সাজেক ভ্যালির অবস্থান কোথায়? পাঁচ হাজার টাকায় সাজেক ভ্রমণ ও ৮টি টিপস
সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের পর্যটন এলাকা গুলোর মধ্যে অন্যতম। বাংলাদেশের মানুষ খুবই ভ্রমণ পিপাসু। আর এই ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের জন্য সাজেক সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় গন্তব্য স্থান। এই সাজেক ভ্যালি কোথায় অবস্থিত কোন জেলা বা বিভাগে অস্থিত তা নিয়ে সম্পূর্ণ আলোচনা করব।
আপনি সাজেক ভ্যালি সম্পূর্ণ ভ্রমণে অর্ধেকটা পথেই উপভোগ করতে পারবেন। আপনি যখন পাহাড়ের ভিতর দিয়ে যাবেন সেখানকার উপত্যাকার রাস্তা ও পাহাড়ি মনোরম পরিবেশ আপনার মন কেড়ে নিবে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক এই সাজেক ভ্যালি ভ্রমণে কেমন খরচ, দর্শনীয় স্পট সমূহ আরো অনেক কিছু জানবো।
সূচীপত্রঃ পাঁচ হাজার টাকায় সাজেক ভ্রমণ ও ৮টি টিপস
- সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের কোথায় অবস্থিত ও এর কিছু তথ্য
- সাজেক যাওয়ার পথে যা কিছু আপনার নজর কাড়বে
- সাজেক ভ্রমণে যে দর্শনীয় স্পট গুলো ঘুরবেন
- সাজেক ভ্যালি ভ্রমণের উপযুক্ত সময়
- ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি যাওয়ার উপায় ও খরচ
- খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাওয়ার উপায়
- খাগড়াছড়ি থেকে জীপে সাজেক ভ্রমণের সময়সূচী
- চট্টগ্রাম থেকে সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ
- রাঙামাটি থেকে সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ
- সাজেক ভ্যালি ভ্রমণের জন্য যে ৮টি টিপস মেনে চলবেন
- সাজেক ভ্যালিতে কোথায় খাবেন
সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের কোথায় অবস্থিত ও এর কিছু তথ্য
সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের রাঙামাটি জেলার উত্তরে ভারতের মিজোরাম সীমান্ত অবস্থিত। সাজেক ভ্যালি নামকরণ করা হয় মূলত কর্ণফুলী নদী হতে উৎপন্ন সাজেক নদীর নাম অনুসারে। এই সাজেক ভ্যালি রাঙামাটি জালার বাঘাইছড়ি উপজেলার একটি ইউনিয়ন। এই ইউনিয়ন বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন যার মোট আয়তন ৭০০ বর্গমাইল। এই সাজেকের উত্তরে রয়েছে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘানল, দক্ষিণে রয়েছে রাঙামাটি লোগাডু উপজেলা, উত্তরদিকে রয়েছে ত্রিপুরা এবং পূর্বদিকে রয়েছে ভারতের মেজোরাম।
সাজেক ভ্যালি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৮০০ ফিট উচ্চতায় এর অবস্থান। সাজেক ভ্যালি রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত। তবে ভৌগলিক কারণে খাগড়াছড়ি, দীঘানালা থেকে সাজেক যাতায়াত অনেক সহজ। খাগড়াছড়ি জেলা থেকে সাজেকের দূরত্ব ৭০ কি.মি। আর দীঘীনালা থেকে ৪৯ কি.মি। এছাড়া বাঘাইহাটি থেকে সাজেক ভ্যালির দূরত্ব ৩৪কি.মি.। যেহেতু সাজেক ভ্যালি বর্তমানে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য প্রাণকেন্দ্র হয়ে দাড়িয়েছে তার পিছে কারণটা হলো এই উপত্যকায় রয়েছে পাহাড়, ঘন জঙ্গল, চারিদিকে সবুজ আর সবুজ গাছপালা।
