পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় - পাইলস এর ফোলা কমানোর উপায়

পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় অনকেরই জানার প্রয়োজন রয়েছে। পাইলস না অর্শ রোগে অনেকেই অনেক সময় ভুগে থাকেন। এটি খুবই পরিচিত একটি রোগ যা আমাদের অনেকেরই হচ্ছে। এই রোগ সাধারণত ৪৪-৪৭ বছর বয়সী মানুষদের মধ্যে বেশি দেখা যাচ্ছে। এছাড়াও যুবক বয়সীদের মধ্যে অনেকাংশে এই রোগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

পাইলস-এর-ফোলা-কমানোর-উপায়--1

আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো, পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় পাইলস কী, পাইলস হওয়ার কারণ, পাইলস এর প্রকারভেদ, পাইলস এর ফোলা কমানোর উপায়, পাইলস এর লক্ষণ সমূহসহ আরো অনেক কিছু। আশাকরি শেষ পর্যন্ত পড়ে কারণগুলো জানতে পারবেন ও লক্ষণ গুলো জেনে নিজেকে ও অন্যকে সাবধান করতে পারবেন।

পেজ সূচীপত্রঃ পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় - পাইলস এর ফোলা কমানোর উপায়

পাইলস বা অর্শো রোগ কী?

পাইলস বা অর্শ রোগ একই রোগ তবে এই পাইলসের আরো একটি নাম আছে যা হলো হেমোরয়েডস। হেমোরয়েডস বা পাইলস এমন একটি অবস্থা যেখানে মলদ্বার এবং নিচের মলদ্বারের শিরাগুলি ফুলে যায় ও প্রসারিত হয়ে যায়। পাইলস খুবই সাধারণ একটি রোগ যা প্রাপ্ত অর্থাৎ ৪৪ থেকে ৪৭ বছর বয়সী প্রতি ৫ জন মানুষের মধ্যে ৩ জনেরই হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পাইলস এর ফলে ভিতরের পিন্ড বা শিরা গুলো ফুলে যাওয়ার ফলে এটি বাইরে বের হয়ে আসতে পারে।

পাইলসের সমস্যায় সাধারণত অর্থাৎ স্বাভাবিক অবস্থায় ব্যাথা অনুভব হয় না তখন এই রোগটি জটিল দিকে চলে যাবে ঠিক তখন ব্যাথা অনুভূত হবে। এক্ষেত্রে মলদ্বারের যন্ত্রণা, রক্ত পড়া, মলদ্বার ফুলে যাওয়া, জ্বালা করা এগুলো পাইলস বা হেমোরয়েডস এর সাধারণ উপসর্গ। সহজভাষায় এই রোগ হলে মলদ্বারের রাস্তা গোটার মতো হয়ে ফুলে যায়। এই রোগ পুরুষদের হয়ে থাকে। তাই উপরের উপসর্গ দেখা দিলেই খুব দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া শুরু করতে হবে।

পাইলস বা হেমোরয়েডস এর প্রকারভেদ

পাইলস বা হেমোরয়েডস ২ ধরণের। যথা: ১. বাহ্যিক হেমোরয়েডস ২. অভ্যন্তরীণ হেমোরয়েডস

১. ব্যাহ্যিক হেমোরয়েডস: ব্যাহ্যিক হেমোরয়েডস হল অনেকটা সাধারণ অর্শ্ব রোগ ও অস্বস্তিকর ধরণের অর্শ্ব। ব্যাহ্যিক হেমোরয়েডস মূলত মলদ্বারের ত্বকের চারপাশের নিচের অংশে পাওয়া যায়। এই ব্যাহ্যিক পাইলস বা হেমোরয়েডস এর কারণে ফোলা ভাব হয় এবং আশেপাশের স্থানে চুলকানির সৃষ্টি হয়। সেই সাথে ব্যাথা অনুভব হয়। এই ব্যাহ্যিক পাইলসের কারণে মলদ্বার দিয়ে রক্তপাত শুরু হয় ও জমাট বাঁধে যার ফলে তীব্র ব্যাথা অনুভব হয়।

