মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো - শিখুন ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ফ্রি

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো অনেক কৌতুহলী একটি বিষয়। যারা মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চান কিন্তু সঠিক গাইডলাউইন পাচ্ছেন না তাদের জন্যই আজকের এই আর্টিকেল। আপনি কি জানেন? ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে লাখ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

মোবাইল-দিয়ে-ফ্রিল্যান্সিং-কিভাবে-শিখবো-1

আজকের আর্টিকেলে আমরা জানতে চলেছি মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো, কোন প্লাটফর্মে ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ফ্রি, মোবাইল দিয়ে কী কী কাজ করে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন ও প্রতি মাসে লাখ টাকা ইনকাম করবেন। তাহলে দেরি না করে চলুন শিখে নেওয়া যাক।

পেজ সূচীপত্রঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো তা জানার পূর্বে আপনাকে একটি বিষয় আশ্বস্ত করে রাখি মোবাইল দিয়েও ফ্রিল্যান্সিং করা সম্ভব। অনেকেই বিষয়টি নিয়ে অনেক কনফিউস এ থাকেন এমনকি অবাক হওয়ার মতও কান্ড ঘটে। আজকে আমার নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করবো। কীভাবে আমি নিজে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম করেছি। আসলে ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা। আপনি আপনার ইচ্ছামতো এই পেশাকে ব্যবহার করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং কখনো একটি বিষয়কে বা একটি কাজের ওপর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে গড়ে ওঠে না। আপনি বিষয়টি জেনে হতবাক হবেন ফটোগ্রাফি থেকে শুরু করে টাইপিং সহ আরো বিভিন্ন পেশার সাথে ফ্রিল্যান্সিং জড়িত। বেশ কিছু বিষয় নির্ভর করে আপনার ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য। যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং শিখার কোন বয়স নেই মানুষ যে কোন বয়সে চাইলে তা শিখতে পারে। তবে ফ্রিল্যান্সিং শিখার জন্য যে সকল বিষয় নিয়ে প্রথমে কাজ করতে হবে সেগুলো প্রথমে জানিয়ে দিই।

সর্বপ্রথম আপনাকে যে বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে তা হলো আপনি কোন বয়সের ও কোন পেশার মানুষ। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে আপনি তো কিছুক্ষণ আগেই বললেন ফ্রিল্যান্সিং শেখার কোন বয়স নেই। দেখুন যারা যুবক তারা যে কাজটি খুব সহজে ধরতে পারবে আপনি ৩০ কিংবা তার বেশি হলে তা ধরতে একটু সময় লাগবে। কিন্তু শিখার ইচ্ছা যদি থাকে আকাশচুম্বী তাহলে আপনাকে কেউ আটকাতে পারবে না।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় কিনা

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় কিনা তা অনেকেই জানতে চান। বিষয়টি অবাক করার মতো হলেও এটাই সত্য যে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। তবে আপনাকে আগে জানতে হবে কোন কোন বিষয়ে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখার অনেক কয়েকটা উপায় রয়েছে। তাই প্রথমে সেগুলো জেনে নেয়া যাক পরে আমরা কীভাবে এই গুলো থেকে কীভাবে ইনকাম করবেন তা নিয়ে  বিস্তারিত জানবো-

আরো পড়ুনঃ টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে

  • ইউটিউবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং
  • ফেসবুকে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং
  • ব্লগারে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং
  • ওয়ার্ডপ্রেসে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং
  • মোবাইল দিয়ে আর্টিকেল রাইটিং করে ফ্রিল্যান্সিং
  • মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ফ্রিল্যান্সিং
  • মোবাইল দিয়ে ডেটা এন্ট্রি করে ফ্রিল্যান্সিং
  • মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করে ফ্রিল্যান্সিং

  • মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ফ্রিল্যান্সিং
  • মোবাইল দিয়ে ফটোগ্রাফি করে ফ্রিল্যান্সিং