এর চেয়ে আরো বড় কারণ হচ্ছে সেখানকার প্রকৃতি ও ফ্রেশ বাতাস। এছাড়া আপনার মনে হবে আপনি যেন মেঘের রাজ্যে বসবাস করছেন। সাজেক ভ্যালিতে সকাল-বিকাল প্রকৃতি বদলায়। যা মানুষের মনকে সতেজ করে দেয়। পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে বেয়ে গেছে ছোট ছোট নদী। যার মধ্যে রয়েছে কাচালাং ও মাচালাং।
সাজেক যাওয়ার পথে যা কিছু আপনার নজর কাড়বে
সাজেক ভ্যালি যেহেতু উপত্যকায় অবস্থায় সেহেতু এর পথ র্দুগম। এই উপত্যকায় প্রতিবছর মানুষ প্রকৃতির টানে ভ্রমণে আসে। এই সাজেক ভ্যালির উপত্যককে রাঙামাটির ছাদ ও পাহড়ের রাণী বলা হয়। সাজেক যেতে হলে আপনাকে দীঘীনালা আর্মি ক্যাম্প হয় যেতে হবে। এছাড়া সাজেক যাওয়ার সময় চোখে পড়বে দশম বাঘাইাট পুলিশ ও আর্মি ক্যাম্প যেখান থেকে আপনাকে সাজেক যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। তারপর দেখবেন টাইগার টিলা আর্মি ক্যাম্প ও মাচালাং বাজার।
এই মাচালাং বাজার পার হলে সাজেকের প্রথম গ্রাম পাবেন। যার নাম রুইলুই পাড়া, যার গড় উচ্চতা ১৮০০ ফুট। এই রুইলুই পাড়া সাজেক উপত্যকা একদম কাছাকাছি। সাজেকের বিজিবি ক্যাম্পই হলো মূলত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিজিবি ক্যাম্প। সুর্যাস্তের পরেও সাজেক রূপ বদলাতে থামে না। সন্ধার পর পরই সাজেকের আকাশে দেখা মিলবে তারা নক্ষৱত্র। রিফ্রেশ পরিবেশ কোন প্রকারের দূষণ হওয়ার কারণ দেখেই সেখানকার আকাশ একদম পরিষ্কার।
সাজেক ভ্রমণে যে দর্শনীয় স্পট গুলো ঘুরবেন
যারা প্রকৃতিকে ভালোবাসে তাদের জন্য সবসময় পাহাড় সবার প্রথমে থাকে। আর পাহাড়ের তালিকায় সাজেক সবার ওপরে অবস্থান করে। এই সাজেকের আকর্ষণীয় স্থান হলো কংলাক পাড়া। কংলাক হলো সাজেকের সবচেয়ে উঁচু স্থান। এই পাড়াটি লুসায় জনগোষ্ঠি দ্বারা পরিচালিত। এই কংলাক পাড়া থেকে আপনি পুরো সাজেক দর্শন করতে পারবেন। কিন্তু মাঝে মাঝে বিজিবি ক্যাম্প থেকে নিরাপত্তার জন্য যেতে বাঁধা দেওয়া হয়। আপনার ভাগ্য ভালো হলে দিগন্ত দেখা পাবেন রংধনুর। এই অপরুপ সৌর্ন্দয্য উপভোগ করতে হলে আপনাকে কংলাক চূড়া পর্যন্ত উঠতে হবে।
এর জন্য আপনাকে ৪০ মিনিটের মতো ট্র্যাকিং করতে হবে। এই কংলাক ভ্রমণের আদর্শ সময় হলো বিকেল। তবে আপনি চাইলে কংলাক চূড়ায় অবস্থান করে সূর্যাস্ত দেখতে পারেন। যা আপনার জীবনে অনন্য স্মৃতি হয়ে থাকবে। তাছাড়া সাজেকের নিচে একটি ঝর্ণা আছে। এই ঝর্ণার নাম কমলক ঝর্ণা। এর মুল নাম পিদাম তৈস বা সিকাম তৈসা। রুইলুক পাড়া থেকে এই তৈসা ঝর্ণা ট্রেকিং করতে মোটামোটি আসা যাওয়া মিলিয়ে ৪ ঘন্টার মতো সময় লাগে।সাজেক ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলায়। কখনো বা রোদ কখনো বা বৃষ্টি আবার কখনোবা মেঘে মেঘাচ্ছন্ন।
