ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট ১০০% পরীক্ষিত app

ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট এর মাধ্যমে আপনি কাজ করে টাকা নিতে পারবেন। আমরা সকলেই এখন একটি বিষয় রিসার্চ করি যে কীভাবে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়। কোথাও কোনো সঠিক ধারণা পায় না। তাই কীভাবে কাজ করে টাকা ইনকাম করবেন তা জানবেন আজকের এই পোস্টে।

ফ্রি-টাকা-ইনকাম-বিকাশে-পেমেন্ট-১০০%-পরীক্ষিত-1

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো, ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট এর app, বিনোয়োগ ছাড়া ফ্রি টাকা ইনকাম, আপওয়ার্ক ফাইবারে কোন কাজটি করবেন, কীভাবে করবেন সকল কিছু নিয়ে বিস্তারিত জানাবো। শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ে আপনিও শুরু করুন আপনার টাকা ইনকামের সাফল্যের পথচলা।

পোস্ট সূচীপত্রঃ ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট ১০০% পরীক্ষিত app 

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার জন্য কি কি প্রয়োজন?

মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার জন্য বেশকিছু জিনিসের প্রয়োজন আছে। যেগুলো আপনি কিছু টাকা দিয়ে কিনতে পারবেন। বাকি কিছু জিনিস আছে যেগুলো আপনি চাইলেও টাকা দিয়ে কিনতে পারবেন না। কারণ সেই জিনিষগুলো আপনার মধ্যেই রয়েছে। যেহেতু আমরা অল্প সময়ের জন্য ইনকাম করব না। অনলাইনে কখনো অল্প সময়ে টাকা ইনকাম করাভ যায় না। চলুন নিচে বিস্তারিত জেনে নিই অনলাইন এ ইনকাম করতে কি কি প্রয়োজন হয়।

ধৈর্য ও মনোবল ধরে রাখা: আপনার অনলাইন ইনকামের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে অংশ সেটি হলো ধৈর্য ও মনোবল ধরে রাখা। অনলাইনে আপনি কখনো রাতারাতি বড়লক হতে পারবেন না। আপনাকে ধৈর্য ধরে কাজ করে যেতে হবে আর আপনার মনোবলকে ঠিক রাখতে হবে। আপনি আপনার মনকে টাকা একদিন ইনকাম হবে এইভাবে বুঝ দিয়ে রাখবেন।

সময় ও কাজের দক্ষতা অর্জন: অনলাইনে দেখবেন অনেকেই বিভিন্ন অ্যাপস আছে যেগুলো থেকে টাকা ইনকাম করে। ট্যাপ করে অনেক কয়েন জমিয়ে টাকা ইনকাম করে। এভাবে ইনকাম করা যায়। কিন্তু আপনি ভালো মানের টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাকে যে কোন একটি কাজের প্রতি সময় নিয়ে দক্ষতা অর্জন করে মার্কেট প্লেসে ঢুকে ইনকাম করতে হবে।

স্মার্টফোন: স্মার্টফোন থাকতে হবে। যদি সম্ভব হয় ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ দিয়ে করতে পারেন। আপনি যখন প্রেফেশনালি কাজ করবেন তখন আপনার জন্য ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ জরুরি হয়ে পরবে।

ইন্টারনেট সংযোগ: একটি স্থিতিশীল এবং দ্রুত ইন্টারনেট সংযোগ থাকা জরুরি, যাতে আপনি অনলাইনে কাজ করতে পারেন।

ইমেইল অ্যাকাউন্ট: অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ ইমেইল অ্যাকাউন্ট। বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সাইন আপ করার জন্য একটি ইমেইল অ্যাকাউন্ট থাকা প্রয়োজন। এছাড়াও বায়ারের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে যোগাযোগের জন্য বিভিন্ন এক্সেস নেওয়ার জন্য ইমেইল অ্যাকাউন্ট অত্যন্ত জরুরি।

ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ: আপনার আয়ের টাকা অর্থাৎ লোকাল মার্কেটে যখন কাজ করবেন তখন টাকা গ্রহণ করার জন্য একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাপ (যেমন বিকাশ, নগদ, উপায়) থাকা প্রয়োজন।

অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে: পেপাল, পেওনিয়ার বা অন্য কোনো অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে অ্যাকাউন্ট থাকা প্রয়োজন, যাতে আপনি আন্তর্জাতিক বায়ারের কাজের পেমেন্ট গ্রহণ করতে পারেন।

