বেসন দিয়ে ফর্সা হওয়ার সিক্রেট উপায় - বেসনের ফেসপ্যাক বানান ৫ মিনিটে
বেসন দিয়ে ফর্সা হওয়ার সিক্রেট উপায় জানলে আপনি নিজেও অবাক হয়ে যাবেন এটি এত দ্রুত আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করে দিবে। এটি বানাতে আপনার কোন প্রকার ঝামেলা নেয়। আপনি নিজেই সর্বোচ্চ ৫ মিনিটে বেশ কয়েকধরণের ফ্যাসপ্যাক বানিয়ে নিতে পারবেন। তাহলে আপনিও কি জানতে চান সেই সিক্রেট উপায়?
আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো, বেসন দিয়ে ফর্সা হওয়ার সিক্রেট উপায়, কীভাবে ৫ মিনিটে নিজ হাতে বেসন দিয়ে ফেসপ্যাক বানাবেন, তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেসনের ফেসপ্যাক, রুপচর্চায় বেসনের উপকারিতা সহ সকল কিছু বিস্তারিত জানবো। আশাকরি শেষ পর্যন্ত পড়ে উপকৃত হবেন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ বেসন দিয়ে ফর্সা হওয়ার সিক্রেট উপায় - বেসনের ফেসপ্যাক বানান ৫ মিনিটে
- ত্বকের যত্নে কারা কারা বেসন ব্যবহার করতে পারেন?
- গরমে বেসন ত্বকে লাগিয়ে ত্বক করুন ধবধবে ফর্সা ও উজ্জ্বল
- বেসন দিয়ে ফর্সা হওয়ার সিক্রেট উপায়
- তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেসনের ফেসপ্যাক বানান ৫ মিনিটেই
- তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেসনের ফেসপ্যাক
- শুষ্ক ত্বকের জন্য বেসনের ফেসপ্যাক
- সংবেদনশীল ত্বকের জন্য বেসনের ফেসপ্যাক
- ব্রণ প্রবণ ত্বকের জন্য বেসনের ফেসপ্যাক
- আজকের পোস্ট বিষয়ক সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
- আমাদের শেষকথা
ত্বকের যত্নে কারা কারা বেসন ব্যবহার করতে পারেন?
ত্বকের যত্নে কারা কারা বেসন ব্যবহার করতে পারবেন এটি অনেকেরই মনে প্রশ্ন থাকে। কারণ অনেকের অ্যালার্জি থাকে, ব্রণ থাকে এছাড়াও বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। আপনারা নিশ্চিন্তে কোন প্রকার দ্বিধা ছাড়াই এই বেসন ব্যবহার করতে পারবেন। যেহেতু বেসন একটি বহুল ব্যবহৃত প্রাকৃতিক উপাদান। সেহেতু আপনি অনায়াসে প্রায় সব ধরণের ত্বকে বেসন ব্যবহার করতে পারবেন। চলুন জেনে নেয়া যাক আপনার ত্বক অনুযায়ী কতটিকি কার্যকর এই বেসন-
তৈলাক্ত ত্বক: আমরা আমাদের আশেপাশে এমনকি আমাদের নিজেদেরই তৈলাক্ত ত্বক দেখতে বিরক্তি ভাব লাগে। সেক্ষেত্রে বেসন আপনাকে অনেকটা সাহায্য করবে। কারণ বেসন আপনার ত্বকের তেল শোষণ করতে সাহায্য করে। যারফলে আপনার ত্বকে তেল তেল ভাব কমে আসবে এবং ত্বক মসৃণ ও পরিষ্কার থাকবে।
শুষ্ক ত্বক: শুষ্ক ত্বক বিশেষকরে শীতকালে আমরা এটা নিয়ে অনেক সমস্যা পড়ি। সেক্ষেত্রে আমরা অনেক সময় অনেক কিছু ব্যবহার করি। কিন্তু যাদের প্রায় সবসময় এই সমস্যা হয় তাদের জন্য কতটা বিরক্তিকর? আপনাকে এই বিরক্তিভাব থেকে মুক্ত রাখতে সাহায্য করবে বেসন। যদিও এটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেশি উপকারি তবে শুষ্ক ত্বকের জন্যও উপকারি। তার জন্য বিশেষ ফ্যাসপ্যাকও রয়েছে। আমরা নিচে বিস্তারিত জানবো।
সংবেদনশীল ত্বক: এই সংবেদনশীল ত্বকে অর্থাৎ এলার্জিসহ আরো অনেক ধরণের সমস্যা দেখা। সেক্ষেত্রে অনেকেরই অনেক কিছু ব্যবহারে নিষেধ থাকে। তবে আপনি নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন বেসনে আপনার সংবেদনশীল ত্বকে কোন প্রকার সমস্যা হবে না। বেসনে খুবই অল্প পরিমাণে এক্সফোলিয়েটর কাজ করে। যা আপনার ত্বককে সুরক্ষা প্রদান করবে।