২. অভ্যন্তরীণ হেমোরয়েডস: অভ্যন্তরীণ হেমোরয়েডস মূলত মলদ্বারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। অভ্যন্তরীণ পাইলসের কারণে মলদ্বারের অভ্যন্তরীণ আস্তরণে বিকাশ সংগঠিত হয়। এই অভ্যন্তরীণ পাইলসের সমস্যা সাধারণত স্পষ্ট ভাবে বোঝা সমস্যা। এই অভ্যন্তরীণ পাইলস হলে আপনি ব্যাথা অনুভব করবেন না এবং মলদ্বারের অভ্যন্তরে যে গোটা সৃষ্টি হয় তা বড় না হওয়া পর্যন্ত স্পষ্ট হয় না। এই অভ্যন্তরীণ পাইলস প্রল্যাপস অর্থাৎ নির্দিষ্ট স্থানের বাইরে সরে যেতে পারে। যার ফলে সংবেদবশীল এলাকায় বেদনা অনুভূত হয়ে ধাকে।

আরো পড়ুনঃ বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়

পাইলস হওয়ার কারণ সমূহ

পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় জানার পূর্বে আপনাকে প্রথমত জানতে হবে পাইলস মূলত কী কারণে। আপনি যখন পাইলস হওয়ার কারণ জানতে পারবেন তখনই আপনি পাইলস থেকে মুক্তি লাভের জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা নিবেন বা পূর্ববর্তী সাবধাণতা অবলম্বন করবেন। আমরা আগেই জেনেছি মলদ্বারের চারপাশের শিরাগুলো ফুলে উঠার কারণে পাইলস বা হেমোরয়েডস হয়ে থাকে। তবে আরো বেশ কিছু কারণ রয়েছে যার কারণে পাইলস হয়ে থাকে। চলুন সেই কারণ গুলো জেনে নেয়া যাক।

  • আমাদের অনেকেরি বার্ধক্যজনতিত সমস্যা রয়েছে। বিশেষকরে প্রাপ্ত বয়স্কদের এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। এই বার্ধক্যজনিত সমস্যার কারণে ত্বক পাতলা হয়ে যায়। এর ফলে শিরাগুলো ফুলে উঠে ও গোটার সৃষ্টি হয়।
  • পুষ্টিকর খাবারের অভাবে পাইলস হয়ে থাকে।
  • অনেকেরই কোষ্ঠ্যকাঠিন্য হয়ে থাকে। এই কোষ্ঠ্যকাঠিন্য পাইলস হওয়ার পেছনে অনেক বড় ভূমিকা রাখে। 
  • কোষ্ঠ্যকাঠিন্য এর ফলে টয়লেট হতে অনেক সময় লাগে এর ফলে আমরা টয়লেটে অনেক বেশি চাপ প্রয়োগ করে থাকি এই ফলেও কিন্তু পাইলস হয়ে থাকে।
  • শারীরিক পরিশ্রম কম করার কারণে আমাদের হেমোরয়েডস বা পাইলস হয়ে থাকে।
  • এমন অনেকেই আছে যাদের ঘন ঘন ডায়রিয়া হয়। এই সকল রোগী পাইলস হোয়ার সম্ভাবনা অনেক থাকে। 
  • দেহের অতিরিক্ত ওজন এর কারণে পাইলস হয়ে থাকে।
  • পায়ুপথে সহবাসের কারণে পাইলস হয়ে থাকে।
  • আমরা অনেক সময় বাথরুমের বেগ আটকিয়ে রাখি। এটা মারাত্মক ক্ষতির কারণ। শুধু পাইলসের জন্যই নয় আরো অনেক ধরণের সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
  • ফাইবার যুক্ত খাবার কম খাওয়ার কারণে পাইলস হয়ে থাকে।
  • টয়লেটের সিটে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা পাইল হওয়ার কারণ।

পাইলস এর লক্ষণ গুলো কি কি

পাইলস এর লক্ষণ গুলো কি কি জানলে আপনি নিজেই প্রাথমিক ভাবে শনাক্ত করতে পারবেন। পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির জন্য আপনাকে আগে জানতে হবে পাইলস হয়েছে কিনা তা শনাক্ত করতে হবে। পাইলস যেহেতু খুবই বেদনাদায়ক একটি রোগ যার থেকে সাবধান হওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমত লক্ষণগুলো ভালোভাবে খেয়াল করতে হবে। তাহলে চলুন পাইলসের লক্ষণগুলো জেনে নেয়া যাক- 

  • মলদ্বারের আশেপাশের এলাকা জুড়ে চুলকানি হওয়া।
  • মলত্যাগের সময় কোন ব্যাথা অনুভব ব্যতীতই রক্তপাত হওয়া।
  • অনেক সময় ব্যাথা অনুভব হবে। প্রথমিক ভাবে কোন ব্যাথা অনুভব না হলেও পরে মলদ্বারের পিন্ডগুলো ফুলে যাবে এবং ব্যাথা অনুভব শুরু হবে।
  • মলদ্বারের চারপাশ ফুলে যাওয়া।
  • পায়ুপথ এলাকায় অস্বস্তি অনুভব হওয়া।

পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় ঘরোয়া পদ্ধতিতে

পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় ঘরোয় পদ্ধতিতেও হয়ে থাকে। পাইলস এমন একটি অবস্থা যেখানে মলদ্বারের আশেপাশের এলাকা জুড়ে পিন্ডের সৃষ্টি হয় এবং ব্যাথা অনুভব হয়। আমরা পাইলস হওয়ার কারণ, লক্ষণ সম্পর্কে জেনেছি। পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির জন্য ১০টি ঘরোয়া সমাধান জানলে আপনিও এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন। তাহলে চলুন নেয়া যাক পাইলস থেকে মুক্তির ১০টি ঘরোয়া সমাধান।

নারিকেল তেলের ব্যবহার: আমরা জানি পাইলসের সমস্যা হলে শুধু যে ব্যাথায় অনুভব হয় এমনটা নয়। চুলকানিরও সৃষ্টি হয়। যা আস্বস্তিকর পরিবেশ করে তুলে। এই চুলকানি থেকে মুক্তি পেতে নারিকেল তেলের ব্যবহার সবথেকে উপযোগী। নারিকেল তেল প্রাকৃতুক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। পাইলস দ্বারা আক্রান্ত স্থানে এই নারিকেল তেল ব্যবহার করলে চুলকানি ও জ্বালা-পোড়া অনেকাংশেই কমে যায়।

লেবুর রস: আমরা জানি, লেবুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। যা আমাদের শুধু পাইলসই নয় আরো অনেক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। আপনি চাইলে এই লেবি সরাসরি পাইলসে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে পারেন অথবা মধুর সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারেন।

বরফ এর ব্যবহার: পাইলসের চিকিৎসায় বরফ সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আমারা জানি বরফের ব্যবহার আমাদের ত্বকের রক্ত দ্রুত সঞ্চালনে সাহায্য করে। তারই প্রেক্ষিতে এই বরফ রক্তনালীকেও সুস্থ রাখে। এর ফলে মলদ্বারের আশেপাশে যেই অংশ ফুলে উঠে বা পিন্ডের সৃষ্টি হয় সেই অংশ ফোলাভাব কমে যায়। এতে অসহ্য ব্যাথা অনেকাংশেই কমে যায়। এই ফোলাভাব কমাতে ও ব্যাথা দূর করতে আপনাকে প্রথমত একটি পরিষ্কার কাপড়ের মধ্যে কয়েক টুকরো বরফ নিয়ে নিন। এরপর তা সরাসরি আক্রান্ত স্থানে ম্যাসেজ করেত শুরু করুন। পাইলস সম্পূর্ণরূপে ভালো না হোয়া পর্যন্ত এটি দিনে বেশ কয়েকবার করে করতে থাকুন।

জলপাইয়ের তেলের ব্যবহার: আমরা অনেকেই জানি জলপাইয়ের তেলেও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই জলপায়ের তেল মূলত ব্যাহ্যিক হেমোরয়েডসের জন্য বেশি কার্যকরী। এই তেল রক্তনালীর স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধির জন্য অনেক সহায়তা করে। যা ফোলা ভাব কমায় ও ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও পায়ুপথের রক্তনালীর আকার হ্রাস করেতে অনেক সাহায্য করে। এই তেল আপনি চাইলে সরাসরি আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করতে পারেন আবার সরাসরি খাওয়ার মাধ্যমেও ব্যবহার করতে পারেন।

পানির ব্যবহার: পাইলস হওয়ার পেছনে সবথেকে বড় ভূমিকা রাখে পানি। পানি পর্যাপ্ত পান না করার ফলে আপনার পাইলস হতে পারে। আর এই পাইলস থেকে মুক্তির জন্য আপনাকে পানি খাোয়ার পরিমাণ বাড়াতে হবে। প্রতিদিন ৯-১০ গ্লাস পানি পান করার চেষ্টা করুন। এই পানি অভ্যন্তরীণ হেমোরয়েডস কে পরিশুদ্ধ করতে অনেক সাহায্য করে।

