জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার সঠিক নিয়ম ২০২৪
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার সঠিক নিয়ম এর নিয়ম জেনে আপনি নিজেই ঘরে বসেই আপনার নিজের অথবা সন্তানদের জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করে নিতে পারবেন। এই ডিজিটাল জন্ম সনদ বর্তমানে শিক্ষার্থীদের স্কুলে ভর্তি, উপবৃত্তির টাকা পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি ডকুমেন্টস।
আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার সঠিক নিয়ম, অনলাইন জন্ম নিবন্ধন যাচাই, পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম, জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের নিয়মসহ আরো অনেক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
পোস্ট সূচীপত্রঃ জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার সঠিক নিয়ম ২০২৪
- জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
- জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার সঠিক নিয়ম ২০২৪
- পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম
- অনলাইন/ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন যাচাই
- জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড করার উপায়
- জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
- জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য আবেদন
- জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফি জমা দেওয়ার নিয়ম
- আজকের পোস্ট বিষয়ক সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
- আমাদের শেষকথা
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সাথে নিয়ে আসতে হবে। যারা একদমই নতুন ভাবে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করবেন বা যাদের করা আছৈ কিন্তু অনলাইন করা নেই তাদের জন্য কি কি ডকুমেন্টস লাগবে সেগুলো আজকের এই হেডিং এ জানিয়ে দিন। চলুন জেনে নেয়া যাক সেই সকল ডকুমেন্টেসের বিস্তারিত তথ্য-
বয়স ০ থেকে ৪৫ দিন হলে
- ইপি.আই (টিকার) কার্ড।
- পিতামাতার ডিজিটাল/অনলাইন জন্ম সনদ সহ জাতীয় পরিচয় পত্র বা স্মার্ট কার্ড।
- বাসার হোল্ডিং নং।
- সর্বশেষ পরিশোধকৃত বাড়ির খাজনা বা ট্যাক্স এর কাগজ।
- আবেদনকারীর(অভিভাবকের) মোবাইল নাম্বার।
- অনলাইন আবেদন ফর্ম।
- ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
বয়স ৪৬ দিন থেকে ৫ বছর হলে
- ইপি.আই (টিকার কার্ড)
- পিতামাতার ডিজিটাল/অনলাইন জন্ম সনদ সহ জাতীয় পরিচয় পত্র বা স্মার্ট কার্ড।
- যদি বাচ্চা প্রাইমারি স্কুলে পড়ে সেক্ষেত্রে অধ্যেক্ষের কাছে থেকে প্রত্যয়ন পত্র।
- সর্বশেষ পরিশোধকৃত বাড়ির খাজনা বা ট্যাক্স এর কাগজ।
- আবেদনকারীর(অভিভাবকের) মোবাইল নাম্বার।
- অনলাইন আবেদন ফর্ম।
- ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
বয়স ৫ বছর থেকে অধিক হলে
