পেঁয়াজের তেল বানানোর নিয়ম - ২ দিনে চুল পড়া বন্ধ করুন
পেঁয়াজের তেল বানানোর নিয়ম আমরা অনেকেই অনেকভাবে জনি ও সেই অনুযায়ী ব্যবহার করে থাকি। এছাড়াও আমরা বাজারের নামি দামি ব্র্যান্ডেরর অনিয়ন (Onion Oil) অয়েল ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু চুল ওঠা কোন ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না। ২ দিনে চুল পড়া বন্ধ করতে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম আছে যা আপনার চুল ওঠা একেবারেই বন্ধ হয়ে যাবে।
আজকের আর্টিকেলে আমরা মূলত জানবো পেঁয়াজ ব্যবহার করে আপনি কীভাবে খুব দ্রুত ২ দিনে চুল পড়া বন্ধ করবেন, কীভাবে চুলের যত্ন নিবেন, কীভাবে বাসায় পেঁয়াজ বা অনিয়ন অয়েল কীভাবে বানাবেন, উপকারিতা অপকারিতা সকল বিষয়ে আলোচনা করব।
সূচীপত্রঃ পেঁয়াজের তেল বানানোর নিয়ম- ২ দিনে চুল পড়া বন্ধ করুন
- পেঁয়াজের রস আসলেই কি চুল পড়া বন্ধ করতে পারে?
- অনিয়ন তেল বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ
- অনিয়ন বা পেঁয়াজের তেল বানানোর নিয়ম-১
- পেঁয়াজের তেল বানানোর নিয়ম- ২
- পেঁয়াজের তেল ব্যবহারের নিয়ম
- পেঁয়াজের তেল ব্যবহারের উপকারিতা
- পেঁয়াজের তেল ব্যবহারের অপকারিতা
- মেয়েদের ২ দিনে চুল পড়া বন্ধ করার তেল
- কোন কোন ভিটামিনের অভাবে চুল ঝড়ে পড়ে
- প্যারাসুট পেঁয়াজের তেল
- আমাদের শেষকথা
পেঁয়াজের রস আসলেই কি চুল পড়া বন্ধ করতে পারে?
পেঁয়াজ আসলেই কি চুল পড়া বন্ধ করতে পারে? প্রশ্নটা অনেকেরই মনে ঘুরপাক খায়। চুলের যত্নে পেঁয়াজের বিকল্প নেই বললেই চলে। কারণ চুলের বৃদ্ধিতে পেঁয়াজ অনেকটাই সাহায্য করে। পেঁয়াজের রসের ব্যবহার আপনার চুলের গোঁড়া কে যেমন মজবুত করে ঠিক আপনার চুলকে বৃদ্ধি ও ঘন করতে সাহায্য করে। আমরা অনেকেই জানি পেঁয়াজের রসে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে যা আপনার মাথার স্ক্যাল্পে নান ধরণের সংক্রমণ সহজেই সারিয়ে তোলে।
এছাড়াও পেঁয়াজের রসে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আপনার চুলকে ড্যামেজের হাত থেকে ফলিকলগুলোকে সুরক্ষা দিয়ে থাকে। এতে আপনার মাথার স্কিনে নতুন চুল গজাতে বা চুল বেড়ে ওঠার জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে তুলে। চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় যে উপাদানটি বেশি ভূমিকা রাখে তা হলো সালফার। আর এই সালফার পেঁয়াজে ভরপুর রয়েছে। আপনার মাথার স্কিনে যত সালফারের পরিমাণ বেশি হবে ততই আপনার চুল গজাবে ও বৃদ্ধি পাবে।
অনিয়ন তেল বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ
অনিয়ন তেল বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় কিছু উপকরণ রয়েছে। পেঁয়াজের তেল বা অনিয়ন অয়েল বানানোর নানাবিধ উপায় রয়েছে। ঘরে বসে আপনিও খুব সহজেই বানাতে পারবেন। যদিও মার্কেটে অনিয়ন অয়েল কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু মনে রাখবেন বাজারে আসল ও ভালো প্রোডাক্ট পাওয়া কতোটা মুশকিল। সেইজন্য চলুন জেনে নেয়া যাক ঘরে বসে কীভাবে সঠিক পদ্ধতিতে তেল বানবেন।
- পেঁয়াজ মাঝারি সাইজের ২ টা
- রসুন ৪ ভাগের ১ ভাগ (১/৪ কাপ)
- নারকেল তেল ১ কাপ