ব্রণ প্রবণ ত্বক: অনেক আলোচিত একটি বিষয় ব্রণ ত্বকে বেসন ব্যবহার করা যাবে কি না। এককথায় আপনি চোখ বন্ধ করে ব্যবহার করতে পারেন। কারণ বেসন ত্বকের ছিদ্র পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং ব্রণ কমাতে সহায়ক। এছাড়াও বেসন ত্বকের তেল শোষণে ও ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সাহায্য করে।
সাধারণ ত্বক: সাধারণ ত্বক অর্থাৎ যাদের ত্বকের সেইরকম কোন সমস্যা নেই। সকল কিছু ব্যবহারের উপযোগী ত্বক তারা অনায়াসে বেসন ব্যবহার করতে পারেন। বেসন ভালো মানের ক্লিনজার ও এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে। সেহেতু বেসন ব্যবহারে কোন সমস্যা নেই।
গরমে বেসন ত্বকে লাগিয়ে ত্বক করুন ধবধবে ফর্সা ও উজ্জ্বল
গরমে বেসন ত্বকে লাগিয়ে ত্বক করুন ধবধবে ফর্সা ও উজ্জ্বল খুব অল্প সময়ে। বেসনকে আমরা ত্বকের যত্নে বিভিন্নভাবে ব্যবহার করে থাকি। তবে আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে কীভাবে আপনারা বেসনের সঙ্গে মাত্র ৩টি জিনিস ব্যবহার করে আপনাদের ত্বককে গরমকালে ধবধবে ফরসা করবেন তারই একটি রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আপনারা শুধু গরমকালেই এই রেসিপিটি ব্যবহার করতে পারবেন বিষয়টি এমন নয়। চলুন ঝটফট শিখে নেওয়া যাক ফর্সা হওয়ার রেমিটি-
প্রয়োজনীয় উপকরণ: বেসন, কাঁচা দুধ, গোলাপ জল, টমেটোর রস।
বানানোর পদ্ধতি: যেহেতু আমাদের প্রধান উপাদান বেসন সেহেতু আমরা প্রথমেই নিয়ে নিব ২ টেবিল চামচ বেসন। এরপর আপনি এই বেসনের মধ্যে ১ টেবিল চামচ গোলাপ জল বা রোজ ওয়াটার নিয়ে নিন। এই গোলাপ জল আমাদের গরমের সময় আমাদের ত্বককে হাইড্রেট রাখে যার ফলে আমাদের ত্বককে ক্লিন করতে সাহায্য করে। এরপর আমরা ১ টেবিল চামচ কাচা দুধ বা র দুধ নিয়ে নিব। এরপর আপনি ১ টেবিল চামচ টমেটো রস নিয়ে নিবেন। এরপর ভালোভাবে মিক্স করতে থাকুন।
আরো পড়ুনঃ বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় - ঘরোয়া উপায়ে সমাধানের নিয়ম
মুখে লাগানোর নিয়ম: যখন দেখবেন মিশ্রণটি স্মুদ পেস্ট হয়ে গিয়েছে তখন এটিকে ব্যবহার করুন। ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই ফেইসওয়াশ দিয়ে মুখটাকে ফালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। এরপর স্মুদি পেস্টটাকে মুখে ফেসপ্যাকেরে মতো করে লাগিয়ে নিন। এরপর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর্যন্ত অর্থাৎ যতক্ষণ না ভালোভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ ফেসে রেখে দিন। তারপর প্যাকটি যখন শুকিয়ে যাবে তখন নরমাল পানি দিয়ে আপনার মুখটি ধুয়ে ফেলুন। প্যাকটি লাগানোর পরে কখনোই ফেসওয়াশ বা সাবান দিয়ে মুখ ধুবেন না। এই রেসিপিটি সপ্তাহে কমপক্ষে ২ -৩ বার ব্যবহার করুন।
বেসন দিয়ে ফর্সা হওয়ার সিক্রেট উপায়
বেসন দিয়ে ফর্সা হওয়ার সিক্রেট উপায় এ আপনি অক্প সময়ের মধ্যে খুবই দ্রুত কয়েকটা ফেসপ্যাক তৈরি করে নিতে পারবেন। বেসনের সাথে বেশ কয়েকধরণের উপাদান রয়েছে যেগুলো মিশিয়ে আপনি আপনার ফেইসে ব্যবহার করে ইনসট্যান্ট অর্থাৎ তাৎক্ষণিক ফল পাবেন। যেহেতু গরমে আমাদের ত্বকে ট্যানিং বা কালো ছোপ পড়ে যায়। আজকে বেশকিছু সিক্রেট উপায় আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। আশাকরি আপনারা খুবই তাড়াতাড়ি ভালো একটা ইমপ্যাক্ট আপনাদের ত্বকে তৈরি করতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় উপকরণ: বেসন, হলুদের গুঁড়া, পাউডার দুধ, নারিকেল তেল।