বিনিয়োগ ছাড়া ফ্রি টাকা ইনকামের ৭টি উপায়

বিনিয়োগ ছাড়া ফ্রি টাকা ইনকামের ৭টি উপায় রয়েছে। এই উপায়গুলো ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্টের আকর্ষণীয় উপায়। উপায়গুলো কাজে লাগিয়ে আমরা কোন প্রকার ইনভেস্ট অর্থাৎ কোন প্রকার বিনিয়োগ ছাড়া টাকা ইনকাম করতে পারবেন। নিচে যে ৭টি উপায় আলোচনা করব সেগুলো সম্পূর্ণ বিশ্বস্ত ইনকামের উপায়। চলুন জেনে নেয়া যাক বিনিয়োগ ছাড়া ফ্রি টাকা ইনকামের ৭টি উপায়।
ফ্রি টাকা ইনকামের উপায় ইনকামের পরিমাণ (টাকা) ইনকাম করতে সময়
Blogging করে ইনকাম মাসে ১০ হাজার থেকে লাখ টাকার উপরে ৬ মাস থেকে ১ বছর
আর্টিকেল রাইটিং বা কন্টেন্ট রাইটিং করে ইনকাম মাসে ১৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার ১ মাস থেকে ৩ মাসে সম্ভব
Affiliate মার্কেটিং করে ইনকাম মাসে ২ হাজার থেকে ১০ হাজার ১ মাস থেকে ৩ মাস
Refer করে ইনকাম প্রতিদিন ২০০ থেকে ৫০০ সাথে সাথে ইনকাম সম্ভব
Online Survey করে ইনকাম প্রতিদিন ২০০ থেকে ৫০০ সাথে সাথে ইনকাম সম্ভব
আপওয়ার্ক, ফাইবারে কাজ করে ইনকাম প্রতিদিন ৫০০ থেকে ১০ হাজার দক্ষতার ওপর নির্ভর করে ও কাজ পাওয়ার ওপর নির্ভর করে
ডিজিটাল মার্কেটে পণ্য বিক্রি করে এটা পণ্য বিক্রির ওপর নির্ভর করে এটি পণ্য বিক্রির ওপর নির্ভর কর

ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট এর app ২০২৪

ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট এর app ২০২৪ এ বেশ কিছু অ্যাপস রয়েছে যেগুলো থেকে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। আজকাল আমরা শুনি এড দেখে ইনকাম, কুইজ খেলে ইনকাম, লটারি খেলে ইনকাম। এগুলো খেলে ইনকাম করা যায়। আবার অনেকেই আছেন যারা ট্যাপ করে কয়েন আর্ন করে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। আজকের এই হেডিং এ আমরা জানবো কোন কোন অ্যাপস গুলো থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

রেফার করে ইনকাম করার app

প্রতি রেফারে ভালো অ্যামাউন্টের টাকা দেয় এমন সেরা refer app বা refer ওয়েবসাইট খুঁজে বের করতে হবে। আপনার বড় একটি কমিউনিটি বা সার্কেল থাকা লাগবে। যাতে আপনার রেফারের মাধ্যমে বড় একটি অ্যামাউন্টের মানুষ সেই রেফারেটি পাড় এবং একাউন্ট খুলে। তখন আপনি বড় একটি অ্যামাউন্টের টাকা পাবেন। চলুন জেনে নিই কিছু বিশ্বস্ত ও ভালো মানের রেফার অ্যাপ-

Google Pay APP: প্রতি রেফারে প্রায় ১০০ টাকা ইনকাম করা যায়। ক্যাশব্যাক অফার যেখানে Google Pay বিভিন্ন সময়ে ক্যাশব্যাক অফার দেয়। আপনি যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ট্রান্সফার করেন বা নির্দিষ্ট দোকানে পেমেন্ট করেন, তাহলে আপনি ক্যাশব্যাক পেতে পারেন। রেফারেল প্রোগ্রাম: Google Pay-এর রেফারেল প্রোগ্রামের মাধ্যমে আপনি আপনার বন্ধুদের অ্যাপটি ব্যবহার করতে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। আপনার রেফার করা বন্ধুরা যখন প্রথমবার Google Pay ব্যবহার করে টাকা পাঠাবে, তখন আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্যাশব্যাক পেতে পারেন।