সাজেক থেকে ফেরার পথে আপনি হাজাচোরা ঝর্ণা, দীঘীনালা খুলন্ত ব্রীজ, আলুটিলা গুহা, দিঘীনালা বনবিহার দেখতে পারবেন। এই সকল জায়গা অনেক সৌন্দর্য যা আপনাকে আবার সাজেকে নিয়ে আসবে। ছোট্ট গ্রুপ গেলে অবশ্যই এগুলোতে সময় কাটাবেন।
সাজেক ভ্যালি ভ্রমণের উপযুক্ত সময়
সাজেক তার সৌন্দর্য প্রতিটি মৌসুমেই আলাদা আলাদা ভাবে রূপ দেয়। শীতের সাজেক একরকম, বর্ষার সাজেক আরেকরকম, গ্রিষ্মের সাজেক আরেক রকম। তাই ভ্রমণ পিপাসুরা সারাবছরই সাজেক ট্যুর দিয়ে থাকে। তবে বর্ষার শুরু থেকে শীতের শুরু পর্যন্ত অর্থাৎ মে মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত প্রকৃতির অন্যরকম একটা সতেজ থাকে যা সাজেককে অপরূপ সাজে সাজিয়ে তুলে। সে সাথে সারাদিনভর মেঘ ভাসতে থাকে। যা দেখে মনে হবে মেঘ আপনাকে হাত ছানি দিয়ে ডাকছে।
ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি যাওয়ার উপায় ও খরচ
আপনি পাহাড় বা সমুদ্র যেখানেই যান না কেন আপনাকে ঢাকা আসতেই হবে। সেক্ষেত্রে প্রথমে আপনাকে ঢাকা আসতে হবে। সাজেক রাঙামাটি জেলায় অবস্থিত হলেও আপনাকে খাগড়াছড়ি আসতে হবে। যেহেতু খাগড়াছড়ির দীঘীনালা থেকে সাজেক যাওয়া খুব সহজ সে জন্য এই পথটাই বেস্ট। ঢাকা থেকে খাগড়াছড়ি আসার জন্য সৌদিয়া পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন, শান্তি পরিবহন। এস আলম পরিবহন, ঈগল পরিবহন, হানিফ পরিবহন,ডলফিন পরিবহন ইত্যাদি পরিবহনগুলো সার্ভিস দিয়ে থাকে।
এইসকল বাসগুলো যার মধ্যে এসি, নন এসি দুটোই পাবেন। নন এসি বাসগুলোর ভাড়া ৫২০ টাকা (পরিবর্তন যোগ্য) । আপনি চাইলে BRTC বা সেন্টমার্টিন পরিবহনে এসিতে ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা লাগে। সৌদিয়া পরিবহন, শ্যামলী পরিবহন, শান্তি পরিবহন, এস আলম পরিবহন, ঈগল পরিবহন, হানিফ পরিবহন,ডলফিন পরিবহন গুলোর এসিতে ৯৫০ থেকে ১২৫০ টাকা ও নন এসিতে ৫২০ টাকা ভাড়া নিয়ে থাকে। এইসকল বাসগুলো ঢাকার গাবতলী, কলাবাগান, ফকিরাপুল ও আরামবাগ হতে ছেড়ে যায়। লাস্ট বাস ছাড়ে রাত এগারোটাই।
খাগড়াছড়ি থেকে সাজেক যাওয়ার উপায়
সাজেকে যাওয়ার জন্য আপনি কোনো প্রকার লোকাল গাড়ি, বাস ও শেয়ার্ড জিপ পাবেন না। আপনাকে সেখানকার গাড়ি রির্জাভ করতে হবে। আর সেখানকার গাড়ি চান্ডের গাড়ি বা মাহেন্দ্রা গাড়ি নামে পরিচিত। যা সাজেক যাওয়ার প্রধান বাহক। এই রির্জাভ গাড়ি আসা যাওয়া মিলিয়ে ৮০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। আপনি চাইলে তাদের সাথে দামাদামি করতে পারেন। একটি গাড়িতে ১০-১২ জন বসার পারমিশন রয়েছে। আপনি যদি একা ভ্রমণ করেন তাহলে অবশ্যই কোন একটা গ্রুপের সাথে এড হয়ে যাবেন। সে সেক্ষেত্রে আপনার খরচ কমে যাবে।