- মেথিদানা ১ টেবিল চামচ
- কারিপাতা আধা কাপ
- ভিটামিন ই ক্যাপসুল ৫টি
আরো পড়ুনঃ গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম পুরুষের জন্য মেথির উপকারিতা
অনিয়ন বা পেঁয়াজের তেল বানানোর নিয়ম-১
অনিয়ন বা পেঁয়াজের তেল বানানোর নানবিধ উপায় রয়েছে। যা আমাদের অনেকেরই জানা নেই। কিন্তু আজকে আপনিও জেনে যাবেন সঠিক পদ্ধতিতে কীভাবে পেঁয়াজের তেল বানাবেন। তাহলে চলুন জেনে যাক কীভাবে আপনি পেঁয়াজের রস বানাবেন।
প্রথমত আপনি তেল বানানোর পূর্বে মেথির দানা ২ টেবিল চামচ কমপক্ষে ২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। পেঁয়াজের বড় বড় টুকরো করে কেটে নিন এরপর ব্লেন্ডারে দিয়ে দিন। আর ব্লেন্ডার বা থেকে থাকলে পাটাতে বেটে নিন। এরপর রসুনের কোয়া গুলো ৪ ভাগের একভাগ দিন এবং সেই সাথে ৪ ভাগের ১ ভাগ সরিযাএ তেল দিয়ে মিহি করে নিন। এইবার ভিজিয়ে রাখা মেথিদানা ও কারি পাতা দিয়ে আবারো ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন বা পাটায় পিশে নিন।
এখন মোটা তলানিযুক্ত আয়রনের কড়াইয়ে তেল ও ২/৩ কাপ সরিষার তেল দিয়ে তা ভালোভাবে মিক্স করে নিন। এরপর চুলাতে হালকা আঁচে দিয়ে দিন এরপর ব্লিন্ডারে ব্লিন্ড করা উপাদানগুলো মিক্স করে দিন। এরপর নাড়তে থাকুন। আর যদি আপনার কারেন্টের চুলা থাকে তাহলে ৪০ থেকে ৪৫ এ রাখুন দিয়ে নাড়তে থাকুন। এরপর নামিয়ে একটি ছাঁকনি উপর পাতলা কাপড় বিছিয়ে আলাদা করে নিন। সেই তেলগুলো কাচের বয়ামে সংরক্ষণ করে ফ্রীজে রেখে দিন। এরপর হেয়ার প্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
পেঁয়াজের তেল বানানোর নিয়ম- ২
পেঁয়াজের তেল বানানোর উপায় বেশ কয়েকটা রয়েছে। তার মধ্যে সঠিক ও কার্যকারী উপায়গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যে একটি উপায় উপরে বলেছি এখন দ্বতীয়টা তুলে ধরছি যেটা আপনার জন্য সুবিধা মনে হয় সেটি ব্যবহার করতে পারেন। চলুন জেনে নেয়া যাক আরেকটি উপায়ে কীভাবে পেঁয়াজের তেল বানাবেন।
আপনি কতটুকু তেল বানাবেন সেই অনুযায়ী আপনাকে উপকরণ নিতে হবে। আপনি যদি বেশি পরিমাণে বানাতে চান তাহলে আপনাকে একটি আইডিয়ে দিই। আপনি যদি ৮০০ গ্রাম তেল তৈরি করতে চান তাহলে আপনাকে প্রায় ৩ কেজি ২০০ গ্রাম পঁয়াজ ব্যবহার করতে হবে। আর যদি অল্প পরিমাণে করতে চান তাহলে ২টি পেঁয়াজ নিন। এরপর পেঁয়াজের পেস্ট বানিয়ে নিন। এবং সেই পেস্ট থেকে রস গুলো বের করে নিন।
আরো পড়ুনঃ ছেলেদের তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কোন ব্র্যান্ড এর ফেইসওয়াশ ও ক্রীম ভালো
আপনি চাইলে পেঁয়াজ গুলোকে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে রস গুলো ছেকে নিয়ে নিতে পারেন। এরপর একটি পাত্রে পরিমান মতো নারকেল তেল নিয়ে নিন। এরেপর এই নারকেল তেল একটি কড়াইয়ে ঢেলে দিয়ে অল্প আচে ধীরে ধীরে গরম করতে থাকুন। আর যে পাত্রে পেঁয়াজের রস নিয়েছিলেন তা গ্রম তেলের মধ্যে ঢেলে দিন। এরপর ভালোভাবে তা মিশিয়ে নিন। এরপর তা কিছুক্ষণের জন্য ২-৪ মিনিট ফুটতে দিন। এরপর নামিয়ে ঠান্ডা করতে দিন।
পেঁয়াজের তেল ব্যবহারের নিয়ম