- শিক্ষাগত যোগ্যতার (পি.এস.সি/জে.এস.সি/এস.এস.সি) সার্টিফিকেট বা সনদপত্র। শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র বা সার্টিফিকেট না থাকলে সরকারি হাসপাতালের এমবিবিএস ডাক্তারের স্বাক্ষর ও সীলসহ প্রত্যয়ন সনদ এবং জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফরমের ০৭ (সাত) এর ১ নং কলামের স্বাক্ষর ও সীল বাধ্যতামূলক।
- যাদের জন্ম ০১/০১/২০০১ এর আগে তাদের জন্য পিতা-মাতার জন্ম সনদসহ ভোটার আইডি কার্ড। যদি পিতা-মাতা মৃত হয় সেক্ষেত্রে মৃত্যু সনদ লাগবে।
- যাদের পিতা-মাতার সনদপত্র ডিজিটাল করা নাই তাদের প্রথমে ডিজিটাল করতে হবে। তারপর আপনার জন্ম সনদ তৈরি বা ডিজিটাল করতে পারবেন।
- জাতীয় পরিচয় পত্র বা স্মার্ট কার্ড
- বাসার হোল্ডিং নং।
- সর্বশেষ পরিশোধকৃত বাড়ির খাজনা বা ট্যাক্স এর কাগজ।
- আবেদনকারীর/অভিভাবকের মোবাইল নাম্বার।
- অনলাইন আবেদন ফর্ম।
- ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার সঠিক নিয়ম ২০২৪
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার সঠিক নিয়ম ২০২৪ এ জানবো সঠিক পদ্ধতিতে কীভাবে আপনি আবেদন করবেন। আপনি মোবাইল বা ডেস্কটপ অথবা ল্যাপটপ যে কোন কিছু থেকে আবেদন করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ইনটারনেট সংযোগ থাকতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক সঠিক নিয়মে কীভাবে আবেদন করবেন।
ধাপ-১: প্রথমেই আপনি গুগোলে চলে যান। এখন গুগোলে জন্ম নিবন্ধন লিখে সার্চ করুন। এরপর যে নতুন ইন্টারফেসটি আসবে সেটির প্রথমটাতে ক্লিক করুন।
ধাপ-২: ক্লিক করার পর আপনাকে আরেকটি নতুন ইন্টারফেসে নিয়ে যাবে। সেখানে আপনাকে প্রথমে যেটি সিলেক্ট করতে হবে সেটি হলো আপনি কোন ঠিকানায় জন্ম সনদ আবেদন করতে চান। অর্থাৎ জন্মস্থান নাকি স্থায়ী ঠিকানা। আপনি যেখানে আবেদন জমা দিবেন সেটির ওপর ক্লিক করুন। এরপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ-৩: এখন আপনার সামনে আবেদন ফর্ম আসবে। এটিকে এখন সাবধানতার সাথে পূরণ করতে হবে। কারণ এখানে যে ইনফরমেশনগুলো দিবেন সেই ইনফরমেশন অনুযায়ী আপনার জন্ম নিবন্ধন তৈরি হবে। প্রথমে আপনাকে বাংলায় আপনার পুরো নাম দিতে হবে। এখানে দুটি অপশব আছে একটি প্রথম নাম অপরটি শেষ নাম। উদাহরণস্বরুপ, পুরো নাম: সিদরাতুল মুনতাহা মাইমা। এখানে প্রথম অংশ সিদরাতুল মুনতাহা আর শেষ অংশ মাইমা।
আরো পড়ুনঃ বিদেশ থেকে বিকাশে একাউন্ট খোলা - হাজারে ২৫ টাকা বোনাসে লেনদেনের নিয়ম
এরপর একইভাবে ইংরেজিতে নাম দিতে হবে। জন্ম তারিখ লিখা অপশনে ক্লিক করলে আপনাকে তারিখ, মাস ও জন্ম সাল সিলেক্ট করতে হবে। সেটি সিলেক্ট করার পর আপনার কি কি ডকুমেন্টস লাগবে সেগুলো উল্লেখ করে দিবে। এর লিঙ্গ অর্থাৎ আপনি পুরুষ, মহিলা এটা সিলেক্ট করতে হবে। এরপর আপনি আপনার মা বাবার কততম সন্তান তা নির্ধারণ করুন। এখন আপনার জন্মস্থানের সকল তথ্য দিতে হবে। প্রথমে দেশ সিলেক্ট করতে হবে।
এর আপনার জন্মস্থানের ডাকঘর, আপনার মহল্লার/পাড়ার নাম, আপনার বাসার নাম্বার অর্থাৎ হোল্ডিং নং ও সড়ক নম্বর দিয়ে দিন।এরপর আপনি পাশে খেয়াল করুন। সেখানে বিভাগ অপশন রয়েছে। আপনি যে বিভাগের সে বিভাগ সিলেক্ট করুন। এরপর জেলা সিলেক্ট করুন। এরপর উপজেলা/সিটি কর্পোরেশন সিলেক্ট করুন। তারপর আপনার ওয়ার্ড নং সিলেক্ট করুন। এরপর বাংলায় যেগুলো দিয়েছেন সেগুলো ইংরেজিতে লিখুন। এরপর পরবর্তীতে ক্লিক করুন।