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায় এমন একটি কাজ নির্বাচন করুন

মোবাইল দিয়ে করা যায় এমন একটি কাজের নাম নির্বাচন করুন, যা আমরা পূর্বের হেডিং এ কাজ গুলো জেনেছি। আমি একজন মানুষ হাজারটা বিষয়ে কখনো একসাথে দক্ষতা অর্জন করতে পারবো না। সময়ের সাপেক্ষে সেটা হয়তো সম্ভব তবে একসাথে দক্ষতা অর্জন করা কখনোই আমার একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আপনাকে আগে সিলেক্ট করতে হবে আপনি কোন বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন। তারপর সেটার ওপর দক্ষতা অর্জন করুন।

ফ্রিল্যান্সিং শিখার জন্য আগে আপনাকে জানতে হবে কোনটা কীভাবে কাজ করে। আপনি তখনই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে পারবেন যখন আপনার কাজ সম্পর্কে স্বচ্ছ একটি ধারণা চলে আসবে। আর এই স্বচ্ছ ধারণা না থাকার জন্যই আমরা বেশিরভাগই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে সফল হতে পারি না। তাই সর্বপ্রথম আপনাকে একটি বিষয়কে নির্বাচন করতে হবে যা দিয়ে আপনি খুব সহজেই মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে অবশ্যই আপনি ইনকাম করতে পারবেন। আমরা উপরে জেনেছি আপনি মোবাইল দিয়ে কোন কোন বিষয়গুলোরকে টার্গেট করে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। মনে রাখবেন ফ্রিল্যান্সিং হলো মুক্ত পেশা। এখানে কারো ওপর নির্ভর থাকতে হয় না। আপনার নিজের কাজ আপনি নিজেই করবেন এরপর নিজেই পেমেন্ট রিসিভ করবেন। তারই প্রেক্ষিতে চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেয়া যাক কীভাবে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করবেন।

ইউটিউবে মোবাইল দিয়ে ফ্রল্যান্সিং 

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সার হওয়ার সফল একটি উপায় হলো ইউটিউব। আপনার আশেপাশে অনেক এমন রয়েছে যারা কিছুদিন আগে কিছুই ছিল না এখন তারা এই ইউটিউবকে ব্যবহার করে লাখ লাখ টাকা কামাচ্ছে। ইউটিউবে মূলত ভিডিও বানিয়ে অর্থাৎ ব্লগ বানিয়ে বা ব্লগিং করে আপনো ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন। প্রথম দিকে আপনি শুধু ভিডিও করে তা আপলোড করতে থাকেন। সেই জন্য আপনাকে আগে নির্ধারণ করতে হবে। 

আপনি কোন ক্যাটাগরিতে ভিডিও বানাবেন তার ওপর। আজকাল ফুড ব্লগিং, ভ্রমণ ব্লগিং, বিভিন্ন ফানি কন্টেন্ট ইত্যাদি বানিয়ে তা আপলোড করতে থাকেন। মনে রাখবেন ভিডিও এডিটিং প্রথম অবস্থায় জরুরু নয়। ধীরে ধীরে আপনার কন্টেন্ট হিট হওয়ার সাথে সাথে আপনার এডিটিং লেভেলও বাড়বে। প্রতিদিন কমপক্ষে একটি করে ভিডিও আপলোড করতে হবে।

ফেসবুকে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং

ফেসবুকে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয়টিও অনেকটা ইউটিউব এর মতোই। তবে এখানে আরো বেশকিছু উপায়ে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। আমরা দেখে থাকি ভিডিওতে লাইক, কমেন্ট করেও টাকা ইনকাম করা যায়। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পেজ এই অফারগুলো করে থাকে। আসলে এউলো ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সেইরকম কোম ইমপ্যাক্ট পড়ে না। যেটিতে বেশি ইমপেক্ট পড়ে সেটি হলো ভিডিও বানিয়ে।