অ্যালোভেরার ব্যবহার: পাইলস রোগের চিকিৎসায় অ্যালোভেরা হলো প্রাকৃতিক উপাদান। পাইলস হলে আক্রান্ত স্থানে অনেক জ্বালা পোড়া করে। এই জ্বালা পোড়া কমানোর সবথেকে সেরা উপায় এই অ্যালোভেরার ব্যবহার। অ্যালোভেরা বাহ্যিক ও অভ্যন্ত্যরীণ হেমোরয়রডস উভয়েই কাজ করে। এই অ্যালোভেরার জেল বা অ্যালোভেরা সরাসরি আক্রান্ত স্থানে প্রয়োগ করুন আস্তে আস্তে ম্যাসেজ করুন। এর ফলে ব্যাথা, জ্বালাপোড়া অনুভব হওয়া অনেকাংশেই কমে যাবে।

ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া: আপনি যদি পাইলসে আক্রান্ত হন তাহলে আপনাকে খাবারে বড়সড় পরিবর্ত আনতে হবে। আর এর জন্য আপনাকে খাবারের তালিকায় ফাইবার যুক্ত খাবার এর পরিমাণ বাড়াতে হবে। এজন্য আপনাকে প্রতিদিন খাবারের তালিকায় রাখতে হবে ফল,শাক-সবজি সহ সকল ফাইবার যুক্ত খাবার। এরফলে আপনার মল নরম হবে এবং পাইলস অনেকাংশেই কমে আসবে।

গরম পানির ব্যবহার: পাইলস দ্বারা আক্রান্ত স্থানে প্রতিদিন দুইবার করে গরম পানির ব্যবহার করতে হবে। পানিকে কুসুম কুসুম গরম করে সেই পানি পায়ু ছিদ্রে প্রতিদিন দুইবার ১৫ থেকে ২০ মিনিট ধরে গরম পানি দিতে থাকেন।

পেঁয়াজের রস ও হলুদের ব্যবহার: পেঁয়াজের রস ও হলুদের ব্যবহার আপনার পাইলসের স্থানের ব্যাথাভাব দূর করতে পারে। সেইজন্য আপনাকে প্রথমত পেঁয়াজের রসের মধ্যে সরিষার তেল ও হলুদ মিশিয়ে নিন। এর পর পেস্টটি পাইলস দ্বারা আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ২৫ থেকে ৩০ মিনিটের মতো লাগিয়ে রাখুন। এরপরে পেস্টটি তুলে ফেলুন দেখবেন ব্যাথা অনেকাংশেই কমে যাবে।

ইসবগুলের ভুসির ব্যবহার: আমরা সকলেই জানি কোষ্ঠকাঠিন্য এর জন্য মূলত পাইলস এর সমস্যা হয়ে থাকে। এই সমস্যা হয়ে থাকে মূলত ফাইবারের ঘাটতির কারণে। আর এই সমস্যা হলে মলত্যাগে অনেক কষ্ট হয়। এর পাইলসের সমস্যা বাড়তে থাকে। আর এই সমস্যা থেকে বাঁচতে হলে আপনাকে ইসবগুলের ব্যবহার অনেক সাহায্য করবে। তাই রাতের খাবার শেষে আপনি ইসবগুলের ভুসি এক গ্লাস পানির সাথে দেড় চা চামচ মিশিয়ে পান করতে থাকেন।

পাইলস-এর-ফোলা-কমানোর-উপায়-2

পাইলসের ফলে যে সকল জটিলতা দেখা দেয়

পাইলসের ফলে শরীরে অনেক ধরণের জটিলতা দেখা দেয় যা আপনি নিজের চোখে দেখতে অনুভব করতে পারবেন। পাইলস খুবই সাধারণ একটি সমস্যা যদি আপনি সঠিক সময়ে তা জনতে পারেন। আর যদি আপনি সঠিক সময়ে তা জানতে না পারেন তাহলে আপনার সমস্যা হবে সবথেকে জটিল। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক পাইলসের ফলে যে সকল জটিলতা দেখা দেয়।

রক্তাল্পতা হওয়া: আমরা প্রথমের দিকের আলোচনায় বলেছি পাইলসের ফলে রক্তপাত হয়। আর এই রক্তের ঘাটতির কারণে আয়রণের ঘাটতি দেখা দেয় যার ফলে রক্তাপ্লতা সৃষ্টি হয়। এই রক্তাপ্লতা এমন একটি অবস্থা যেখানে লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা কমে আসে এবং টিস্যুতে অক্সিজেনের সরবরাহ কমতে থাকে। এর ফলে আপনার শরীরের ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যাবে, শরীরে ক্লান্তি ভাব আসবে ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিবে।