ধাপ-৪: এখন আপনার সামনে আরেকটি নতুন ইন্টারফেস আসবে সেখানে আপনার পিতামাতার বা যার জন্য আবেদন করছেন তার পিতামাতার সকল তথ্য দিতে হবে। প্রথমে আপনার পিতার জন্ম নিবন্ধন নম্বর। যেটি আপনার পিতার জন্ম নিবন্ধনে পেয়ে যাবেন। এরপর জন্ম তারিখ, মাস ও সাল। পিতার নাম ইংরেজিতে লিখে দিন। তারপর পিতার জাতীয় পরিচয় পত্রের নম্বর ও শেষে জাতীয়তা বাংলাদেশি দিয়ে দিন। একইভাবে মাতার তথ্য দিয়ে দিন। এখন পরবর্তীতে ক্লিক করুন।
ধাপ-৫: আরেকটি নতুন ইন্টার ফেস আসবে। এখানে আপনাকে মাত্র ২টি কাজ করতে হবে সেটি হলো জন্মস্থানের ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানার একই এই বক্সে ক্লিক করুন একইভাবে নিচের দিকে স্থায়ী ঠিকানা ও বর্তমান ঠিকানা একই এই বক্সে ক্লিক করে দিন। তাহলে অটোমেটিক সকলকিছু পূরণ হয়ে যাবে। এরপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ-৬: এখন আপনার সামনে যে ইন্টারফেসটি আসবে সেখানে প্রথমে আপনি কার অথীনে আবেদনটি করছেন সেটি সিলেক্ট করুন। এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে হবে। সংযোজনে ক্লিক করে প্রথমে টিকা কার্ডের ছবি আপলোড দিতে হবে। এরপর File Type এ ক্লিক করে প্রথম অপশনটা ক্লিক করে দিব। এরপর স্টার্ট বাটনে ক্লিক করে দিতে হবে। আবার সংযোজনে ক্লিক করে পিতার ভোটার আইডি কার্ড আপলোড করে দিন। এরপর পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে দিন। এখন আপনার সামনে পুরো ইনফরমেশনে ভরা একটি আবেদন ফর্ম চলে আসবে। সেখানে নিচের দিকে একটি সচল ইমেল আইডি ও ফোন নম্বর দিয়ে দিবেন। এর ওটিপি বাটনে ক্লিক করে দিন। এরপর আপনার নম্বরে একটি ওটিপি কোড যাবে। সেই ওটিপি কোডটি পাশের অপশনে বসিয়ে দিন। এরপর সাবমিট বাটনে ক্লিক করে দিন। এখন আবার পরবর্তী বাটনে ক্লিক করে দিন।
এখন আপনাকে যে ইন্টারফেসটি দিয়েছে সেটি প্রিন্ট করে নিজের কাছে রেখে দিন। সেখানে নম্বর দেওয়া আছে সেটি পরবর্তীতে কাজে লাগবে। সেই সাথে আপনাকে জানিয়ে দিবে আপনি কোথায় আবেদন ফর্মটি জামা দিবেন এবং কোন তরিখের মধ্যে জমা দিবেন। এরপর আপনার জন্ম নিবন্ধন হয়ে গেলে আপনি যে কার্যালয়ে কাগজ জমা দিবেন সেখান থেকে সংগ্রহ করে নিবেন।
পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম
পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করার নিয়ম একদমই সহজ একটি কাজ। পূর্বের মতোই কিন্তু এখানে প্রথমে কিছু পথ অবলম্বন করতে হবে। তাহলে চলুন শিখে নেওয়া যাক কীভাবে পুরাতন জন্ম নিবন্ধন অনলাইন করবেন-
ধাপ-১: প্রথমেই গুগোলে সার্চ করুন জন্ম নিবন্ধন লিখে। এরপর প্রথম অপশনে ক্লিক করুন।
ধাপ-২: এখন আপনার সামনে যে ইন্টারফেস আসবে সেখানে উপরের দিকে লক্ষ্য করুন জন্ম নিবন্ধন লিখা আছে। সেখানে ক্লিক করলে নিচ দিয়ে কয়েকটি অপশন আসবে। সেখান থেকে জন্ম নিবন্ধন সনদ পুনঃ মুদ্রণ অপশনে ক্লিক করুন। এরপর নতুন আরেকটি ইন্টারফেস আসবে।