G.O.A.T- Earning Zone: G.O.A.T- Earning Zone app একটি মোবাইল অ্যাপ বা ওয়েবসাইট। এটি ব্যবহার করে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। এখানে আপনি কয়েকটা উপায়ে ইনকাম করতে পারবেন। বিভিন্ন ভিডিও দেখে আপনি পয়েন্ট অর্জন করতে পারেন। ভিডিওগুলোতে মুভি ট্রেলার, মজার ক্লিপ, DIY টিউটোরিয়াল ইত্যাদি থাকতে পারে সেগুলো দেখে ইনকাম করতে পারবেন। বিভিন্ন গেম খেলে পয়েন্ট আর্ন করে ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও লাকি স্পিন করে আপনি রিওয়ার্ড ও বোনাস পেতে পারবেন।

Paidwork: Paidwork এর মাধ্যমে ইনকাম করা অনেকটা সহজ। এখানেও আপনি মাল্টিপুল টাসক করে ইনকাম করতে পারবেন। এই অ্যাপের মাধ্যমে আপনি সার্ভে করে, গেম খেলে, ভিডিও দেখে ইনকাম করতে পারবেন। এটার একটি বিশেষ সুবিধা রয়েছে। আপনি সারাদিনের মধ্যে যত টাকা আর্ন করতে পারবেন ওই দিনেই ওই টাকা উইথড্র করতে পারবেন। এই অ্যাপসটি প্রায় সব দেশেই কাজ করতে পারবেন।

Moneyfi: এটি একটি ফ্রিল্যান্সিং app। আপনি যদি লেখালেখি, গ্রাফিক ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, বা অন্য কোনো দক্ষতা রাখেন, তাহলে আপনি এই প্ল্যাটফর্মে কাজ করতে পারেন। এছাড়াও বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পণ্যের উপর মতামত জানতে চায়। আপনি এই সার্ভেগুলোতে অংশগ্রহণ করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। আবার তে রেফারেল প্রোগ্রামও রয়েছে। আপনি যদি অন্যদের এই প্ল্যাটফর্মে যোগদান করাতে পারেন, তাহলে আপনি রেফারেল বোনাস পেতে পারেন।

Daily Taka: এখানে আপনি গেম খেলে, ভিডিও দেখে, রেফার করে, ক্যাপচা টাইপ করে ইনকাম করা যায়। আর এই ইনকামের টাকা আপনো বিকাশ, নগদ, Paypal, Coinbase, Binanc এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন।

Toluna: এই অ্যাপসটিতে আপনি সার্ভে করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। কিন্তু এই টাকা আপনাকে Paypal মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। অথবা গিফট কার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।

কয়েন ট্যাপ করে টাকা ইনকাম করার উপায়

কয়েন ট্যাপ করে টাকা ইনকাম উপায় কিছু টেকনিকস রয়েছে। ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট এর জনপ্রিয় একটি কাজ। আমরা আজকাল সবথেকে বেশি যেখান থেকে ফ্রি টাকা ইনকাম করছি সেটা হলো ট্যাপ করে ইনকাম। বিভিন্ন টেলিগ্রাম গ্রুপে বিভিন্ন অ্যাপস লঞ্চ হয়। আর সেই অ্যাপস গুলোতে কয়েন ট্যাপ করতে হয়, বিভিন্ন টাসক দেয় সেগুলো করতে হয়। এগুলো সবথেকে বেশি ঝুঁকি থাকে স্ক্যাম হওয়ার। তাহলে কি টাকা ইনকাম করা যাচ্ছে না? অবশ্যই যাচ্ছে। 

আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ৫০০ টাকা ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট - অনলাইন ইনকাম করার উপায়

এর জন্য একটি বিশেষ গোপন টেকনিকস আছে। আপনারা বুঝবেন কীভাবে যে অ্যাপসটি নিয়ে আপনি কাজ করছেন সেটি স্ক্যাম কি না! এটা বুঝার সবথেকে বড় টেকনিকস হলো ওই অ্যাপসটি Binance, Coinbase এগুলো দ্বারা স্বীকৃত কি না তা আগে জানতে হবে। বেশি ফোকাস রাখবেন Binance এ। যদি Binance দ্বারা অ্যাপসটি স্বীকৃত থাকে বা Binance দ্বারা টাকা উত্তোলন করা যায় তাহলে ওই অ্যাপসটিতে আপনি কাজ শুরু করে দিন। টাকা পাবেন। 

