপকারিতা সকল কিছু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশাকরি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে উপকৃত হবেন।

সূচীপত্রঃ গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম পুরুষের জন্য মেথির উপকারিতা

মেথি কী?

মেথি হলো একটি অতি সুপরিচিত ওষুধিসম্পূন্ন গাছ। এই গাছের পাতা ও ফল দুটি আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। বিশেষকরে মেথি গাছের ফল বা পাতা আয়ুর্বেদিক, ইউনানী ও কবিরাজী চিকিৎসাশাস্ত্রে ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে। গ্রাম বাংলায় এই মেথির শাক খুবই জনপ্রিয় একটি সবজি। এছাড়াও মেথির কচি পাতা ও ডগা শাক খুবই জনপ্রিয় ও মসলা হিসেবে মেথির ব্যবহার সর্বজন। এই মেথিতে বেশ কিছু কার্যকরী উপাদান রয়েছে যেমন: আয়রন, ফাইবার, ভিটামিন সি, প্রোটিন, ফাইবার এবং নিয়াসিন। এই কার্যকরী উপাদান গুলো থাকার ফলে আমদের শরীরে ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা এমনকি হৃদরোগের সমস্যাও ভালো হয়ে যায়।

মেথি কেন খাওয়া উচিত 

গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম জানার পূর্বে কেন খাবেন তা জানা উচিত। আমরাজানি মেথিতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার রয়েছে। এই ফাইবার আমাদের দেহে কোলেস্টেরল কম করতে সাহায্য করে। আপনি যদি প্রতিনিয়ত ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে এই মেথি খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে রক্তের কোলেস্টেরলের পরিমাণ বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রণে থাকবে সে সাথে আপনি হৃদরোগের যে কোন সমস্যা হতে বিরত থাকবেন।

এছাড়াও মাটির যে ফল রয়েছে তা প্রতিনিয়ত খেলে আপনার শরীরে বিভিন্নরকমের সমস্যা দূর হয়ে যাবে। এই মেথির ফল আপনার শরীরের যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, শারীরিক সক্ষমতা বাড়ুিয়ে তুলবে, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে, গ্যাস্ট্রিকেরভ সমস্যা দূর করবে, রক্তাল্পতা দূর করবে, হজম শক্তিবৃদ্ধি করবে, ওজন কমাতে ও মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটাতেও মেথির বিকল্পতা নেই। এছাড়াও শিশুদের কৃমি জনিত সমস্যা দেখা দেয়। এই মেথি এইসকল রোগের প্রতিষেধক হিসেবে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

আরো পড়ুনঃ শিশুদের ঘন ঘন জ্বর আসার ৭টি লক্ষণ ও অভিভাকের করণীয়

গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম

মেথি খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে যা আমরা উপরের পয়েন্টিতে পড়লাম। মেথি আমাদের দেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রান্নার কাজে বেশি ব্যবহার হয়। ডাক্তরা আমাদের অনেক সময় বিভিন্ন রোগের কারণে এই মেথির ঔষধ দিয়ে থাকে। কিন্তু আপনি যদি এই মেথিকে সরাসরি খেতে পারেন তাহলে অনেকটাই উপকারে আসবে। তাই চলুন নেয়া যাক কীভাবে মেথি খাবেন তার সঠিক নিয়মাবলী। 

  • প্রথমত একটি পরিষ্কার গ্লাসে বিশুব্ধ পানি নিয়ে নিন।
  • এরপর সেই গ্লসে পরিমাণ মতো এক চা চামচ মেথি দিয়ে দিন তারপর তা সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন।
  • সকলে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে সেই পানি পান করুন ও ভেজানো মেথিও খেয়ে নিন। 
  • এরপর আপনি চাইলে সেই ভেজানো পানির মধ্যে একটু লেবুর রস ও একটু মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। 
  • শুধু মেথি সকালে খালি পেটে চিবিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও আপনি এই মেথি যেকোন কিছুর সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন। যেমন: তরকারিতে মেথি, রুটির সাথে, বিভিন্ন তরকারী ঝোলের সাথে, মেথির সবজির সাথে খেতে পারেন।
  • এছাড়াও আপনি যদি পানিতে ভেজানো মেথি না খেয়ে শুধুমাত্র পানি পান করবেন তাও আপনার শরীরকে সতেজ করে দিবে। অর্থাৎ আপনি রাতে এক গ্লাস পানিতে ২ চামচ মেথি দিয়ে তা সারারাত রেখে দিয়ে সকালে গুম থেকে উঠে পানি ছেকে নিয়ে সেই পানি পান করলে খুব কম সময়ের মধ্যে আওনাএ শরীরে পরিবর্তন আসবে।   

ছেলেদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা নিরাময়ে মেথি খাওয়ার সঠিক নিয়ম

পুরুষের জন্য মেথির উপকারিতা অনেক। গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি আমাদের জন্য অনেক উপকারি। আমদের দেশে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা প্রতিটি ঘরে ঘরে। আমরা এই সমস্যা থেকে পরিত্রানের জন্য বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ডাক্তার দেখিয়ে থাকি। তাও সেখান থেকে পরিত্রান পায় না। ভেষজ উপাদান হলো রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার মূল চাবিকাঠি। মেথি যেহেতু আর্য়ুবেদিক ঔষধ সেক্ষেত্রে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর করতে এই মেথি আপনাকে বেশ সাহায্য করবে। তাহলে চলুন নেয়া যাক কীভাবে মেথি ব্যবহারে আপনি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। 

প্রথমত আপনি একটি গ্লাসে পরিমান মতো পানি নিয়ে তাতে ১০ গ্রাম বা এক চা চামচ মেথি ভিজিয়ে দিন। এরপর তা সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। তারপর অন্য একটি পাত্রে মেথি গুলো আলাদা করে নিন। যদি স্বাদ বাড়াতে চান তাহলে সেই পানির ভিতরে একটু লেবু চেপে নিন ও তাতে কিছুটা পরিমাণ মধু মিশিয়ে নিন । এরপর খালি পেটে তা পান করুন এবং মেথিগুলো চিবিয়ে খেয়ে নিন। এই কার্যক্রমটি টানা তিন থেকে চার মাস নিয়ম মেনে করুব আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

অনেকেই আছেন যারা কাঁচা মেথি খেতে পারেন না। তাদের জন্য রয়েছে মেথির গুড়া যা আপনি নিমিষেই পানির সাথে মিশিয়ে পান করতে পারবেন। এই মেথির গুঁড়া প্রতিদিন ১ থেকে ২ চা চামচ নিয়ে একটু পরিষ্কার গ্লাসে বিশুদ্ধপানিতে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। টানা ৩ মাস পান করলে আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়া আপনি প্রতিদিন সকালে ও রাতে আধা চা চামচ করে দিনে ১ বার কাঁচা মেথি খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

গ্যাস্ট্রিকের-জন্য-মেথি-খাওয়ার-নিয়ম-পুরুষের-জন্য-মেথির-উপকারিতা-2

মেথি খাওয়ার ফলে যে সকল উপকার পাবেন 

গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানার পর আমাদের জানতে হবে আসলে এই মেথি ঠিক কোন কোন কাজে উপকারে আসে। শুধু পুরুষের জন্য মেথির উপকারিতা রয়েছে এমন নয়। মেথি খাওয়ার নানামুখী উপকার রয়েছে। শরীর সুস্থ রাখতে আমরা অনেকেই অনেক কিছু ব্যবহার করি। তার মধ্যে মেথি অন্যতম। মেথির সঠিক ব্যবহার আপনার শরীরকে রোগমুক্ত করে তুলতে পারে। তার আগে জানা দরকার মেথি কোন কোন ক্ষেত্রে উপকারে আসে। তাই চলুন জেনে আসি মেথি খাওয়ার ফলে আপনি যেসকল উপকার পাবেন।

ওজন কমাতে সাহায্য করে মেথি:

আমরা যারা অতিরিক্ত ওজন ও বাড়তি চর্বির অধিকারী তারা শরীর নিয়ে অনেক মুশকিলে থাকি। বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে এই মেথি আমাদের শরীরের ওজন কমাতে ও অতিরিক্ত চর্বি ঝরায়। তাই সুস্থ থাকার জন্য যেমন ওজোন কামনো ও চর্বি ঝরানো জরুরি তেমনি মেথির বিকল্পও কোন কিছু নেই। তাই প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ভাজানো মেথি চিবিয়ে খাবেন। সেই সাথে ভিজিয়ে রাখা পানিও পান করুন।

ত্বকের দাগ দূরীকরণে মেথি:

আমরা যারা রূপচর্চা করতে পছন্দকরি তাদের জন্য মেথি হতে পারে সবথেকে ভালো একটি উপাদান। আমাদের অনেকেরই ত্বকে দাগ দাগ হয়ে থাকে বা স্পট পড়ে থাকে। এই স্পট দূর করার জন্য মেথি খুব ভালো ভূমিকা পালন করে। তাই নিয়মিত মেথি খাওয়ার ফলে আপনার ত্বকের স্পট বা দাগ দূর হয়ে হবে এবং সেই সাথে আপনার ত্বকে উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে।