ধাপ-৩: এখানে প্রথমে আপনাকে জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিতে হবে। এরপর জন্ম তারিখ, মাস ও বছর দিতে হবে। নিচে যে অক্ষরগুলো দেওয়া থাকবে সেগুলো বসিয়ে অনুসন্ধান এ ক্লিক করুন।
ধাপ-৪: এরপর নিচে যে ইনফরমেশন দেওয়া থাকবে সেখান থেকে নির্বাচন করুন অপশনে ক্লিক করুন। এরপর আপনার সামনে একটি পপআপ ম্যাসেজ আসবে। সেখানে লিখা থাকবে আপনি কি নিশ্চিত নিচে কনফার্ম এ ক্লিক করে দিন।
ধাপ-৪: এখন আপনাকে পূর্বর মতোই আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে।
অনলাইন/ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন যাচাই
অনলাইন জন্ম নিবন্ধন যাচাই করা বর্তমানে সহজ একটি বিষয়। আপনি যখন আপনার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন ফর্মটি আবেদন করে সাবমিট করবেন, অতঃপর সেটি আপনার নিকটস্থ কার্যালয়ে জমা দেওয়ার পর সেটির অবস্থান স্পষ্টভাবে জানতে পারবেন। এরজন্য আপনাকে কোথাও যাওয়া লাগবে না। আপনি ঘরে বসেই আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন হয়েছে কিনা তা জানতে পারবেন। চলুন ধাপসমূহ জেনে নিই-
ধাপ-১: প্রথমে আপনাকে গুগোলে প্রবেশ করতে হবে। এরপরে সেখানে everify.bdris.gov.bd অথবা আমি আপনাদের সুবিধার্থে লিংক দিয়ে দিলাম। নীল অংশে ক্লিক করে আপনি সরাসরি যাচাইকরণ পেজে প্রবেশ করবেন।
ধাপ-২: এরপর জন্ম নিবন্ধন নম্বরটি প্রথম ঘরে বসিয়ে দিন। দ্বিতীয় ঘরে প্রথমে বছর/মাস/তারিখ (২০০১/০১/০৪)। এরপর নিচের ফাঁকা ঘরে যে লিখাটি টাইপ করতে বলছে সেটি লিখে সার্চ বাটনে ক্লিক করুন।
আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে মাত্র ২০ মিনিটে ইন্ডিয়ান ভিসা অবেদনের নিয়মাবলী
ধাপ-৩: সার্চ বাটনে ক্লিক করার পর আপনার জন্ম নিবন্ধন অনলাইন হয়ৈ গেলে সেটি দেখতে পারবেন। আর যদি সার্চ দেওয়ার পর Record not found হয় তাহলে জন্ম নিবন্ধনটি এখনও ডিজিটাল বা অনলাইন হয় নি।
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড করার উপায়
জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি ডাউনলোড করার উপায় এটি অনেকেই জানে না। কারণ জন্ম নিবন্ধন যাচাই এর অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে কোন ডাউনলোড কররা উপায় নেই। আপনি আবেদন ফর্ম ডাউনলোড প্রিন্ট করতে পারবেন। সেখানে সেই অপশন আছে কিন্তু জন্ম সনদ সরাসরি প্রিন্ট বা ডাউনলোড করার কোন অপশন নেই। তাহলে কি ডাউনলোড করা যাবে না? অবশ্যই যাবে। তাহলে চলুন আজকে আমরা জেনে নিই কীভাবে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করে প্রিন্ট করবেন-
আপনি যখন দেখবেন আপনি জন্ম নিবন্ধন ডিজিটাল বা অনলাইন হয়ে গেছে তখন সেখানে কোন ডাউনলোড বা প্রিন্ট করার অপশন থাকবে না। সেক্ষেত্রে আপনি যাচাই করার পর কম্পিউটার বা ল্যাপটপ থেকে ctrl+p একসাথে প্রেস করলেই দেখবেন সেটি পিডিএফ আকারে চলে আসবে। এরপর প্রিন্ট বাটনে ক্লিক করে একটি নাম বসিয়ে ফাইলটি সেভ করে নিবেন। পরবর্তীতে সেটি প্রিন্ট করে নিজের কাছে রেখে দিতে পারেন।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র
জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জরুরি একটি বিষয়। চলুন জেনে নিই জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য কি কি কাগজপত্রের প্রয়োজন-
নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে: যদি আপনার জন্ম নিবন্ধনে আপনার নামের সংশোধন করতে চান তাহলে আপনাকে জাতীয় পরিচয় পত্র এবং আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট (পিএসসি/জেএসসি/এসেসসি)
বয়স সংশোধনের ক্ষেত্রে: বয়স সংশোধনের জন্ণ টিকা কার্ডের কপি হলেই হবে।
পিতা-মাতার নাম সংশোধন: পিতা-মাতার নাম সংশোধনের ক্ষেত্রে পিত-মাতার অনলাইন জন্ম নিবন্ধন, ভোটার আইডি কার্ড ও আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
আরো পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন দিয়ে ঝটফট ৫ মিনিটে স্টুডেন্ট বিকাশ একাউন্ট খুলুন
বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে: বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন করতে চাইলে আপনি বর্তমানে যেখানে রয়েছেন সেখানকার বাড়ির বিদ্যুত বিলের কপি প্রয়োজন হয়। আর স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আপনার এলাকার কাউন্সিলরের কাছে থেকে একটি প্রত্যয়ন পত্র এবং স্থায়ী ঠিকানার বাড়ির সর্বশেষ পরিশোধকৃত খাজনার কাগজ প্রয়োজন হবে।
বি:দ্র: কখনো কখনো এফিডেভিটেরও প্রয়োজন হয়ে থাকে।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য আবেদন
জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য আবেদনের নিয়ম খুব কঠিন কোন বিষয় নই। এটিও একদম খুবিই সাধারণ একটি বিষয়। আমাদের অনেক সময় তথ্য দিতে ভুল হয়। সেই তথ্য সংশোধনের জন্য আপনি নিজেই ঘরে বসে আবেদন করে খুব সহজেই জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করে নিতে পারবেন। চলুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করবেন-
ধাপ-১: প্রথমে আপনাকে জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের ্ন্য তাদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে চলে যেতে হবে। আমি এখানে লিংক প্রদান করে দিচ্ছি আপনারা সরাসরি এই লিংকে প্রবেশ করতে পারেন।
ধাপ-২: এরপর প্রথম ঘরে আপনি আপনার জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে দিন। পরের ঘরে আপনার জন্ম তারিখ/মাস/বছর দিয়ে দিন। এরপর ক্যাপচা অর্থাৎ ফাঁকা ঘরের উপরে যা লিখা আছে সেটি সেইভাবে লিখে অনুসন্ধান এ ক্লিক করে দিন।
ধাপ-৩: এখন নির্বাচন অপশনে ক্লিক করুন। এরপর আপনার কাছে একটি পপআপ ম্যাসেজ আসবে সেটি কনফার্ম করুন।
আরো পড়ুনঃ ট্রেনের টিকিট অনলাইনে কাটার নিয়ম
ধাপ-৪: কনফার্ম করার পর আপনাকে জানাতে হবে আপনি কোন বিষয়টি সংশোধন করবেন। বিষয় এর জায়গায় আপনি যে বিষয়টি সংশোধন করবেন সেটি নির্বাচন করুন। এরপর কি কারণে সংশোধন করবেন তা নির্বাচন করুন।
ধাপ-৫: সংযোজনের জায়গায় ও্রয়োজনীয় কাগজের ছবি সংযুক্ত করে দিন। এরপর ফর্মটি ডাউনলোড করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে নির্ধারিত তারিখের মধ্যে উল্লেখিত স্থানে গিয়ে জমা দিয়ে আসতে হবে।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফি জমা দেওয়ার নিয়ম