ব্লগিং করে মাসে লাখ টাকা ইনকাম করার উপায়

ব্লগিং করে মাসে লাখ টাকা ইনকামের কথা শুনে অনেকেই অবাক হতে পারেন। এখানে অবাক হওয়ার কিছু নেই। আপনি ব্লগিং করে বর্তমান সময়ে সবথেকে বেশি ইনকাম করি। মার্কেট প্লেসে যারা কাজ করে তাদের থেকে আপনি বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন এতটুকু গ্যারেন্টি আমি আপনাকে দিতে পারি। কারণ আমি নিজেই একজন ব্লগার। আর আপনি যেই আর্টিকেলটি পড়ছেন এটি মূলত ব্লগার পোস্ট। চলুন আপনাদের শেয়ার করি আপনি কীভাবে একজন ব্লগার হয়ে মাসে লাখ টাকা আয় করবেন।

আমরা সকলেই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের একটি অন্যতম সেক্টর ডিজিটাল মার্কেটিং নামটি শুনেছি। এই ডিজিটাল মার্কেটিং এ আপনি মূলত ব্লগিং করেই টাকা ইনকাম করবেন। যেটিকে বলা হয় প্যাসিভ ইনকাম। প্রথমত আপনাকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। যা আপনি একদম ফ্রিতে পাবেন। এরপর ওয়েবসাইটটিতে আপনাকে আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করতে হবে। এই আর্টিকেল আপনাকে টানা ৩-৪ মাস পাবলিশ করতে হবে।

ফ্রি-টাকা-ইনকাম-বিকাশে-পেমেন্ট-১০০%-পরীক্ষিত-2

একটি নির্দিষ্ট সময়ে সেটি বিকেল ৩ টা থেকে ৪ টার মধ্যে প্রতিদিন অর্থাৎ ৪ মাসে যত দিন হয় তত দিন টানা কমপক্ষে ১টি করে আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। আর্টিকেলটি অবশ্যই কমপক্ষে ১৫০০ শব্দের হতে হবে। নাহলে গুগুল সেটিকে গ্রহণ করবে না। মনে রাখবেন কোন কপি পেস্ট করা যাবে না। অবশ্যই ইউনিক টাইপের কন্টেন্ট হতে হবে। তবেই আপনার ভিউয়ার বাড়বে। আপনার আর্টিকেলে যত বেশি ক্লিক আসবে তত বেশি টাকা ইনকাম হবে।

ব্লগিং করে প্যাসিভ ইনকামের ধাপসমূহ

ব্লগিং করে প্যাসিভ ইনকামের বেশ কিছু ধাপ রয়েছে যেগুলো ইনকাম করার জন্য আবশ্যক। চলুন ধাপগুলো জেনে নেয় যাক-

  • প্রথমে আপনাকে ব্লগারে একটি ওয়েবসাইট খুলতে হবে। সেই জন্য আপনাকে গুগুল সার্চবারে গিয়ে Blooger.Com লিখে সার্চ করে ঢুকে পড়ুন। এরপর Creat Account এ ক্লিক করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করুন। 
  • এরপর আপনার মন মতো একটি থিম সেট করে নিন। 
  • অনলাইনে প্রচুর সার্চ হয় এমন একটি নিশ সিলেক্ট ধরুন। যেমন: লাইফ স্টাইল, অনলাইন ইনকাম বিষয়ক পোস্ট, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক পোস্ট, ইসলামিক পোস্ট ইত্যাদি।
  • সিলেক্ট করার পর ওই বিষয়ক বিভিন্ন ধরণের আর্টিকেল লিখুন লিখে তা পাবলিশ করতে থাকুন। একেক দিন একেক বিষয় নিয়ে লিখবেন। 
  • এভাবে লিখতে লিখতে এক থেকে দেড় মাস বা দুই মাস যাওয়ার পর আপনার ওয়েবসাইটটিকে গুগোল সার্চ কনসোলে দিয়ে দিবেন। েতে আপনার ব্লগ ওয়েবসাইটটি গুগোলে সাবমিট হয়ে যাবে। এখন মানুষ যদি কোন কী ওয়ার্ড লিখে সার্চ করে আর তা যদি আপনার লিখা আর্টিকেলের টাইটেলের সাথে মিলে যায় ও কন্টেন্ট ইউনিক হয়। তাহলে আপনার ওয়েবসাইটটি সবার সামনে যাবে।
  • এভাবে কাজ করতে করতে যখন দেখবেন গুগুল সার্চ কনসোলে আপনার প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০টি করে ভিজিটের আসছে তখন আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে  Google AdSense এর জন্য আবেদন করে দিন। মূলত আপনার লাখ টাকা ইনকাম এই Google AdSense থেকেই হবে।
  • এরপর Google Adsense থেকে দেওয়া বিজ্ঞাপন গুলোর কোড আপনার আর্টিকেলের HTML view এ গিয়ে পেস্ট করে দিন।
  • এরপর যখনই কেউ আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে তখনই এড দেখতে পারবে। আর এই এড দেখার মাধ্যমেই আপনার ৯৮% ইনকাম হবে।