আরো পড়ুনঃ সবরি কলার উপকারিতা  ও পুষ্টিগুণ

রক্তের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে মেথি:

আমরা অনেকেই জানি মেথিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে। আমাদের শরীরে ফাইবারের অভাবে রক্তে কোলেস্টেরল হয়। তাই আপনি যদি নিয়মিত মেথি খান তাহলে আপনার শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমান বাড়তে পারবে না বরং নিয়ন্ত্রিত থাকবে। মেথি চিবিয়ে ও মেথির পানি পান করলে আপনার রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) কমে যায় আর ভালো কোস্টেরলের (HDL) পরিমাণ বেড়ে যায়।

ডায়াবেটিস কমাতে ও নিয়ন্ত্রণে মেথি:

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে মেথি ব্যাপক ভূমিকা রাখে। আমাদের শরীরে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে মেথির ব্যবহার অতুলনীয়। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য প্রতিদিন ইনসুলিনের প্রয়োজন হয়। তারই প্রেক্ষিতে নিয়মিত মেথি খাওয়াতে শরীরে ইনসুলিন বৃদ্ধি পায় এতে ডায়াবেটিসের জটিলতা রোধে সহায়ক হিসেবে কাজ করে।

ক্যান্সারের প্রকোপ কমাতে মেথি:

বর্তমান সময়ের মরণব্যাধি একটি রোগ হলো ক্যান্সার। এই ক্যান্সার নিরাময়ে মেথি অনেকটা সাহায্য করে। এই মেথি ক্যান্সারের টিস্যু বৃদ্ধি হতে বাধা দেয় না। বিশেষ করে ব্রেস্ট ও কোলন ক্যান্সারের জন্য মথি অনেক ভূমিকা রাখে। তাই প্রতিনিয়ত মেথি খাওয়ার ফলে আপনি ক্যান্সার নামক মরণব্যাধি রোগ থেকে মুক্তি লাভ করতে পারেন।

কিডনি সুস্থ রাখতে মেথি:

নিয়মিত মেথি খেলে বা মাথির চা পান করলে আপনার কিডনি সুস্থ্য থাকবে। মেথির পানি বা মেথির চা পান করাতে আপনার কিডনি পরিষ্কার থাকবে সেই সাথে ইউরিন ক্লিয়ার থাকে, কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। তাই নিয়মিত মেথি খাওয়ের নিয়ম গড়ে তুলুন সাথে কিডনিকে সুস্থ্য রাখুন।

মাসিকের ব্যাথা দূর করতে মেথি:

মেয়েদের একটি প্রাকৃতিক রোগ হচ্ছে পিরিয়ড বা মাসিক। প্রতিমাসেঢর একটি সময়ে এই রোগটি হয়ে থাকে। যদিও এটাকে রোগ বলা হয় না স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। কিন্তু এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বেশ কিছু দিন স্থায়ী থাকে এবং সেই সাথে ব্যাথা অনুভব হয়। এই ব্যাথা অনুভব কম করাতে মেথি বেশ ভালো ভূমিকা রাখে। মাসিকের প্রথম ৩ দিন ১৭০০ থেকে ২৭০০ মিলিগ্রাম মেথি গুঁড়া ও পরবর্তী দিনগুলোতে ৯০০ মিলি গ্রাম করে প্রতিদিন ৩ বার মেথি গঁড়া খেলে মাসিকের ব্যাথা কিছুটা হলেও উপশম হয়।

কৃমি দূর করতে মেথি:

কৃমির জন্য আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়ে থাকি। সেক্ষেত্রে মেথি হতে পারে কৃমি নিরাময়ে ভালো একটি ওষুধ। তাই কৃমি নিরাময়ে প্রতিদিন মেথি খেতে হয়ে। 

চুলের যত্নে মেথি:

বিশেষকরে মেয়ারা চুলের যত্নে কতো কি না করে। চুল ঘন করতে বা চুল লম্বা করতে বিভিন্ন ধরণের ঔষধ বা হারবাল ব্যবহার করে থাকে। তাতে কোন ধরণের কাজ ও হয়না। তাই চুলের যত্নে আপনি প্রতিদিন মেথির গুঁড়ার পেস্ট বানিয়ে বা গাছের মেহেদির পেস্ট বানিয়ে তে সাথে মেথি গুঁড়া মিশিয়ে চুলে লাগান তাহলে আপনার চুল লম্বা ও ঘন হবে।