পেঁয়াজের তেল ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানি না। আমরা এতোক্ষণ কীভাবে পেঁয়াজের রস দিয়ে তেল বানাবেন তা সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জেনে গেছি। বাজারে পাওয়া নকল অনিয়ন তেলের পরিবর্তে ঘরে বসে খুব অল্প উপাদান ব্যবহার করে পেঁয়াজের তেল বানিয়ে তা ব্যবহার করতে পারবেন। যেহেতু আপনি পেঁয়াজের তেল বানানোর নিয়ম জেনে গেছেন সেহেতু বাসায় তাহলে পেঁয়াজের তেল কীভাবে ব্যবহার করবেন তা সম্পর্কেও তো জেনে নিতে হবে। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে আপনার নিজের হাতে বানানো তেল কীভাবে ব্যবহার করবেন।
প্রথমত আপনি তেল আপনার হাতের তালুতে নিয়ে নিন। এরপর এরপর তেল গুলো আঙ্গুলের ডগায় নিয়ে মাথার স্ক্যাপ এবং চুলের গোড়ায় খুব ভালোভাবে মাসাজ করুন। কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত এই মাসাজ করতে থাকুন। এতে আপনি খুব ভালো একটা ফল পাবেন। এরপর ১ থেকে ১.৫ ঘন্টা তেল মাথায় দিয়ে বসে থাকুন। শুধু মাত্র চুলের গোড়ায় নয় পুরো চুলেই লাগিয়ে রাখুন। যদি আপনি কোন তেল ব্যবহার করেন আগে থেকেই যদি সেটা আপনার চুলার জন্য ভালো মনে হয় তাহলে ২ টা তেল একসাথে মিক্স করেও ব্যবহার করতে পারেন।
আর অবশ্যই মনে রাখবেন, তেল চুলে লাগাবেন ও মাসাজ করবেন গোসলে যাওয়ার অন্তত ২ ঘন্টা আগে।যদি আপনার চুলে কোন প্রকার চিকিৎসা চলে তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপর ব্যবহার করবেন।
পেঁয়াজের তেল ব্যবহারের উপকারিতা
২ দিনে চুল পড়া বন্ধ করতে পেঁয়াজের তেল ব্যবহারের উপকারিতা বলে শেষ করার মতো নয়। চুলকে মজবুত করতে ও চুলকে বড় করতে পেঁয়াজের ভীষন উপকারিতা রয়েছে। আমরা অনেকেই জানি পেঁয়াজের রসে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা বিশেষকরে আপনার কিছু শরীরের এনজাইমের কর্মক্ষতা বৃদ্ধি করে যা চুপ পড়া থেকে বিরত রাখে ও চুলের গোড়া শক্ত করতে সাহায্য করে। এছাড়া পেয়াজের রসে থাকা সালফার চুল ভেঙ্গে যাওয়া, বিভক্ত হওয়া এবং পাতলা হওয়া থেকে রক্ষা করে।
আরো পড়ুনঃ শিশুদের ঘন ঘন জ্বর আসার ৭টি লক্ষণ ও অভিভাকের করণীয়
এছাড়াও পেঁয়াজের অন্যান্য পুষ্টিগুন উপাদান চুলের অক্সিডাজিং বন্ধ করে দেয়। এতে আপনার চুলের পিএইচ স্বাভাবিক থাকে ও তাড়াতাড়ি চুল পড়া ও পাতলা হওয়া থেকে বিরত রাখে। আপনার চুলের জন্য ও মাথার ত্বককে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য পেঁয়াজের রসের তেলের বিকল্প পাওয়াটা খুবই সংকট। আবার আপনের ত্বকের পুষ্টি জোগাতে, রক্তের প্রবাহ সঠিক রাখতে ও শক্তিশালী চুলের বিকাশ ঘটাতে এই পেঁয়াজের রস উৎসাহিত করে।
তারপর আপনি চাইলে যে কোন তেলের সাথে এই পেঁয়াজের রস মিক্স করে মাথায় দিতে পারবেন। এতে আপনার কোন প্রকার সমস্যা হবে না। শ্যাম্পু করার আগে আপনার মাথার ত্বকের পুষ্টির জন্য এই অনিয়ন তেল বা পেঁয়াজের তেল কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে।যা আপনার চুলকে শুষ্ক হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
পেঁয়াজের তেল ব্যবহারের অপকারিতা
পেঁয়াজের তেল ব্যবহারে তেমন কোন অপকারিতা নেই। তবে তেমন কোন ভয়াবহ অপকারিতা নেই বললেই চলে। তবে কিছু অপকারিতা রয়েছে সেই বিষয়গুলো না জানলেই নয় চলুন কয়েকটা অপকারিতা সম্পর্কে জেনে আসি-