আজকাল দেখবেন আমাদের অনেকেরই প্রোফাইলে ফলোয়ার সংখ্যা দেখা যায়। আপনি কি জানেন এই ফলোয়ার সংখ্যা দিয়েইও ইনকাম করা যায়। আপনি কথাটা শুনে হয়তো আশ্চর্য হয়ে গেলেন। এটা আবার কীভাবে সম্ভব? জি হ্যাঁ সম্ভব। যাদের ফেসবুকে কমপক্ষে ১ হাজার ফলোয়ার রয়েছে আর যদি তারা বিভিন্ন কন্টেন্ট বা ভিডিও আপলোড করে রিচ টাইম অর্থাৎ ভিউ টাইম যদি ৬০ দিনর ৬০০০০০০ করাতে পারেন তাহলে আপনার ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম শুরু হয়ে যাবে।

আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে ইনকাম করার ১৫ টি কার্যকরী ট্রিকস

ব্লগারে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং

ব্লগারে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা যায়। এখন আপনার মনে হতে পারে আসলে ব্লগার জিনিসটা কি ইউটিউবে ব্লগিং করা? আসলে বিষয়টি তেমন কিছুই নয়। ব্লগার হলো গুগুলের একটি প্রোডাক্ট যেখানে আমরা আমাদের ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করে তাতে আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করবো। আর এর আর্টিকেল থেকেই মূলত আমাদের ইনকাম হবে। ফ্রিল্যান্সিং ভাষায় এই কাজ কে বলা হয় ডিজিটাল মার্কেটিং। 

আসলে ব্লগারে ওয়েবসাইট খুলে তাতে টপ লেবেল ডোমেইন সেট করে সেখানে বিভিন্ন বিষয়ে লিখালিখি করতে হবে যা মানুষ জানতে চায়। অর্ধাৎ আমারা যেমন গুগুলে কোন কিছু জানার জন্য সার্চ করি আর আমাদের সামনে যে ওয়েবসাইটগুলো আসে তারা মূলত প্রত্যেকেই একেকজন সফল ফ্রিল্যান্সার। আর এই ফএইল্যান্সাররা প্রত্যেকমাসে কমপক্ষে লাখ টাকার মতো ইনকাম করে।

ওয়ার্ডপ্রেসে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং

ওয়ার্ডপ্রেস ও ব্লগারের মধ্যে কোন পার্ধক্য নেি। কাজ পুরোটাই একই। সেখানেও আপনাকে মূলত আর্টিকেলে লিখতে হবে। তবে কিছু বিষয়ে পার্থক্য রয়েছে যেগুলো জানা জরুরি। ব্লগার ও ওয়ার্দপ্রেসের মধ্যে মূল পার্থক্য হলো হোস্টিং(জায়গা) এ। আপনি ব্লগারে হোস্টিং ইচ্ছামতো অর্থাৎ আনলিমিটেড আর ওয়ার্ডপ্রেসে হোস্টিং শেষ হয়ে গেলে আপনাকে ডলার খরচ করে তা কিনতে হবে। এছাড়া ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারে আপনার ওয়েবসাইটকে বেশো সৌন্দর্য করে তুলতে পারবেন। তবে ইনকাম ও কাজ পুরোটাই সেইম।

মোবাইল দিয়ে আর্টিকেল রাইটিং করে ফ্রিল্যান্সিং

আর্টিকেল রাইটিং করে ফ্রিল্যান্সিং এখন জনপ্রিয় একটি পেশা। আমরা যারা ডিজিটাল মার্কেটিং করি তাদের কাজই হলো ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখে তা পাবলিশ করা। আর পাবলিশ করার পর তা গুগোল র‍্যাংকে নিয়ে আসা। বর্তমান মার্কেটে এই আর্টিকেল রাইটিং এর গুরুত্ব অনেক। একেকটি আটফিকেল চাওড়া দামে বিক্রি করা যায়। আর এই আটফিকেল গুলো ডিজিটাল মার্কেটাররা কিনে লাখ টাকা ইনকাম কর‍ছে।