গ্যাস্ট্রিকের-জন্য-মেথি-খাওয়ার-নিয়ম-পুরুষের-জন্য-মেথির-উপকারিতা-3

মেথি খাওয়ার পার্শ্বপতিক্রিয়া

প্রতিটি ওষুধেরই যেমন উপকারী দিক রয়েছে আবার অপকারী দিক ও রয়েছে। আবার অধিক সেবনের ফলে খুব খারাপ একটা প্রভাব ফেলে। ঠিক তেমনি ভাবে আপনি মেথি বা মেথি গুঁড়া উপকারী তাই বলে অধিক পরিমাণে সেবন করবেন তা নয়। কারণ এই মেথিরো কিছু পার্শ্বপতিক্রিয়া রয়েছে। গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে যেমন জেনেছি তেমনি এই মেথির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কেও জানা প্রয়োজন। চলুন নেয়া যাক মেথির পার্শ্বপতিক্রিয়া

  • আপনি যখন মেথি বা মেথির গুঁড়া কাঁচা বা পানির সংমিশ্রণে খাবেন তখন মুখের ভেতরে একধরণের তিতা ভাব তৈরি হবে। যার ফলে আপনার বমি বমি ভাব আসবে এবং মাথা ঘোরার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • আপনি যখন মেথি খাবেন তখন এই মেথি আপনার শরীরের রক্ত জমাট বাঁধতে প্রতিরোধ করে। কিন্তু আমাদের অনেকর েরক্ত পাতলা তারা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর খাবে। 
  • গর্ভবতী মায়েরা মেথি খাওয়ার পূর্বে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ মেথি খাওয়ার ফলে সময়ের আগেই বাচ্চা গর্ভপাত হয়ে যাওবার ঝুঁকি থাকে।
  • যারা শ্বাস কষ্টের বা হাঁপানি রোগে ভুকছেন তারা মেথি বা মেথির গুঁড়া বা মেথির পানি সকল কিছধ থেকে দূরে থাকবেন। কারণ এগুলো সেবন করার ফলে আপবার সমস্যা আরো বেড়ে যেতে পারে।
  • যাদের সুগার লেভেল বা ডায়াবেটিস আগেই অনেক কম তার অবশ্যই মেথি পরিহার করবেন কারণ আপনার সুগার লেভেল আরো কমে যেতে পারে। 
  • আপনি যদি বেশি পরিমাণে মেথি খেয়ে ফেলেন তাহলে আপনার পেটে তীব্র ব্যাথা বা ডায়রিয়া হয়ে যেতে পারে।
  • আমরা অনেকেই জানিনা মেথি কিন্তু জরায়ুজ উদ্দীপক যা অতিমাত্রায় গর্ভাশয় সম্প্রসারণে সৃষ্টি হতে পারে। 

মেথি দিয়ে চা বানানোর প্রক্রিয়া

গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানার পর মেথি দিয়ে চা বানানোর প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা যাক। আমরা অনেকেই আছি যারা সরাসরি মেথি খেতে পারি না। তার বিকল্প হিসেবে আমরা পানির সাথে বা গুঁড়ার সংমিশ্রণে পান করি। এতেও যদি আপনি সমস্যাবোধ করেন তাহলে আপনি চায়ের মতো করে পান করতে পারেন। যে চায়ে থাকবে না কোন চা পাতা এবং চিনি। চলুন নেয়া যাক চাপাতা ও চিনি ছাড়া কীভাবে মেথি চা বানাবেন। 

প্রথমত একটি কেটলিতে পানি দিয়ে গরম করতে বসিয়ে দিন। এরপর যখন পানি ফুটতে শুরু করবে ঠিক সেইসময় আপনি পানির মধ্যে এক চা চামচ মেথি গুঁড়া দিয়ে দিন। আপনি চাইলে এর মধ্যে তুলসী পাতা ও কিছু পরিমাণে কালোজিরা দিয়ে পাঁচ মিনিটের মতো ফুটতে দিন। এরপর একটি ছাকনি দিয়ে ছেকে হালকা ঠান্ডা করে পান করুন। এতে আপনার ডায়াবেটিস অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলা আসবে।

আমাদের শেষকথা 

প্রিয় পাঠক, আশাকরি আজকের আর্টিকেল থেকে মেথি কি , গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম পুরুষের জন্য মেথির উপকারিতা, কোন কোন ক্ষেত্রে আপনার উপকারে আসবে,কী কী রোগ থেকে মুক্তি পাবেন এবং কীভাবে ব্যবহার করবেন সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আর মনে রাখবেন আপনি যদি কোন রোগে আক্রান্ত থাকেন এবং তার জন্য কোন প্রকার ওষুধ সেবন করে থাকেন তাহলে ওষুধ সেবনের  ঠিক ২ ঘন্টা পূর্বে বা ২ ঘন্টা পরে মেথি ব্যবহার করবেন।

এইরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। কারণ আমরা আমদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরণের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আবির ইনফো টেকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url