ব্যাথার সৃষ্টি হওয়া: পাইলস হওয়ার অন্যতম কারণ হলো কোষ্ঠকাঠিন্য। আর এই কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার ফলে মল ত্যাগের সময় অনেক চাপ প্রয়োগ করতে হয় এর ফলে পায়ুপথ এর স্থান ব্যাথা হয়ে যায়। এছাড়াও পাইলসের ফলে ঘামাচি, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হয়ে থাকে যার ফলে চুলকানি সৃষ্টি হয়। আর এই চুলকানিতে চুলকাতে চুলকাতে ঘা এর সৃষ্ট হয়। আর সেখান থেকে ব্যাথার সৃষ্টি হয়। 

আরো পড়ুনঃ সেনসিটিভ ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় - জানুন ৮ টি গোপন টিপস

রক্তপাত হওয়া: যেহেতু পাইলসের কারণে রক্তপাত হয়। সেইজন্য মলত্যাগের সময় রক্তক্ষরণ হয় যা প্রথম দিকে স্বাভাবিক থাকলেও পরে জটিল অবস্থা ধারণ করলে এই রক্তপাত বাড়তে পারে। আর এই রক্তপাতের ফলেই মূলত রক্তাপ্লতা দেখা দেয়।

শ্বাসরোধ হওয়া: প্রল্যাপসড হেমোরয়েডের মলদ্বারের বািরে আটকে যেতে পারে। যার ফলে যে কোন সময় শ্বাসরোধ হতে পারে। শুধু শ্বাসরোধই নয় রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর ফলে শরীরে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। যেমন: আপনার ব্যাথার সৃষ্ট হতে পারে, শরীর ফুলে যেতে পারে, টিস্যু বিভিন্নভাবে ক্ষতি হতে পারে। এই লক্ষ্যণ গুলো দেখার সাথে সাথে আপনি জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা শুরু করতে হবে।

মেডিকেলের ভাষায় পাইলসের লক্ষণ

হেমোরয়েডস বা পাইলস মেডিকেলের ভাষায় ৪ ধরণের হয়ে থাকে। প্রথম ডিগ্রী, দ্বতীয় ডিগ্রী, তৃতীয় ডিগ্রী, চতুর্থ ডিগ্রী। এই চারটি ডিগ্রীর চার রকমের লক্ষণ রয়েছে। প্রথম ডিগ্রী একদম স্বাভাবিক কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। যেমন হালকা ব্যাথা. বেশ কিছুদিন প্রতিনিয়ত কোষ্ঠকঠিন্য এইসকল। দ্বতীয় ডিগ্রীতে আপনার মলত্যাগের পর তাজা রক্ত যায় তবে কোন ব্যাথ্যা অনুভব হয় না। আপনার মলত্যাগের পর অনুভব হবে কিছু একটা বাইরের দিকে বের হয়ে আসছে। এবং তা আপনাাপনি ঢুকে যাবে।

আরো পড়ুনঃ পেঁয়াজের তেল বানানোর নিয়ম - ২ দিনে চুল পড়া বন্ধ করুন

তৃতীয় ডিগ্রী হেমোরয়েডসে আপনি যখন মল ত্যাগ করবেন তখন মাংস পিন্ডের মতো কিছু একটা বের হয়ে আসবে। দ্বিতীয় হেমোরয়েডসে মাংস পিন্ডটি আপনাআপনি ঢুকে যাচ্ছিলো কিনতি এখন আপনাকে জোর করে চাপ প্রয়োগ করে ঢুকাতে হবে। সর্বশেষ চতুর্থ ডিগ্রীতে আপনার যে মাংস পিন্ডটি বের হবে আসছিল তা আর ঢুকতে পারবে না সেক্ষেত্রে অসহ্য ব্যাথা অনুভব হবে। সঙ্গে সঙ্গে আপনাকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। 

অপারেশন ছাড়া পাইলসের চিকিৎসা

অপারেশন ছাড়া পাইলসের চিকিৎসা সম্পর্কে জানলে খুব সহজেই এই সমস্যা থেকে বের হওয়া সম্ভব। আমরা অনেকেই মনে করি পাইলস হলেই মূলত অপারেশন ছাড়া কোন ভাবে নিরাময় করা সম্ভব নয়। এটা আমাদের ভুল ধারণা যা আমরা অনেকেই পোষণ করে থাকি। আজকের এই হেডিং এ আমরা আলোচনা করব আপনি অপারেশন ছাড়া কীভাবে নিজেকে পাইলস নাম জটিল সমস্যা থেকে নিজেকে মুক্ত করবেন। তার আগে আপনাকে পাইলসের লক্ষ্যন গুলো জানতে হবে যা আমরা পূর্বেই আলোচনা করেছি।

