শীতকালীন সবজির নামের তালিকা - শীতকালীন সবজির উপকারিতা

শীতকালীন সবজির নামের তালিকা লিখে অনেকেই গুগোলে সার্চ করে থাকেন। কার্তিক মাসের শুরুতেই শীত আসি আসি করে। শীতে সবজি চাষের উপযুক্ত একটি সময় কার্তিক মাস। শীতকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে অনেক ধরণের সবজি চাষ হয়। যেগুলো শুধুমাত্র শীতেই পাওয়া যায়।

শীতকালীন-সবজির-নামের-তালিকা-1

আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো, শীতকালীন সবজির নামের তালিকা, শীতকালীন ফলের নামের তালিকা, শীতকালীন সবজি চাষের সময়, শীতকালীন সবজির গুণাগুণসমূহ, কোন ফসল চাষে বেশি লাভ হয় সকল কিছু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন আশাকরি আজকের এই আর্টিকেল থেকে উপকৃত হবেন।

পেজ সূচীপত্রঃ শীতকালীন সবজির নামের তালিকা - শীতকালীন সবজির উপকারিতা

শীতকালীন সবজির নামের তালিকা

শীতকালীন সবজির নামের তালিকায় এমন ধরণের সবজি রয়েছে যা আপনি শুধু শীতকালেই পাবেন। আর এই সবজির বাম্পার ফলন শুধু শীতকালেই হয়ে থাকে। আর এই শীতকালীন সবজি গুলো আমাদের শরীরকে তীব্র ঠান্ডা ও স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা থেকে সুরক্ষা প্রদান করে থাকে। আজকে আমরা যে সকল সবজি নিয়ে আলোচনা করব সেই সকল সবজি গুলো অনেকটাই সুস্বাদ ও পুষ্টিতে ভরপুর। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক সেই সকল শীতকালীন সবজির তালিকা।

  • শিম ( Beans) 
  • বাঁধাকপি বা পাতাকপি (Cabbage)
  • শালগম (Turnip)
  • ফুলকপি (Cauliflower)
  • ব্রোকলি (Broccoli) 
  • মুলা (Radish)
  • পালংশাক (Spinach)
  • গাজর (Carrot)
  • টমেটো (Tomato)
  • লাউ (Gourd)
  • চায়না বেগুন (Chaina Eggplant)
  • ধনেপাতা (Cilantro)
  • মটরশুঁটি ( Green pea) 
  • লাল শাক 
  • মিষ্টি কুমড়া (Sweet Pumpkin)
  • চাল কুমড়া (Rice Pumpkin)
  • পুঁইশাক (Coriander)
  • ঢেঁড়শ (Ladies finger)
  • পেঁয়াজের কলি বা পেঁয়াজের ফুলকা বা বরবটি (Spring Onion)
  • ধুন্দল
  • করলা বা উচ্ছে (Bitter gourd)
  • কাঁকরোল (Sweet Bitter Gourd)

  • চিচিঙ্গা (Snake gourd)

  • পটল (Point gourd)

  • মিষ্টি আলু (Sweet Potato)

  • ওলকপি (Kohlrabi)

শীতকালীন ফলের ইংরেজিসহ নামের তালিকা

শীতকালীন ফলের নামের তালিকা এর ফলমূল গুলো ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর। শরীরে ভিটামিন ও মিনারেল পাওয়ার সবথেকে বড় উৎস হলো ফলমূল। আর এই শীতকালীন ফলগুলো যেমন শুধু শীতকালেই পাওয়া যায় তেমনি এই ফলমূলের স্বাদেও রয়েছে ভিন্নতা। তাহলে চলুন আজকে জেনে নেয়া যাক পুষ্টিতে ভরপুর শীতকালীন কিছু ফলমূল যেগুলো বাজারে অর্থাৎ আপনার হাতের নাগালেই পাওয়া যায়।

আরো পড়ুনঃ আমের জাত সম্পর্কে জানুন - চিনুন পরে কিনুন

  • আপেল (Apple)
  • কমলালেবু (Orange)
  • জলপাই (Olive)
  • আমড়া  (Hog-plums)
  • কুল বরই (Plums / Jujuji)
  • জাম্বুরা (Pomelo)
  • আঙ্গুর (Grapes)
  • পেয়ারা (Guava)
  • ডালিম বা বেদানা (Pomegranate)
  • আনারস (Pineapple)
  • মাল্টা (Malta)
  • নাশপাতি (Pear)
  • গাব জাতীয় ফল (Persimmon)
  • স্ট্রবেরি (Strawberry)
  • ড্রাগন ফল (Dragon Fruit)
  • কিউই ফল (Kiwi Fruit)
  • আনারকলি ফল বা ট্যাং ফল (Passion Fruite)
  • কামেরাঙ্গা (Startfruit / Carambola) 
  • আমলকী (Gooseberry)
  • সফেদা (Sapodilla)
  • চালতা (Elephant Apple)
  • তেঁতুল (Tamarind)
  • কৎবেল (Wood Apple)
  • চাইনীজ কমলা (Mandarin Orange) 
  • ডেফল (Yellow Mangosteen)
  • পানিফল (Water Chestunt)
  • আতা ফল বা শরীফা ফল (Custurd apple / Sugar apple)
  • কলা (Banana)
  • পেঁপে (Papaya)
  • নারিকেল (Coconut)