বানানোর পদ্ধতি: প্রথমে আপনারা একটি পাত্রে দেড় চা চামচ বেসন নিয়ে নিন। এরপর এর মধ্যে আধা চা চামচ নারিকেল তেল নিয়ে নিন। যাদের ত্বক তৈলাক্ত বা অয়েলি তারা নারিকেল তেল স্কিপ করে যাবেন। এরপর আপনি দুই চিমটি হলুদ মিশিয়ে দিন। এরপর আধা চা চামচ গুড়ো দুধ দিয়ে দিন। কাঁচা বা র দুধও দিলে হবে না। এরপর হালকা হালকা পানি দিয়ে আপনি একটি ক্রিমের মতো তৈরি করে নিন। তাহলে তৈরি হয়ে গেলো আপনার ফেসপ্যাক।
আরো পড়ুনঃ পেঁয়াজের তেল বানানোর নিয়ম - ২ দিনে চুল পড়া বন্ধ করুন
মুখে লাগানোর নিয়ম: প্রথমে আপনি ফেসওয়াশ দিয়ে মুখটাকে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এরপর একদম হালকা কুসুক গরমপানির মধ্যে রুমাল বা পাতলা কাপড় ভিজিয়ে নিন। পানিয়ে চিপে আপনার মুখে ২০ সেকেন্ড করে ২-৩ বার রেখে মুখটাকে পরিষ্কার করে নিন। এরপর তৈরি করা পেস্টটি ভালোভাবে মুখে লাগিয়ে নিন। লাগানোর পরে ১৬ থেকে ২০ মিনিটের মতো রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে পেস্টটিকে ঘষে ঘষে তুলুন। এরফলে আপনার ত্বকে যদি কোন প্রকার লোম থাকে সেগুলো উঠে যাবে। এরপর নরমাল পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এটি সপ্তাহে ৩-৪ বার ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে আপনি প্রতিদিনও ব্যবহার করতে পারেন।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেসনের ফেসপ্যাক বানান ৫ মিনিটেই
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেসনের ফেসপ্যাক অনেক কার্যকরী একটি উপায়। আমরা আগেই জেনেছি ত্বকের তৈলাক্তভাব দূর করতে বেসন কতটা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করতে হলে নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিতে হবে। আর সেইজন্য বিশেষকিছু টিপস দরকার। আজকের এই হেডিং ছোট্ট ছোট্ট ও খুবই সাধারণ কিছু ফেসপ্যাক আপনাদের বলবো যেগুলো শুধু আপনাদের তেলতেলে ভাব দূর করবে এমনটা নয় ব্ল্যাকহেডস এর মতো সমস্যাও দূর করবে। চলুন আমরা ৪টি ফেসপ্যাক বানাবোর নিয়ম জেনে নিই-
দই ও বেসনের ফেসপ্যাক
দই ও বেসন দিয়ে আপনি খুবই সহজে একটি কার্যকরী ফেসপ্যাক বানাতে পারবেন। সেইজন্য আপনাকে প্রথমে ৩টেবিল চামচ টক দই নিতে হবে। এরপর টক দইকে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। ফেটানো শেষ হলে এর মধ্যে ২ টেবিল চামচ বেসন মিশিয়ে নিন। এরপর আবারোও ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। দেখবেন একধরণের মসৃণ পেস্ট তৈরি হয়েছে। এই পেস্টটিকে মুখে লাগানোর পূর্বে ফেসওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে মুখ ধুয়ে নিন। এরপর মুখে দিয়ে ২০ মিনিট পর নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার এই পেস্টটি ব্যবহার করুন।
আরো পড়ুনঃ এলার্জিতে নিমপাতার ব্যবহার
দুধ ও বেসনের ফেসপ্যাক
দুধ ও বেসন দুটি আমাদের ঘরোয়া উপাদান। আপনারা খুব সহজেই এই রেমিটি বানিয়ে মুখে ব্যবহার করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে নিজেই নিজেই ত্বকের পরিবর্তন বুঝতে পারবেন। সেইজন্য আপনাকে প্রথমে নিয়ে নিতে হবে ৪ চা চামচ বেসন। এরমধ্যে ১টেবিল চামচ কাঁচা দুধ ও ১টেবিল চামচ লেবুর রস। সবগুলো ভালোভাবে মিক্স করে একটি পেস্টের মতো তৈরি করুন। এরপর মুখে লাগিয়ে ম্যাসাজ করতে থাকুন।৫- ১০ মিনিটের মতো ম্যাসাজ করে পেস্টটিকে শুকিয়ে নিন। ২০ মিনিটের মতো রেখে নরমাল পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ বার এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন।
বেসন ও লেবুর ফেসপ্যাক