আপনি সেখান থেকে সিএনজিও পেয়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে সিএনজিতে আপনার ভাড়া পাবেন ৪০০০ থেকে ৫০০০ টাকা খরচ হতে পারে। তবে সিএনজিতে অনেক রিস্ক হয়ে যায়। আপনার সাজেক ভ্যালিতে পৌঁছাতে প্রায় ৬ ঘন্টা লাগতে পারে। যেহেতু রাস্তা উঁচু নুচু সেক্ষেত্রে সিএনজি তে ভ্রমন না করাই ভাকি। তাই স্বল্প খরচে সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ করতে জীপ এ যাওয়াটা ভালো।
খাগড়াছড়ি থেকে জীপে সাজেক ভ্রমণের সময়সূচী
আপনি চাইলে ঢাকা বা চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি দীঘীমালার বাসে উঠবেন। এখান থেকে আপনি সরাসরি জীপ পেয়ে যাবেন। তাছাড়াও খাগড়াছড়ি থেকে আপনি যদি উঠেন তাহলেও দীঘীমালা হয়েই যাবে। খাগড়াছড়ি থেকে আপনার সাজেক যেতে প্রায় ৩ ঘন্টা লাগে। দীঘীনালা থেকে পরের আর্মি ক্যাম্পে আর্মি স্কর্ট দিয়ে সাজেকের উদ্দ্যশ্যে রওনা হবে। স্কট ছাড়ে ২ তা সময়ে। প্রথমটা ৯:৩০ মিনিটে এবং দ্বিতীয়টা ২:৩০ মিনিটে। আপনাকে ৯:৩০ মিনিট এর মধ্যে আর্মি ক্যাম্পে উপস্থিত হতে হবে।
যদি কোন কারণে তা মিস হয় তাহকে আপনাকে ২:৩০ মিনিটে সাজেক যেতে হবে। আর তাও যদি মিস করেন তাহলে আপনাকে পরের দিনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। যদি আপনি সিএনজি নিয়ে একা যেতে চান তাহলে আপনার ঝুঁকি অনেক বেশি বেড়ে যাবে।
চট্টগ্রাম থেকে সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ
চট্টগ্রাম থেক সাজেক ভ্যালি যাওয়া এখন অনেক সহজ। আপনি BRTC ও শান্তিপরিবহণের বাস পেয়ে যাবেন।সকাল থেকে BRTC বাস ছেড়ে যায় খাগড়াছড়ির উদ্দেশ্যে। BRTC এসি বাসের ভাড়া মাত্র ২০০ টাকা। সকাল থেকে BRTC এসি বাস অবশ্য ৪টি করে পরিচালনা করা হয়। এছাড়াও অক্সিজেন মোড় থেকে শান্তি পরিবহনের বাস পেয়ে যাবেন। এই বাস ১ ঘন্টা পরপর পেয়ে যাবেন। শান্তি পরিবহনে ১৯০ টাকা ভড়া নেওয়া হয়। খাগড়াছড়িতে পৌঁছাতে আপনার ৪-৫ ঘন্টা লাগে।
রাঙামাটি থেকে সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ
আমরা অনেকেই আছি যারা কিনা লং ট্যুর দিয়ে থাকি। আবার অনকেই আছেন যারা সীমিত সময়ের জন্য আসি। সেক্ষেত্রে আপনি চট্টগ্রামে বা রাঙামাটি থেকে খুব সহজেই সাজেক ভ্যালি আসতে পারেন।রাঙামাটি থেকে সড়ক ও নৌপথে সাজেক ভ্রমন করতে পারেন। প্রতিদিন রিজার্ভ বাজার লঞ্চঘাট থেকে সকাল ৭ টা থেকে ১০ টার মধ্যে বাঘাইছড়ির লঞ্চ ছেড়ে যায়। এই লঞ্চের ভাড়া মাথাপিছু ১৫০ থেকে২৫০ টাকা নিড়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনার সময় লাগবে ৫-৬ ঘন্টা।
আর রাঙামাটি বাস টার্মিলাল থেকে প্রতিদিন সকাল ৭ঃ৩০ মিনিটে বাঘাইছড়ির উদ্দেশ্যে। সেক্ষেত্রে আপনার ভাড়া নিবে ২০০টাকা। এ পথেও আপনার ৫-৬ ঘন্টা সময় লাগে। বাঘাইছড়ি থেকে আপনাকে মোটর সাইকেলে করে সাজেক যেতে পারেন। তবে এতে আপনার ভাড়া পড়বে আশা যাওয়াসহ জনপ্রতি ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। এই পথ দিয়ে গেলে আপনার খরচটা একটু বেশি বেড়ে যাবে।