শুষ্কতা: আমরা অনেক সময় দেখি এই পেঁয়াজের রস ব্যবহারের কারণে চুল শুষ্ক না রুক্ষ হয়ে যায়। তাই সেই দিকটা একটু বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে।
এলার্জি: পেঁয়াজ ব্যবহারের কারণেও আমরা অনেকসময় এলার্জির সমস্যা দেখতে পায়। এটা সবার ক্ষেত্রে হয় না। মূলত যাদের ত্বক অনেক সেনসেটিভ তাদের ক্ষেত্রে এই বিষয়টি দেখা যায়। তাই যাদের পেঁয়াজ ব্যবহারে সমস্যা মনে হবে অবশ্যই শরীরের কোন জায়গায় পেঁয়াজ ব্যবহার করে পর্যবেক্ষণ করে নিবেন।
পর্শ্বপ্রতিক্রিয়া: কিছু সংখ্যক মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় পেঁয়াজ বা অন্য যে কোন কিছু ব্যবহারে এলার্জিসহ ত্বকে জ্বালাপোড়া , চোখ জ্বালা, শ্বাসকষ্ট সহ আরো অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
মেয়েদের ২ দিনে চুল পড়া বন্ধ করার তেল
মেয়েদের চুল পড়া বন্ধ করার তেল অনেক রয়েছে। আপনার চুলের গোড়া শক্ত, চুল পড়া বন্ধে আপনি যদি শুধু পেঁয়াজের তেলই ব্যবহার করেন তাহলে যতটুকু উপকার পাবেন তার থেকে বেশি উপকার পাবেন কোন ভালো একটি তেলের সাথে মিক্স করে ব্যবহার করলে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কোন কোন তেলের সাথে পেঁয়াজের তেল ব্যবহার করে মাথায় দিলে চুলপড়া বন্ধ হয়ে যাবে।
ক্যাস্টর অয়েল: আমরা অনেকেই জানিনা ক্যাস্টর অয়েলে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।যা আমাদের চুল গজাতে সাহায্য করে। এছাড়াও আমাদের চুলে শায়নিং অর্থাৎ ঝলমলে একটি ভাব আনে ও চুলকে শক্ত করে।
আমন্ড অয়েল: আমন্ড অয়েকে ফ্যাটি এসিড ও ভিটামিন সমৃদ্ধ এই তেল আপনার চুলকে ভেঙ্গে পড়া থেকে রক্ষা করে। এর পাশাপাশি চুলকে জটহীন ও জলমলে করে তোলে।
নারকেল তেল: আমাদের চুলের যত্নে নারকেল তেলের গুরুত্ব অনেক। আমরা পেঁয়াজের তেল বানানোর নিয়ম এ দেখেছি নারকেলে তেলের ব্যবহার। সপ্তাহে একদিন বা দুইদিন অবশ্যই নারকেল তেল ব্যবহার করবেন এতে আপনার চুল ভালো থাকবে। কোনপ্রকার শুষ্কতা, জড়ে পড়া সহ সব সমস্যা দূর হয়ে যাবে। তবে এই তেলটি পেঁয়াজের তেলের সাথে ব্যবহার করাটাই উত্তম।
আরো পড়ুনঃ এলার্জিতে নিমপাতার বব্যহার
ভৃঙ্গরাজ তেল: ভৃঙ্গরাজ তেল সাধারণত ভৃঙ্গরাজ গাছ থেকে পাওয়া যায়। এই তেলটি মূলত আপনার চুলের বৃদ্ধতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এই তেলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই, লৌহ, ম্যাগনেসিয়াম। এইসকল উপাদানগুলো আপনার চুলের ফলিকলগুলোকে ও চুলের গোড়া শক্ত করতে সহায়তা করে। আপনি যদি আরো উপকার পেতে চান তাহলে আপনাকে এই তেলের সাথে আমলকী ও নিমপাতা যোগ দিতে হবে। এই দুইটার সংমিশ্রণে মাথার ত্বক সুস্থ থাকে ও চুলের বৃদ্ধিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এটা ব্যবহারের উপযুক্ত সময় রাতে ঘুমানোর পূর্বে।
কোন কোন ভিটামিনের অভাবে চুল ঝড়ে পড়ে
কোন কোন ভিটামিনের অভাবে চুল জড়ে পড়ে আমরা অনেকেই জানি না। এই চুল পড়ার পিছনে বেশ কয়েকটা ভিটামিনের ঘাটতি দেখা যায়। সেই সকল ভিটামিনের অভাবে আমাদের চুল ঝড়ে পড়ে ও রুক্ষ হয়ে যায়। তাহলে চলুন বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক কোন কোন ভিটামিনের অভাবে আপনার চুল পড়ে যায়।