বেসন ও লেবুর ফেসপ্যাক আমাদের ত্বকের তেলতেলে ভাব কমাতে অনেক উপকারি। আপনি চাইলে এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন। সেইজন্য প্রথমেই নিয়ে নিতে হবে ২চা চামচ বেসন এবং এরমধ্যে ১চা চামচ মধু ও ১চা চামচ লেবুর রস। বেসন, মধু ও লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। দেখবেন একধরণের ক্রীমের মতো তৈরি হবে। মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে ক্রীমটি ভালোভাবে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এরপর ভালোভাবে ধুয়ে নিন।
আমি ব্যক্তিগত ভাবে আপনাদের যেটা সাজেস্ট করব সেটি হলো দুধ ও বেসনের ফেসপ্যাক। যেহেতু আমি নিজেও একজন আই তেলতেলে ত্বকের ভুক্তোভুগী সেহেতু আমি এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করে অনেকটাব উপকার হয়েছি। তাই চাইলে আপনিও এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বেসনের ফেসপ্যাক
উপকরণ: ৪চা চামচ বেসন, ১চা চামচ লেবুর রস, ১চা চামচ দই (যদি এর মধ্যে এর চিমটি হলুদের গুঁড়া দেন তাহলে আরো ভালো।)
কেন এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করবেন: আমরাজানি লেবু আমাদের ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, দই আমাদের ত্বকের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং হলুদে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
বানানোর পদ্ধতি: প্রথমে একটি পাত্রে ৪ চা চামচ বেসন নিয়ে নিন, এরপর তাতে ১ চা চামচ লেবুর রস ও ১ চা চামচ দই নিয়ে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিন। ৫-৭ মিনিটের মতো মিশ্রণটিকে ভালোভাবে ফেটিয়ে নিয়ে ক্রীমের মতো হয়ে যাবে। এখন ফেসপ্যাকটিকে মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর একটি পাতলা টাওয়াল বা রুমাল দিয়ে পরিষ্কার করুন। ক্রীমটি লাগানোর পূর্বে রুমালটি একদম হালকা কুসুম পানি দিয়ে ধুয়ে মুখে ১০-২০ সেকেন্ড রেখে দিন। এর ফলে ক্রীমটি ভালো কাজ করবে।
শুষ্ক ত্বকের জন্য বেসনের ফেসপ্যাক
উপকরণ: ৪ চা চামচ বেসন, ১ চা চামচ মধু ও ১ চা চামচ কাঁচা দুধ
কেন এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করবেন: মধু আমাদের ত্বককে হাইড্রেট করতে সাহায্য করে এবং ত্বককে প্রশমিত করে, অন্যদিকে দুধ আমাদের ত্বককে পুষ্টি জোগায়।
বানানোর পদ্ধতি: ৪ চা চামচ বেসনের মধ্যে ১ চা চামচ মধু ও ১ চা চামচ কাঁচা দুধ ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে একধরণের পেস্ট তৈরি করুন। এরপর মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিয়ে পেস্টিকে মুখে লাগিয়ে নিন। এখন আলতো ভাবে মুখে পেস্টটি ঘুষতে থাকুন। ৫-৭ মিনিট আলতোভাবে ঘুষার পর পেস্টটিকে ১০-২০ মিনিটের জন্য শুকাতে দিন। ঠিক আগের পদ্ধতিতেই রুমাল দিয়ে পেস্ট তুলে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ দিন এই পেস্টটি ব্যবহার করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ মানসিক চাপ থেকে মুক্তির উপায় - মানসিক চাপ কমানোর ৬টি ঘরোয়া সমাধান
সংবেদনশীল ত্বকের জন্য বেসনের ফেসপ্যাক
উপকরণ ১: ২ চা চামচ বেসন, ১ অ্যালোভেরা জেল এবং ১ চা শসার রস
উপকরণ ২: ২ চা চামচ বেসন এবং পরিমাণমতো (১ চা চামচ) গোলাপজল।
কেন এই ফেসপ্যাকটি করবেন: অ্যালোভেরা এবং শসা যে কোন ধরণের শান্ত জ্বালা থেকে মুক্তি দেয়, বার ফলে যখন বেসন কঠোরতা ছাড়াই পরিষ্কার করে।
বানানোর পদ্ধতি ১: বানানোর পদ্ধতি পুরোপুরি আগের মতোই। ২ চা চামচ বেসন, ১ অ্যালোভেরা জেল এবং ১ চা শসার রস একটি পাত্রে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এরপর সেটিকে মুখে ভালোমতো লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। এরপর স্বভাবিক পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। মুখ পরিষ্কার করার পরে কোন ধরণের ফেসওয়াশ বা সাবান দিয়ে মুখ ধুবেন না। সপ্তাহে ১-২ বার ব্যবহার করতে থাকুন। ত্বকে অবশ্যই পরিবর্তিন আসবে।