আরো পড়ুনঃ আর্টিকেল লিখার এ্যাডভান্স নিয়মকানুন

তাই আপনি যদি লিখালিখি করতে পছন্দ করেন তাহলে আপনার জন্য এই আর্টিকেল রাইটিং হতে পারে সবথেকে মজার একটি পেশা। বর্তমানে অবেক ওয়েবসাইটে আটফিকেল রাইটার নিয়োগ হয়ে থাকে। আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে এই আটফিকেল রাইটিং এর জব করতে পারেন। যার পারিশ্রমিক হিসেবে আপনি মাসে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি একজন স্টুডেন্ট হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই কাজটি আপনার জন্য বেস্ট বলে আমি মনে করি।

মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ফ্রিল্যান্সিং 

আমরা ফ্রিল্যান্সিং জগতে সবথেকে বহুল আলোচিত যে বিষয়টি সেটি হলো লোগো ডিজাইন। আমরা অনেক সময় শুনে থাকি লোগো ডিজাইন করে ডলার ইনকাম করা যায়। আপনি আপনার তৈরি করা লোগো মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারবেন বা মার্কেটপ্লেসে বায়ারের সাথে বিট করে কাজ ধরতে পারবেন। মোবাইল দিয়ে লোগো ডিজাইনের বেশকিছু অ্যাপস রয়েছে। অ্যাপসগুলো হলো:

  • Pixellab
  • Canva
  • Adobe Illustrator
  • Adobe Spark 

মোবাইল দিয়ে ডাটা এন্ট্রি করে ফ্রিল্যান্সিং

বর্তমানে মার্কেটপ্লেসে ডাটা এন্ট্রির কাজের প্রচুর ডিমান্ড রয়েছে। Fiverr, Upwork, Freelancer.com, Guru, PeoplePerHour সহ আরো অনেক মার্কেট পএস রয়েছে যেখানে বিদেশী বায়াররা কাজ দিয়ে থাকে। সেখানে বাংলাদেশি কিছু বায়াররাও থাকে। আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি দিয়ে উক্ত প্লাটফর্মগুলোতে আপনাকে নিজস্ব অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এরপর আপনার অ্যাকাউন্টকে প্রফেশনালভাবে সাজাতে হবে।

এরপর মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ নিয়ে আপনি মোবাইল ফোন দিয়ে খুব সাহজেই ডাটা এন্ট্রির কাজগুলো করতে পারবেন। আপনাকে অবশ্যই তাদের বেঁধে দেওয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করে দিতে হবে। উপরোক্ত মার্কেটপ্লসে গুলোতে আপনি একটি ডাটা এন্ট্রির কাজ করে ৫ থেকে ১৫০ ডলার পর্যন্ত বায়াররা পেমেন্ট দিয়ে থাকে। সেটি নির্ভর করে কাজের পরিমাণের ওপর। তাই আপনি যদি ডাটা এন্ট্রির কাজে দক্ষ হয় থাকেন তাহলে এখনই আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে শুরু করুন ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার।

মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করে ফ্রিল্যান্সিং

মোবাইল দিয়েই আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং করে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমান সময়ের সবথেকে ডিমান্ডেবল একটি সেক্টর। এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর বড় যাদু কী জানেন? আপনাকে এখানে কোন বায়ারের অপেক্ষায় বসে থাকতে হবে না। এমনকি আপনাকে কোন মার্কেট প্লেসেও কাজ করতে হবে না। তাই আপনি সফল হতে পারলে প্রতি মাসে লাখ টাকার ওপরে ইনকাম করতে সক্ষম হবেন।

আমরা উপরের আলোচনায় দেখেছি ব্লগারে মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার বিষয়টি। আমরা ব্লগারকে ব্যবহার করে যেভাবে কাজ করছি সেটাই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। এখানে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন কোম্পানির অ্যাড দেখাবো যার মাধ্যমে আমরা প্রতিমাসে লক্ষ্যাধিক টাকা ইনকাম করতে পারব। বিষয়টি অবাক করার হলেও এটিই চিরন্তন সত্য কথার মতো। তাই আপনি চাইলে আপনার হাতে মোবাইলটি দিয়েও ব্লগ সাইটে ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করে কাজ শুরু দিন।

মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ফ্রিল্যান্সিং

মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েত মার্কেটিং করে ফ্রিল্যান্সি ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আমরা যারা ডিজিটাল মার্কেটিং করি তাদের জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম করাটা অনেক সহজ একটি বিষয়। আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে অ্যাড দেখার মাধ্যমে না হয় ইনকাম আসে কিন্তু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আবার কীভাবে ইনকাম করা যায়? দেখুন আমি আমার ওয়েবসাইটে একটি দেখালাম সেটি দারাজের কোন একটি পণ্যের।

আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ৫০০ টাকা ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট

এখন আমার যে পাঠক, যিনি আমার আর্টিকেলটি পড়ছে পড়ার এক সময়ে তার সামনে একটি অ্যাড চলে আসলো যা তার নিত্যদিনে ব্যবহৃত কাজের একটি পণ্য। এখন তিনি যদি সেই অ্যাডে ক্লিক করে এরপর তাকে সেই প্রোডাক্টের অর্থাৎ দারাজ অ্যাপে নিয়ে যাবে। সেখান থেকে তিনি যদি পণ্যটি কিনেন তাহলে সেখান থেকে আপনো একটি কমিশন পাবেন। এটিই মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। শুধু ওয়েবসাইটেই নয় আপনি বিভিন্ন জিনিস মানুষকে রেফার করেও টাকা ইনকাম করতে পারেন।

মোবাইল দিয়ে ফটোগ্রাফি করে ফ্রিল্যান্সিং

আপনি কি জানেন আপনার তোলা ছবি আপনি বিক্রি করে ডলার ইনকাম করতে পারবেন। বিষয়টি একদমই সহজ। আমরা যারা ছবি তুলতে ভালোবাসি তাদের জন্য এটি হতে পারে অনলাইন ইনকামের সবথেকে বড় একটি সুযোগ। আপনার ছবির কোয়ালিটি ও দেখতে সুন্দর হয় তাহলে সেগুলো অনেক চড়া মূল্যে বিক্রি হবে। এখন আপনি ভাবছেন কোন ছবি কোন আপলোড করবেন আপনার নাকি অন্যকিছুর। 

দেখুন আপনার ছবি দিয়ে মানুষ কি কোন কাজে ব্যবহার করতে পারবে? যে কিনবে সে কিন্তু তার ভালোলাগা থেকে কিনবে। যেমন প্রকৃতির ছবি, বিভিন্ন জীব-জন্তুর ছবি ইত্যাদি। এখন কথা হলো এগুলো বিক্রি করবো কোথায়? সেইজন্য বেশকিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে আপনার তৈরি করা ছবি বা লোগো বিক্রি করতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক সেই ওয়েবসাইট গুলো কি কি-

  • Canva
  • Getty Image
  • Pond5
  • 500px
  • iStockphoto
  • Alamy
  • Dreamstime
  • Adobe Stock
  • StockPhotoSecrets
  • Shutterstock

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার অ্যাপ

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার অ্যাপ এর প্রয়োজন রয়েছে। আমরা যারা ফ্রিল্যান্সিং করি তাদের জন্য বিভিন্ন অ্যাপস ও এক্সটেনশনের প্রয়োজন হয়। যেগুলো একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য অবশ্যই প্রয়োজন। এই অ্যাপস গুলো যদি সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি দিয়েই কাজ শুরু করে দিতে পারেন। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক ফ্রল্যান্সিং এর জন্য কোন অ্যাপ কোন কাজে ব্যবহার হয়।

আর্টিকেল রাইটিং এর জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাপস:

  • Google docs
  • Microsoft office word
  • Excell Sheet
  • Note pad
  • Wps Office