আমরা যারা পাইলসের সমস্যায় ভুগছি বা আগাম সতর্ক হচ্ছি তাদের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে নিজের শরীর নিয়ে সজাগ থাকা। আপনি যখন প্রথম ডিগ্রী হেমোরয়েডসের লক্ষণগুলো বুঝতে পারবেন তখন কিন্তু কোন প্রকার অপারেশনের প্রয়োজন পড়ে না। প্রথম ডিগ্রী হেমোরয়েডসের রোগীদের সাধারণত ডাক্তাররা ওষুধ দিয়ে থাকে সেই সাথে মলত্যাগ স্বাভাবিক রাখার জন্য বিভিন্ন শাকসবজি, পানি পান করতে বলে। 

এরফলে কোষ্ঠকাঠিন্য ভাব দূর হয়ে যায় এবং মলত্যাগে কোন প্রকার বাধা সৃষ্টি হয় না। এরফলে ৮০ - ৯০ শতাংশ রোগী ভালো থাকে। যদি কেউ দ্বতীয় ডিগ্রী হেমোরয়েডস বা পাইলসের সমস্যায় ভুগে থাকে সেক্ষেত্রে অপারেশন করার প্রয়ো্ন পড়ে না। ডাক্তাররা সাধারণত স্ক্লেরি থেরাপি দেয়ে থাকে। এটি মূলত ইনজেকশনের মাধ্যমে দিয়ে থাকে। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে রিং লাইগেশন করে থাকে। যেটিকে সাধারণ ভাবে বলা হয় রাবার রিং লাইগেশন।

আর যদি কারো তৃতীয় ও চতুর্থ ডিগ্রী হেমোরয়েডস হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে অপারেশনের প্রয়োজন হয়ে থাকে। এটি মূলত ক্যান্সারের তৃতীয় ও চতুর্থ ধাপের মতোই। ক্যান্সারে যেমন থ্যারাপির প্রয়োজন হয় আর পাইলসে অপারেশনের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আজকাল এই অপারেশন তেমন কষ্টদায়ক নয়। বর্তমানের আধুনিক মেশিনের ফলে লেজারের মাধ্যমে অপারেশন করা হয়ে থাকে। এরফলে কোন কাঁটাছেড়ার প্রবণতা একদম নেই।

পাইলস-এর-ফোলা-কমানোর-উপায়-3

কি খেলে পাইলস ভালো হয় 

পাইলস যেহেতু জটিল একটি রোগ সেহেতু এই রোগ থেকে মুক্তি পেতে সর্বপ্রথম আপনাকে আপনার খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনতে হবে। আপনাকে এক প্রকার ডায়াট লিস্ট মেনে চলতে হবে। আপনি যখন এই সমস্যার জন্য কোন চিকিৎসকের কাছে যাবেন তখন আপনাকে অনেক খাবার খেতে নিষেধ করবে সে সাথে কোন কোন খাবার কী পরিমাণে খাবেন তাই নির্ধারণ করে দিবে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কী কী খাবার আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখবেন।

আস্ত শস্য জাতীয় খাবার: যারা পাইলসের সমস্যা ভুগছেন তাদের জন্য আস্ত শস্য জাতীয় খাবার খাওয়া সবথেকে জরুরি। কারণ এই আস্ত শস্যতে রয়েছে ফাইবার যা পাইলসের সমস্যা সমাধানে সবথেকে বেশি কার্যকর। এই ফাইবার আপনার মলকে নরম করবে। সেই সাথে ব্যাথা কমাতে সাহায্য করবে। আর এই আস্ত শস্য দানার মধ্যে ঢেঁকি ছাটা চাল, লাল আটার রুটি, বিভিন্ন প্রজাতির ডাল, ভুট্টা, যব, বার্লি, বাজরা, ওটস, বাদামী চাল, চালের পাস্তা সহ সকল গোটা শস্য দানা জাতীয় খাবার।