  • এভাবে যখন Google AdSense একাউন্টে ১০০ ডলার হয়ে যাবে তখন আপনি আপনার সেই টাকা ব্যাংক একাউন্টে নিয়ে তুলে নিতে পারবেন।

আর্টিকেল রাইটিং করে মাসে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকামের টেকনিকস

আর্টিকেল রাইটিং করে মাসে ৪০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা সম্ভব। এর পিছে কিছু টেকনিকস রয়েছে যেগুলো আপনার আর্টিকেল রাইটিং কে গুগোল ও পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলবে। শুধু গুগোল নয় আপনি যখন কোন লোকাল ক্লায়েন্টের কাজ করবেন তখন এই কাজ গুলো ক্লায়েন্টের মন জয় করবে তখন আপনি একটি আর্টিকেল মার্কেটে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে পারবেন। চলুন আর্টিকেল লিখার পিছনে যে ট্রিকস গুলো আছে সেগুলো জেনে নিই-

  • আপনাকে সর্বপ্রথম ফোকাস কী-ওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে। যদি আপনি আপনার নিজস্ব ব্লগিং সাইটের জন্য আর্টিকেল লিখেন তাহলে আপনি অবশ্যই এমন ধরণের কী-ওয়ার্ড নির্বাচন করবেন যাতে কমপিটিশন কম। আর যদি ক্লায়েন্টের কাজ করেন তাহলে ক্লায়েন্ট আপনাকে ফোকাস কী-ওয়ার্ড দিয়ে দিবে।
  • আপনাকে SEO করতে হবে। যেটা আপনার আর্টিকেলের প্রাণ বলতে পারেন। SEO অনেক ধরণের হয়। আপনি মূলত অন পেজ SEO করবেন। তাহলে আপনার বা ক্লায়িন্টের আর্টিকেল গুগুল র‍্যাংককে থাকবে। 
  • অন পেজ SEO বলতে আপনাকে ফোকাস কী-ওয়ার্ড পোরোন আর্টিকেল জুড়ে ১০ বার ব্যবহার করতে হবে। এরপর সেকেন্ডেরারি কী-ওয়ার্ড ৫ বার ব্যবহার করতে হবে। যেমন: প্রধান কী-ওয়ার্ড: এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার সেকেন্ডারি কী-ওয়ার্ড: নিম পাতার উপকারিতা ও অপকারিতা।
  • এরপর ১০টির মতো হেডিং থাকতে হবে। প্রত্যেকটা হেডিং এ কমপক্ষে ২টা প্যারা থাকতে হবে। প্রত্যেকটি প্যারা ৩ লাইন করে থাকতে হবে। সর্বনিম্ন ২ টি প্যারা আর সর্বোচ্চ ৫টি প্যারা।

  • প্রত্যেকটি লাইন জাস্টিফাই থাকতে হবে। আপনি যেখানে লিখছেন ঠিক উপরের দিকে তাকান ৩টা লাইনের মতো অপশন আছে। পুরো প্যারাটা সিলেক্ট করে প্রথমটাই ক্লিক করে Justify এ ক্লিক করুন। তাহলে লাইনগুলো সব সমান হয়ে যাবে।

আর্টিকেল রাইটিং এর জন্য আপনার উপরোক্ত নিয়মগুলো মেনে কাজ করলে আপনার আর্টিকেল সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবে। সেই সাথে আর্টিকেল ভালো মানের এমাউন্টে বিক্রি হবে।