  • Google Work Space

মোবাইল দিয়ে ওয়েব ডিজাইনের জন্য অ্যাপস:

  • Free code camp
  • W3schools
  • Programming hero
  • Solo Learn

মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইনের জন্য অ্যাপস:

  • Pixlab
  • PicsArt
  • Canva Pro
  • Camtasia
  • Adobe Photoshpe touch

ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো

ফ্রিল্যান্সিং কোথায় শিখবো এটা নিয়ে অনেকেই কনফিউজ থাকেন। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো এটাতো আমরা জেনেই গেছি। আসলে বাংলাদেশে অনেক বড় বড় ফ্রিল্যান্সার রয়েছে তবে তারা বিভিন্ন ধরণের কোর্স লঞ্চ করেঢ থাকে। কিন্তু তাদের থেকেও অ্যাডভান্স লেভেলের কিছু লার্নিং কোম্পানি রয়েছে যারা মূলত বেসিক থেকে অ্যাডভান্স লেভেল পর্যন্ত শিখিয়ে থাকে। এগুলো সম্পূর্ণ পেইড কোর্স। আপনাকে টাকা দিয়ে এই কোর্সগুলো করতে হবে। চলুন জেনে আসি কোন কোন কোম্পানিগুলো মূলত ফ্রিল্যান্সিং শিখায়।

আরো পড়ুনঃ ফেসবুক পেজ খোলার নিয়ম ও মনিটাইজেশন পাওয়ার ৪টি শর্ত

  • ইউডাসিটি
  • লিন্ডা
  • উডেমি
  • ফ্রি কোড ক্যাম্প
  • কোর্সেরা
  • আপওয়ার্ক লার্নিং সেন্টার
  • ফাইবার লানিং
  • এডেক্স

উপরোক্ত সকল কোর্সগুলো ইংরেজিতে করা হয়। আপনি ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন দিক নিয়ে জানতে পারবেন। তবে আপনি খুব সহজেই বাংলাদেশের যারা বড় বড় ফ্রিল্যান্সার রয়েছে তারা মূলত যে কোর্সগুলো করায় আপনি চাইলে তাদের কোর্সগুলো করতে পারেন। 

সরকারি ফ্রি ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ২০২৪

সরকারি ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ২০২৪ অনেকেই জানতে চান কীভাবে করবেন। আসলে দেখুন ফ্রিল্যান্সিং কখনোই একা একা শিখা যায় না। কারো না কারো সাহয্যের প্রয়োজন হয়। বর্তমানে সফল ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা অনেক রয়েছে যারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কোর্স ফী নিয়ে থাকে। যা আমাদের অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই বলে কি আমরা শিখতে পারবো না? এমনটি একদমই নয়। আজকে আমরা জানবো, আপনি ফ্রিতে কীভাবে ফ্রিল্যান্সিং শিখবেন ও নিজে নিজেই একজন সফল ফ্রিল্যান্সার ও উদ্দ্যোক্তা হয়ে উঠবেন।

আরো পড়ুনঃ অনলাইন ক্যাসিনো গেম খেলে টাকা ইনকামের ৫টি কার্যকরী টিপস

প্রথমেই আপনাদের খুশির খবরটা জানিয়ে দিই সেটা হলো এই কোর্সটি সম্পূর্ণ ফ্রি সে সাথে যে সার্টিফিকেট টি পাবেন সেটিও সরকারি। তার থেকেও বড় একটি খুশির খবর হলো আপনারা প্রতিদিন ২০০ টাকা ভাতা পাবেন। কিন্তু তার কন্য একটু পরিশ্রম করতে হবে। আপনাকে ছোট্ট একটি পরীক্ষা দিতে হবে। আর সেটি হবে ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪। এরপর যারা সেই পরীক্ষায় টিকবে তাদের মৌখিক পরীক্ষা হবে ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪। আর ২৬ সেপ্টেম্বর চূড়ান্তভাবে ফলাফল প্রকাশিত হবে। আর হ্যাঁ আবেদনের শেষ তারিখ ১৮ সেপ্টম্বর ২০২৪। এখানে আবেদনের লিংক প্রদান করা হলো।