বানানোর পদ্ধতি ২: এই পদ্ধতিতে আপনাকে ২ চা চামচ বেসন এবং পরিমাণমতো (১ চা চামচ) গোলাপজল নিয়ে তা ভালোভাবে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রেখে দিন। ১৫-২০ মিনিটের মতো রেখে দিন। এরপর ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। ত্বকের জ্বালা পোড়া খুব সহজেই নিরাময় হয়ে যাবে।
ব্রণ প্রবণ ত্বকের জন্য বেসনের ফেসপ্যাক
উপকরণ: ২ চা চামচ বেসন, ১ চিমটি হলুদ , ১ চা চামচ গোলাপজল এবং ১চা চামচ দই
কেন এই ফেসপ্যাকটি ব্যবহার করবেন: আমরা সকলেই জানি হলুদে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা আমাদের ত্বককে ব্যকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে। আর গোলাপজল ত্বককে টোন করে তোলে, সেই সাথে দই আমাদের ত্বকের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
বানানোর পদ্ধতি: ২ চা চামচ বেসন, ১ চিমটি হলুদ , ১ চা চামচ গোলাপজল নিয়ে ভালোভাবে একধরণের ক্রীম তৈরি করুন । ক্রীমটি ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে পরিষ্কার মুখে ফেসপ্যাকের মতো করে লাগিয়ে নিন। এরপর আলতোভাবে কিছুক্ষণ ঘুষে নিন। এরপর সেটিকে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের জন্য শুকাতে দিন। ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে সেটিকে তুলে ফেলতে হবে। আর তার জন্য হালকা কুসুম গরম পানিতে নরম টাওয়াল ভিজিয়ে আস্তে আস্তে পেস্ট গুলোকে তুলে ফেলুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখটাকে ভালোভাবে ধুয়ে নিন। এরফলে ত্বকে ফ্রেশনেস আসবে।
আজকের পোস্ট বিষয়ক সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
১। বেসন দিয়ে ত্বক ফর্সা করা কি সম্ভব?
উত্তরঃ হ্যাঁ, অবশ্যই বেসন ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করতে পারে। এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল করে তোলে।
২। বেসন কি ত্বকের জন্য নিরাপদ?
উত্তরঃ বেসন সাধারণত ত্বকের জন্য নিরাপদ, তবে যদি আপনার ত্বক খুব সংবেদনশীল হয়, তাহলে প্রথমে একটি ছোট অংশে পরীক্ষা করে নিন।
৩। কতদিন পর পর বেসন ফেস প্যাক ব্যবহার করা উচিত?
উত্তরঃ আপনি সপ্তাহে ২-৩ বার বেসন ফেস প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এবং ত্বককে মসৃণ রাখতে সাহায্য করবে।
৪। বেসন কীভাবে ত্বকের জন্য উপকারী?
উত্তরঃ বেসন আমাদের ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে, যা তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ করে তোলে।
আমাদের শেষকথা
প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলে আমরা জানলাম, বেসন দিয়ে ফর্সা হওয়ার সিক্রেট উপায়, বেসনের ফেসপ্যাক বানান ৫ মিনিটে এর রেমিটি, ফরমে কীভাবে আপনাত ত্বককে ধবধবে ফর্সা করবেন, ত্বক অনুযায়ী কোন কোন ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন সকল কিছু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। আশাকরি আপনিও আপনার ত্বক অনুযায়ী ফেসপভাক তৈরি করে ব্যবহার করবেন। আপনি যদি বেসনের উপকারিতা পেতে চান তাহলে এখনই তৈরি করে নিন ফেসপ্যাক।
এইরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। কারণ আমরা আমদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরণের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।
আবির ইনফো টেকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url