সাজেক ভ্যালি ভ্রমণের জন্য যে ৮টি টিপস মেনে চলবেন
- যদি আপনার সেখানে থাকার পরিকল্পনা থাকে তাহলে আপনাকে আগে থেকেই হোটেল বুকিং দিয়ে রাখতে হবে। যেহুতু সেখানে অনেক মানুষের আগমন সেহেতু আগেই হোটাল বুকিং করে রাখতা পারেন।
- সব কিছুর একটা সিজেন থাকে ঠিক ওই সিজনে ওই জিনিসটার কদর অনেক থাকে। ঠিক ভ্রমণের ক্ষেত্রেও বিষয়টা এমনই। আপনি যদি সিজিনে আসেন অর্থাৎ যে সময় সকলেই ঘুরতে আসে সেই সময়টায় না আসাই ভালো। অফ সিজনে আসলে সব কিছুরই দাম কম পাবেন হোক সেটা খাবার অথবা হোটেলের ভাড়া।
- সাজেক যাওয়ার সময় বিজিবির অনুমতি নিতে হবে সেটা আর্মি ক্যাম্পে। এই পারমিশন জীপ ড্রাভার কতৃক নিতে হয়।
- সাজেক যেহেতু দূর্গম এলাকা সেখানে বিদ্যুৎ এর অনেক সংকট দেখা দেয় এজন্য সাথে পাওয়ার ব্যাংক, প্রয়োজনীয় ওষুধ রাখবেন।
- যেহেতু পথ আঁকা-বাকা সেহেতু অবশ্যই সাবধানতার সাথে বসতে হবে।
- আদিবাসীদের সাথে ভালো ব্যবহার করবেন এবং তাদের সাথে ছবি তুলতে হলে তাদের অনুমতি নিয়ে তুলবেন।
- সাজেক যাবার পথে অবশ্যই আপনার এনআইডি কার্ড বা তার ফটিকপি করে নিজের কাছে রেখে দিন। কারণ বিজিবি চেকপোস্টে আপনার নাম, ঠিকানা ,মোবাইল নম্বার এগুলো ফটোকপি রাখুন।
- সাজেক ভ্যালি যেতে কোন প্রকার গাইডের প্রয়োজন হয় না।
সাজেক ভ্যালিতে কোথায় খাবেন
সাজেকে সকল রিসোর্টে খাবার সু ব্যবস্থা রয়েছে। সেক্ষেত্রে আপনাকে আগে থেকে জানিয়ে রাখতে হবে। ভাত, আলুভর্তা,মাংস ইত্যাদি দিয়ে আপনার খরচ পড়বে ১০০-২৫০ টাকা। চাইলে আপনি সেখানে বার বি কিউ পার্ট করতে পারেন। এখানকার ফ্রেশ ফলমূল খেয়ে উপভোগ করতে পারেন। এখানে পেঁপে, আনারস, কলা ইত্যাদি খুবই সস্তা দামে পাওয়া যায়। বর্তমানে সেখানে অনেক রেস্টুরেন্ট ও রয়েছে।
এই রেস্টুরেন্ট গুলোর মধ্যে চিম্বাল রেস্টুরেন্ট, ফুডনকি রেস্টুরেন্ট, মারুতি দিদির রেস্টুরেন্ট, কাশবন রেস্টুরেন্ট , মনটানার রেস্টুরেন্ট উল্লেখযোগ্য। এদের খাবার খুব ভালো এখানে প্যাকেজ হিসেবে খাবার দেওয়া হয়। এই প্যাকজে রয়েছে ভাত, ডাল, সবজি, দেশী মুরগী। এক্ষেত্রে প্যাকেজের দাম ২০০-২৫০ টাকা ।
আমাদের শেষকথা
প্রিয় পাঠক, আমরা সবাই অনেক সময় অনেক জায়গায় ঘুরতে মন চায়। কিন্তু বাজেটের কাছে আমদের হার মেনে নিতে হয়। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা কীভাবে সাজেক আসবেন, কীভাবে খাবেন ও ভলো মানের রেস্টুরেন্টের নাম তুলে ধরেছি। আশাকরি এই আর্টিকল পড়ে কীভাবে কী করতে হয় তা জেনে গেছেন।
এইরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। কারণ আমরা আমদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরণের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।
আবির ইনফো টেকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url