সবুজ শাক-সবজি জাতীয় খাবার: সবুজ শাক-সবজি শুঢু পাইলসের জন্য নয়। আমাদের সকল প্রকারের রোগের সমাধান রয়েছে এই সবুজ-শাকসবজিতে। এই সবুজ-শাকসবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিআক্সিডেন্ট। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের পুষ্টি বাড়াতে সাহায্য করে পাশাপাশি আমাদের হজমে অনেকটাভ সাহায্য করে। এই সবুজ-শাকসবজির মধ্যে আপনি গাজর, বাঁধাকপি, ফুলকপি, পেঁয়াজ, শসা, সবুজ শাক, কলমির শাক, সজনের শাক, বুটের শাক, পুঁইশাক, ব্রোকলি, কচুর শাক সহ সব সবুজ-শাকসবজি বেশি বেশি খাবেন।

আরো পড়ুনঃ গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম - পুরুষের জন্য মেথির উপকারিতা

শিমের বিচি: শিমের বিচিতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রণ ও ভিটামিন। এটি মূলত আমাদের শরীরের ওজন কমাতে ও শক্তির জোগান দিতে অনেক বড় ভূমিকা রাখে। এই শিমের বিচি যেহেতু তন্তুজ জাতীয় খাবার সেহেতু এটি অবশ্যই পাইলসের খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত। এই শিমের বিচি আপনি চাইলে গুঁড়া করে স্যুপ বানিণে খেতে পারেন এছাড়াও আপনি বিভিন্ন শাক-সবজির সাথে দিয়ে খেতে পারেন।

পানি পান করা: পানির অপর নাম জীবন। এখন প্রায় সকল রোগেই পানি পান করার গুরুত্ব উল্লেখ্য। পানি সকল রোগের সমাধানের মূল। পানি যদিওবা কোন খাদ্য নয় তবে পানি পাইলসের চিকিৎসায় অনেক বড় ভূমিকা রাখে। পাইলস থেকে মুক্তি পেতে আপনাকে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩-৪ লিটার পানি পান করতে হবে। 

এছাড়াও আপনাকে প্রতিনিয়ত ফলমূল গ্রহণ করতে হবে। পাকা পেপের জুস অথবা পাকা পেপে এমনিই খাবেন। তরমুজ, ডালিম, পেয়ারা সহ ভিটামিন সমৃদ্ধ সকল ফল গ্রহণ করতে হবে।

পাইলসের সমস্যায় যে ৫টি শাক-সবজি এড়িয়ে চলবেন

পাইলসের সমস্যার মধ্যে বেশ কিছু শাক-সবজি রয়েছে যেগুলো সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলতে হবে। আপনি যদি পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় মেনে চলতে পারেন তাহল পাইলস এর সমস্যা খুব দ্রুত ভালো হয়ে যাবে। যার জন্য আপনাকে খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনতে হবে। চলুন বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক কোন কোন শাক-সবজি এড়িয়ে চলবেন।

ঝিঙে খাওয়া যাবে না: আমরা অনেকেই আছি যারা ঝিঙে অনেক পছন্দ করি। এই ঝিঙে অনেকটাই উপকারী তবে পাইলসের জন্য তেমন উপকারী নয়। এই ঝিঙেতে পর্যাপ্র পরিমাণে ফাইবার নেই। তাই এই ঝিঙে খেলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য আবারো বেড়ে যাবে। যা পালসের সবথেকে বড় একটি সমস্যা। তাই ঝিঙে সম্পূর্ণ রূপে এড়িয়ে চলবেন।

বৈথার শাক এড়িয়ে চলা: আমরা অনেকেই এই বৈথার শাককে বৈথুয়া, বোথা বা বৈথা শাক নামে চিনে থাকি। এই শাক সবুজ-শাকসমজির মধ্যে অনেকটাই উপকারি একটি শাক। এই শাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, খনিজ, ভিটামিনে ভরপুর। কিন্তু এতে একটি উপাদান নেই। আর তা হলো ফাইবার। পাইলসের সমস্যা সমাধানের মূলেই রয়েছে এই ফাইবার। যেহেতু বৈথার শাকে ফাইবার নেই সেহেতু বৈথার শাক এড়িয়ে চলতে হবে।

টমেটো খাওয়া যাবে না: অনেকেই অবাক হতে পারেন টমেটো কেন খাওয়া যাবে না। টমেটোতো অনেক উপকারি ও ভিটামিন সি এ সমৃদ্ধ একটি ফল। এছাড়াও টমেটোতে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন। কিন্তু আমরা যারা পাইলসের রোগী তাদের জন্য প্রধান উপাদান কী? অবশ্যই ফাইবার। যেহেতু টমেটোতে ফাইবার নেই সেহেতু আমরা টমেটো এড়িয়ে চলবো।