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন ফি জমা দেওয়ার নিয়ম আপনাকে জেনে রাখা উচিত। কারণ বর্তমানে ইউপি বা ওয়ার্ড কাউন্সিলররা বেডি মাত্রায় ফি আদায় করছে। সেটি ২০০-৪০০ টাকা পর্যন্ত। কিন্তু এটি প্রকৃত ফি নয়। আপনি ঘরে বসেই বিকাশ, রকেট, নগদ থেকে পেমেন্ট পরিশোধ করতে পারবেন। তাহলে চলুন ধাপগুলো এক এক করে দেখে নেওয়া যাক-
- ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন: প্রথমে জন্ম নিবন্ধন ই-পেমেন্ট ওয়েবসাইটে যান।
- আবেদনের প্রকৃতি নির্বাচন করুন: আবেদন বা তথ্য সংশোধন অপশনটি বাছাই করুন।
- তথ্য প্রদান করুন: আপনার জন্ম তারিখ এবং ক্যাপচা কোড লিখে সার্চ করুন।
- তথ্য যাচাই করুন: আবেদনের তথ্য সঠিক থাকলে Next বাটনে ক্লিক করুন।
- পেমেন্ট মেথড নির্বাচন করুন: মোবাইল ব্যাংকিং (বিকাশ, নগদ, রকেট) বা অনলাইন ব্যাংকিং সিলেক্ট করুন।
- পেমেন্ট সম্পন্ন করুন: একাউন্ট নম্বর ও পিন দিয়ে পেমেন্ট সম্পন্ন করুন।
- চালান কপি ডাউনলোড করুন: পেমেন্ট সম্পন্ন হলে চালান কপি ডাউনলোড ও প্রিন্ট করে নিন।
বর্তমানে ই-পেমেন্ট অপশন বন্ধ আছে। তাই আপনার নিকটস্থ কার্যালয়ে ফি দিতে পারবেব।
আজকের পোস্ট বিষয়ক সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
১। কিভাবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন করব?
উত্তরঃ অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করতে জন্ম নিবন্ধন ই-পেমেন্ট ওয়েবসাইটে যান। সেখানে আবেদন ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপলোড করুন।
২। জন্ম নিবন্ধনের জন্য কি কি ডকুমেন্টস প্রয়োজন?
উত্তরঃ জন্ম নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস হলো: শিশুর জন্ম সনদ, পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র, এবং ঠিকানার প্রমাণপত্র।
৩। জন্ম নিবন্ধন সংশোধন কিভাবে করব?
উত্তরঃ জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপলোড করে আবেদন সম্পন্ন করুন।
৪। জন্ম নিবন্ধন করতে কত সময় লাগে?
উত্তরঃ সাধারণত জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ৭-১০ কার্যদিবস সময় লাগে।
৫। জন্ম নিবন্ধন সনদ কিভাবে পাব?
উত্তরঃ অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন হলে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ ডাউনলোড করতে পারবেন বা সংশ্লিষ্ট অফিস থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।
আমাদের শেষকথা
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে জানলাম&িবন্ধনে কোন প্রকার ভুল থাকলে তা কীভাবে সংশোধন করবেন, পুরাতন জন্ম নিবন্ধন কীভাবে অনলাইন করবেন সকল কিছু নিয়ে বিস্তারিত আলোচোনা করেছি। আশাকরি সকল কিছু বুঝতে পেরেছেন। আপনি চাইলে ঘরে বসেই করতে পারবেন। যদি কোথাও কোন প্রকার বুঝতে সমস্যা হয় তাহলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
আবির ইনফো টেকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url