- ভিটামিন-এ এর অভাবে চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে উঠে। আবার এই ভিটামিন এ এরই পরিমাণ যদি বেশি হয়ে যায় তাহলে আপনার চুল ঝড়ে পড়তে শুরু করবে। তাই আপনার খাদ্যতালিকায় ভিটামিন এ যুক্ত খাবার যেমন: গাজর, মুলা, গরুর দুধ, সবুজ শাকসবজি এই সকল কিছু রাখবেন।
- ভিটামিন-ই এর অভাবে আপনার চুল হতে পারে রুক্ষ। এই রুক্ষতা দূর করতে আপনাকে প্রতিনিয়ত ভিটামিন-ই যুক্ত খাবার গ্রহন করতে হবে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে ক্যাপসুল ভিটামিন-ই ব্যবহার করতে পারেন। ফার্মেসিতে কিনার আগে অবশ্যই তাদের অবগত করবেন যে আপনি চুলে ব্যবহার করার ভিটামিন-ই ক্যাপসুল নিবেন। যদিও খাওয়ারটা আপনি চাইলে মাথায় ব্যবহার করতে পারবেন। প্রয়োজন অনুসারে এই ভিটামিন-ই ক্যাপসুল আপ্তাহে ১-২ টা করে খাবেন।
- ভিটামিন-সি এর অভাবে আপনার চুল শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় লেবু জাতীয় ফল অবশ্যই রাখবেন। কমলা লেবু, বাতাবি লেবু, মাল্টা ইত্যাদি জাতীয় ফল গুলো অবশ্যই খাবেন।
- ভিটামিন-বি চুলকে চকচকে ও ঘয় করে তোলে। আর ভিটামিন-বি জাতীয় এর মধ্যে শস্যদানা, দুধ, ডিম, কলা, বাদাম, কলিজা ও ডালে রয়েছে। যা আপনার চুলকেই বয় স্বাস্থ্যকেও সুস্থ রাখে।
প্যারাসুট পেঁয়াজের তেল
প্যারাসুট পেঁয়াজের তেল এখন বাজারে অনেক ধরণের পাওয়া যায়। চুলের বৃদ্ধির জন্য সম্প্রতি একটি তেল বাজারে পাওয়া যাচ্ছে সেটা হলো প্যারাসুট অ্যাডভান্স অনিয়ন হেয়ার গ্রোথ অয়েল। যা আপনার চুলকে বৃদ্ধতি করতে সাহায্য করবে। এই তেলটি মূলত পেঁয়াজের নির্যাস ও ভিটামিন-ই এর সমন্বয়ে তৈরি। অর্থাৎ এই তেলের মধ্যেভ আপনি নারকেল তেল ও পেঁয়াজ দুটোর ব্যবহারই পেয়ে যাবেন। আপনি যদি বাসায় বসে প্রাকৃতিক উপায়ে তেল বানাতে না পারেন বা ঝামেলা বোধ করেন তাহলে আপনার জন্য এই প্রোডাক্টটি ভালো হতে পারে।
এই পণ্যের মধ্যে পেঁয়াজের যে একধরণের গন্ধ রয়েছে যা কখনোই পাবেন না কারণ এর মধ্যে রয়েছে একধরণের সুগন্ধি যা পেঁয়াজের কটু গন্ধ থেকে দূরে রাখে। কিন্তু মনে রাখবেন প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি ও বাজারজাতকরণ পণ্যের মধ্যে অনেক তফাৎ রয়েছে। তাই যতদূর সম্ভব আপনি বাসায় প্রাকৃতিক উপায়ে বানিয়ে তা ব্যবহার করলে সবথেকে বেশি উপকারে দিবে।
আমাদের শেষকথা
প্রিয় পাঠক,আশাকরি আজকের আর্টিকেলের বিস্তারিত আলোচনা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। যেহেতু আজকের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল পেঁয়াজের তেল বানানোর নিয়ম সেই সাথে কীভাবে নিজের চুলকে সুরক্ষা দিবেন, কীভাবে চুল পড়া রোধ করবেন। আপনি যদি এই সকল সমস্যার ভুক্তোভোগী হয়ে ধাকেন তাহলে অবশ্যই উপরে আলোচনা করা বিষয় গুলো মেনে চকুব আপনার চুল পড়া খুব সহজেই ও খুব দ্রুতই বন্ধ হয়ে যাবে।
এইরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। কারণ আমরা আমদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরণের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।
আবির ইনফো টেকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url