ফাইবার আপওয়ার্ক মার্কেট প্লেসে কাজের ধরণ সমূহ

ফাইবার আপোয়ার্ক মার্কেট প্লেসে কাজের অনেক ধরণ রয়েছে। ফাইবার আপোয়ার্কে আমরা কাজ করার জন্য অধীক আগ্রহে থাকি। কীভাবে কাজ করব। কোন বিষয়ে কাজ করব। কীভাবে দক্ষতা অর্জন করব। এই সকল বিষয়গুলো মাথার মধ্যে ঘুরপাক খায়। এইসকল বিষয়গুলো জানার পূর্বে আপনাকে আগে জানতে হবে কী কী কাজ ফাইবার আপোয়ার্কে করা হয়। 

আপওয়ার্ক (Upwork) ও ফাইবার (Fiverr)

  • ডেভেলপমেন্ট এবং আইটি: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট।
  • ডিজাইন এবং ক্রিয়েটিভ: গ্রাফিক ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ইউআই/ইউএক্স ডিজাইন।
  • ফিন্যান্স এবং একাউন্টিং: বুককিপিং, ফিন্যান্সিয়াল অ্যানালাইসিস, ট্যাক্স প্রিপারেশন।
  • এডমিন এবং কাস্টোমার সাপোর্ট: ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, ডেটা এন্ট্রি, কাস্টোমার সার্ভিস।
  • ইঞ্জিনিয়ারিং এবং আর্কিটেকচার: সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, আর্কিটেকচারাল ডিজাইন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং।
  • সেলস এবং মার্কেটিং: সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, এসইও, কন্টেন্ট মার্কেটিং।
  • রাইটিং এবং ট্রান্সলেশন: কন্টেন্ট রাইটিং, ব্লগ রাইটিং, ট্রান্সলেশন।

  • গ্রাফিক এবং ডিজাইন: লোগো ডিজাইন, ব্র্যান্ডিং, ফ্লায়ার ডিজাইন।
  • ডিজিটাল মার্কেটিং: সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, এসইও।
  • ভিডিও এবং অ্যানিমেশন: ভিডিও এডিটিং, অ্যানিমেশন, ভিডিও প্রোডাকশন।
  • মিউজিক এবং অডিও: ভয়েস ওভার, মিউজিক প্রোডাকশন, অডিও এডিটিং।
  • প্রোগ্রামিং এবং টেক: ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ই-কমার্স ডেভেলপমেন্ট।

  • ডেসক্রিপশন রাইটিং

    ফাইবার আপওয়ার্কে সহজে টাকা ইনকামের হিডেন টিপস

    ফাইবার আপওয়ার্কে সহজে টাকা ইনকামের হিডেন টিপস জানলে আপনি খুব সহজেই টাকা ইনকাম  শুরু করতে পারবেন। ফাইবার আপওয়ার্কে কাজ পাওয়া বর্তমান সময়ে কঠিন। কিন্তু কিছু ট্রিকস জানলে আপনি সহজেই কাজ পেয়ে যাবেন। আর আজকের এই হেডিং এ আমরা যে বিষয়টি আলোচনা করব সেই বিষয়টিতে আপনাকে কোন প্রকার দক্ষতা অর্জন করতে হবে না। চলুন বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক- 

    আপওয়ার্ক বা ফাইবারে অনেক সহজ একটি কাজ সেটি হলো ডেস্ক্রিপশন লিখা। আপনি দেখবেন যারা অনলাইনে পণ্য বিক্রি করে সেই পণ্যের মান কেমন, কী কী দিয়ে তৈরি, প্রোডাক্টটা মানুষের কাছে কতটা গ্রহণ যোগ্য ইত্যাদি বিষয় লিখা থাকে। আবার অনেকেই আছে নতুন কোম্পানি খুলে বা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান খুলে তাদের জন্য এই সকল ডেস্ক্রিপশনের প্রয়োজন হয়। তাই আপনি চাইলে আপওয়ার্ক ও ফাইবারে অ্যাকাউন্ট খুলে কাজ গুলো করতে পারেন।

    ফ্রি-টাকা-ইনকাম-বিকাশে-পেমেন্ট-১০০%-পরীক্ষিত-3

    আপনার মাথায় হয়তো একটি প্রশ্ন আসছে আমি তো ইংলিশ পারি না। তাহলে কীভাবে ডেস্ক্রিপশন লিখবো? তার আগে আপনি একটি ফাইবার আপওয়ার্ক থেকে ঘুরে আসুন। ফাইবার আপওয়ার্কের সার্চ ডেস্ক্রিপশনে গিয়ে লিখুন Product description। তাহলে আপনার একটি ধারণা চলে আসবে আসলে কাজটির কত ডিমান্ড। এটার এখন সবথেকে সহজ উপায় হলো ChatGPT। এটা আপনাকে সাহায্য করবে।