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সুবিধা ও অসুবিধা

মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সুবিধা ও অসুবিধা অবশ্যই রয়েছে। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো আমরা জেনে গেছি। কিন্তু শিখার পরে আমরা কোন কোন জায়গায় সমস্যায় পড়বো এটা মূলত অনেক গভীর একটি জানার প্রশ্ন। অনেকের মনেই এটা আসতে পারে। দেখুন ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আপনি যখন আসবেন তখন প্রথমের দিকে আপনি একটি সেক্টর নিয়েই কাজ করবেন। আর এটাই উত্তম। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে আপনার স্বাদের পরিবর্তন আসবে।

আপনি যখন একটি সেক্টরে ভালোভাবে কাজ শিখে যাবেন তারপর আপনি আরেকটি সেক্টরে গিয়ে কাজ করার সুযোগ তৈরি করবেন। ধরুন আমি একজন আর্টিকেল রাইটার। আমার কাজ টাইপিং করা। আমি কিন্তু খুব সহজেই আমার আতে থাকা মোবাইল ফোনটি দিয়ে লিখে টাকা ইনকাম করতে পারবো। এখন আমার ইচ্ছা হলো আমি এখন গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখবো কারণ এটাই অনেক টাকা ইনকাম হয়। তাহলে আপনার মনে হবে আপনি তো উপরেই বললেন মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন করা যায়।

মোবাইল-দিয়ে-ফ্রিল্যান্সিং-কিভাবে-শিখবো-3

অবশ্যই আপনি মোবাইল দিয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে পারবেন তবে তা ক্লায়েন্ট বা বায়ারের মন মতো হবে না। কারণ মোবাইলের কাজ আর ডেস্কটপ বা ল্যাপটপের কাজের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। সবথেকে বড় সমস্যা হবে আপনি খুব বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। একজন প্রফেশনাল ফ্রিল্যান্সার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ দিয়েই কাজ করতে হবে। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি প্রত্যেক মাসে সর্বোচ্চ ১৫,০০০ থেকে ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

আজকের বিষয়ের ওপর সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

১। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়?

উত্তরঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ১৫,০০০টাকা থেকে ২০,০০০টাকা পর্যন্ত ইনকাম করা যায়।

২। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম আদৌ সম্ভব কি?

উত্তরঃ জি, হ্যাঁ। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা ইনকাম সম্ভব। 

৩। সরকারি ফ্রি ফ্রিল্যান্সিং কোর্স কত মাসের?

উত্তরঃ সরকারি ফ্রি ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ৩ মাসের জন্য প্রযোজ্য।

৪। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে কোন সেক্টরে সবথেকে বেশি টাকা ইনকাম করা সম্ভব?

উত্তরঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে আর্টিকেল রাইটিং করে আপনি মাসে ১৫,০০০টাকা থেকে ২০,০০০টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

৫। মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে কোন কাজটি করা সবথেকে সহজ?

উত্তরঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে সব থেকে সহজ কাজ আর্টিকেল রাইটিং, ডাটা এন্ট্রি এইসকল কাজ গুলো তুলনামূলক সহজ।

আমাদের শেষকথা

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা জানলাম মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো, মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন কোন কাজ গুলো করা যায়, কোথায় কোর্স করবেন এবং সরকারিভাবে কোথায় কোর্স করবেন। সেই সাথে জানলাম মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার সুবিধা ও অসুবিধা। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং কে পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই প্রফেশনাল ভাবে প্রথম থেকেই কাজ করে যেতে হবে। কারণ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করে খুব ভালো একটি অ্যামাউন্টে ইনকাম করতে পারবেন না।

এইরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। কারণ আমরা আমদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরণের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আবির ইনফো টেকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url