আরো পড়ুনঃ দ্রুত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রন করার উপায় - চিরতরে কীভাবে ডায়াবেটিস নিরাময় করবেন

আলু: আমরা যারা পাইলসের রোগী আছি তাদের জন্য আলু মারাত্মক খারাপ একটি খাবার। আপনাদের জানার সুবিধার্থে জানিয়ে রাখি ১০০ গ্রাম আলুর মধ্যে ২-৩ গ্রামেরেও কম ফাইবার থাকে। যেহেতু আলুতে ফাইবার কম সেহেতু আলু একদমই খাওয়া যাবে না।

পালং শাক খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে: পালংশাকেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। আমরা যারা পাইলসের রোগী আছি তাদের মাথায় রাখতে হবে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর পরিমাণ বেশি থাকলেই হবে না সেখানে ফাইবারের মাত্রাও ঠিক থাকতে হবে। সেই অনুসারে পালং শাকে ফাইবারের পরিমাণ খুবই কম। তাই পালং শাকও সম্পূর্ণরূপে পরিহার করতে হবে।

সচরাচর জিজ্ঞাসা

১।পাইলসের সমস্যায় শুকনো মরিচ বা কাঁচা মরিচ খাওয়া যাবে?

উত্তরঃ শুকনো মরিচ একদমই খাওয়া যাবে না। সাধারণত মরিচ সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলা উচিত। বিশেষ করে যাদের পাইলসের সমস্যার কারণে জ্বালা পোড়া হয় তাদের জন্য মরিচ সম্পূর্ণ এড়িয়ে ভলতে হবে।

২। পাইলসের সমস্যায় আইসক্রিম খাওয়া যাবে?

উত্তরঃ শুনে অনেকেই অবাক হবেন পাইলসের সমস্যা বাযাতে আইসক্রিম অনেকটা ভূমিকা রাখে। আপনি পাইলসের সমস্যার স্থানে বরফ ব্যবহার করতে পারবেন কিন্তি কোনভাবে খেতে পারবেন না। কারণ আইসক্রিম বা বরফ খেলে আপনার মল শক্ত হয়ে যাবে। ফলে পাইলসের সমস্যা আরো বেড়ে যাবে।

৩।পাইলসের হলে ডিম খাওয়া যাবে?

উত্তরঃ পাইলস যেহেতু বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে সেহেতু এটি চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত কোন প্রকার সাজেশন দেওয়া উচিত নয়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী মাছ ও ডিম খেতে হবে।

৪।তেলে ভাজা খাবার খাওয়া যাবে ?

উত্তরঃ অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার, জাঙ্ক ফুড সহ যতপ্রকার বাইরের খাবার রয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণরূপে পরিহার করতে হবে।

৫। মাংস খাওয়া যাবে কি?

উত্তরঃ মাংসের ক্ষেত্রে আপনি রেড মিট অর্থাৎ যে মাংসে লাল ভাব রয়েছে যেমন: গরু, খাসি ইত্যাদি এগুলো না খাওয়ায় ভালো। কারণ এগুলো খাওয়ার পর আপনার মল শক্ত হয়ে যাবে। এরফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হবে যা পাইলসের সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলবে। তবে আপনো হোয়াইট মিট যেগুলোতে লাল ভাব নেই যেমন: মুরগির মাংস খেতে পারবেন।

৬। ময়দাযুক্ত খাবার খাওয়া যাবি কি?

উত্তরঃ ময়দাযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না কারণ ময়দায় ফাইবারের পরিমাণ অনেকটাই কম তাই ময়দা যুক্ত খাবার সম্পূণ্ণরূপে এড়িয়ে চলতে হবে।

আমাদের শেষকথা

প্রিয় পাঠক, আশাকরি আজকের আর্টিকেলে আমরা পাইলস থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়, পাইলসের প্রকারভেদ, কী কী কারণে পাইলস হয়, পাইলসের লক্ষণ সমূহসহ আরো বেশ কিছু টপিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। বিষয় গুলো খুবই ভালোভাবে মেনে চলতে হবে। যে সকল কারণে পাইলস হয় সেই সকল কাজ ও খাবারের খাদ্যাচাস পরিবর্তণ করতে হবে। তবেই আপনি পাইলস নামক জটিল সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

এইরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। কারণ আমরা আমদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরণের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আবির ইনফো টেকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url