    আপনি শুধু  ChatGPT তে গিয়ে Sing in করুন। এরপর সেখানে লিখবেন "Please write a profuct description of (প্রোডাক্ট এর নাম যেটা বায়ার আপনাকে দিবে)" বসিয়ে দিন। এরপর সেন্ড বাটনে ক্লিক করে দিন। এর সেটি কপি করে বায়ারকে দিয়ে দিন। এখন ধরুন বায়ারের ডেস্ক্রিপশনটা পছন্দ হলো না। তাহলে কী করবেন? তাহলে আপনি আবার লিখবেন। একদমই না। সেখানে দেখবেন Regenarating লিখা আছে। সেখানে ক্লিক করুন। তাহলে আপনাকে আবার নতুন আরেকটি ডেস্ক্রপশন দিয়ে দিবে। আশা করা যাণ, প্রথম ডেস্ক্রিপশনটি বায়ারের পছন্দ হবে। আপনি চাইলে লোকাল মার্কেটেও এই বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারেন। তবে আপওয়ার্ক ও ফাইবারে এটির ডিমান্ড অনেক।

    আজকের পোস্ট বিষয়ক সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

    ১। ফ্রি ইনকাম অ্যাপসগুলো কি নিরাপদ?

    উত্তরঃ ফ্রি ইনকামের সব অ্যাপস নিরাপদ নয়। তাই অ্যাপস ডাউনলোড করার আগে রিভিউ এবং রেটিং দেখে নেওয়া উচিত। এছাড়া, পরিচিত এবং জনপ্রিয় অ্যাপস ব্যবহার করাই ভালো।

    ২। কোন কোন অ্যাপস ব্যবহার করে ফ্রি টাকা ইনকাম করা যায়?

    উত্তরঃ ফ্রি টাকা ইনকামের বিভিন্ন অ্যাপস যেমন: G.O.A.T- Earning Zone app, Paidwork, Google Opinion Rewards, Daily Taka, Swagbucks, Foap, Slidejoy ইত্যাদি ব্যবহার করে আপনি ফ্রি টাকা ইনকাম করতে পারেন।

    ৩। কিভাবে বিকাশে পেমেন্ট নেওয়া যায়?

    উত্তরঃ বেশিরভাগ অ্যাপসের ক্ষেত্রে, আপনি আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টের তথ্য প্রদান করে সরাসরি পেমেন্ট নিতে পারেন। অ্যাপসের সেটিংসে গিয়ে পেমেন্ট মেথড হিসেবে বিকাশ নির্বাচন করতে হবে।

    ৪। কোন কোন কাজ করতে হয়?

    উত্তরঃ বিভিন্ন অ্যাপস বিভিন্ন ধরনের কাজ অফার করে। যেমন, সার্ভে পূরণ করা, ভিডিও দেখা, ফটো আপলোড করা, অ্যাড দেখা ইত্যাদি।

    ৫। বিকাশে পেমেন্ট নিতে কত সময় লাগে?

    উত্তরঃ বিকাশে পেমেন্ট সাধারণত ২৪-৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পেমেন্ট প্রসেস হয়ে যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় নিতে পারে।

    আমাদের শেষ কথা

    প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা জানলাম ফ্রি টাকা ইনকাম বিকাশে পেমেন্ট ১০০% পরীক্ষিত app, কোন অ্যাপের কী কী কাজ, কীভাবে পেমেন্ট নিবেন, কীভাবে মাকহেট প্লেসে খুব সহজেই কাজ পাবেন সকল কিছু বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। অনলাইন ইনকাম খুব দ্রুত করা যায় না। আপনি যদি মনে করে অনলাইন ইনকামে রাতারাতি ভালো কিছু করবেন তা কখনোই সম্ভব নয়। তাই ধৈর্য্য ধরে মনোবল শক্ত করে একটি বিশেষ কাজের দক্ষতা অর্জন করে সামনের দিকে এগিয়ে যান।

    এইরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। কারণ আমরা আমদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরণের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।  

    এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

    পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
    এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

    আবির ইনফো টেকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

    comment url