  • ক্র্যানবেরি

শীতকালীন সবজির উপকারিতা ও ভরপুর পুষ্টিগুণ 

শীতকালীন সবজির নামের তালিকা আমরা উপরেই জেনে গেছি কোন কোন সবজি শীতের মৌসুমে হয়। আমরা অনেকেই জানি শীতকালীন সবজির অনেক পুষ্টি গুণ রয়েছে। যা আমাদের শরীরের জন্য অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সচরাচর উপরে উল্লেখিত সবজীগুলোই খেয়ে থাকি। কিন্তু আসলে কেন খায় এটা আমরা অনেকেই জানি না। আজকের এই হেডিং এ আমরা আলোচনা করব শীতকালীন সবজি খাওয়ার উপকারীতা।

শীতকালীন সবজি ফুলকপির উপকারিতা: শীতকালীন সবজির নামের তালিকা এর মধ্যে সবার প্রিয় একটি ফুলকপি। এই ফুলকপি আমরা মূলত ভাজি বা বিভিন্ন তরকারিতে দিয়ে খায়। আপনারা কি জানেন? এই ফুলকপিতে ভিটামিনের তিনটি ভ্যারিয়েন্ট বিদ্যমান। ভিটামিন "এ" "বি" ও "সি"। এছাড়াও মিনারেল উপাদান যেমন: আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস ও সবথেকে বেশি পরিমাণে রয়েছে সালফার। আমরা যারা প্রতিদিন কায়িকশ্রম করি তাদের জন্য ফুলকপি উপযুক্ত একটি সবজি।

এই সবজিতে কোন প্রকার ফ্যাট বা চর্বি নেই। শিশুদের বেশি পরিমাণে এই সবজিটি খাওয়াবেন কারণ এই সবজি কোলেস্টেরল মুক্ত যার ফলে শরীরের বৃদ্ধি বা  বর্ধনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। আপনি জেনে অবাক হবেন এই ফুলকপিতে ক্যান্সার প্রতোরোধী উপাদান রয়েছে যা আপনার পাকস্থলী, ব্রেস্ট, ডিম্বাশয়ের ক্যান্সার থেকে মুক্তি দিতে পারে। এছাড়াও জ্বর সর্দি-কাশি দূর করতেও এই সবজি বিশেষভাবে ভূমিকা রাখে। 

শীতকালীন সবজি ব্রোকলির উপকারিতা: ব্রোকলি ফুলকপি জাতীয় একটি সবজি। এটি মূলত ক্রস প্রজাতির একটি সবজি। বাংলাদেশে ব্যাপক পরিমাণে চাষ করা হচ্ছে। এই সবজিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রণ ও ক্যালসিয়াম রয়েছে। যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী উপাদান। এই সবজিটি খেতে অনেক সুস্বাদু তবে এই সবজিটি যদি সিদ্ধ করে স্যুপের সাথে খান তাহলে অনেকটাই উপকারে আসবে। এছাড়াও এই সবজিটি রাতকানা ও রোগ প্রতিরোধ করতে অনেক সাহায্য করে। 

শীতকালীন সবজি বাঁধাকপির উপকারিতা: শীতের টাটকা সবজী গুলোর মধ্যে বাঁধাকপি অন্যতম।বাঁধাকপির মধ্যে ২ ধরণের ভিটামিন পাওয়া যায়। একটি ভিটামিন সি অপরটি ভিটামিন ই। এছাড়াও বাঁধাকপির মধ্যে রয়েছে সালফার। এই সকল কিছুর সংমিশ্রণে পুষ্টিগুণে ভরা বাঁধাকপি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা, পাকস্থলীর বর্জ্য পরিষ্কার, হজমে সাহায্য করা এমনকি ক্যান্সার প্রতিরোধেও এটি মূখ্য ভূমিকা রাখে। এছাড়াও আমাদের শরীরের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে, আলসার নিরাময় করতে এবং দেহের রক্ত সঞ্চালনে উন্নতি সাধনে অনেকটাই ভূমিকা রাখে এই বাঁধাকপি।

শীতকালীন সবজি শিমের উপকারিতা: শিম অতি সুস্বাদু একটি সবজি। পুষ্টি ও আমিষে ভরপুর এই সবজি হলো শিম। শিম যেমন উপকারী একটা সবজি তেমনি সিমের বীজও উপকারী একটি উপাদান। শীম মূলত পরিপাকে অনেক সাহায্য করে। কারণ শিমে রয়েছে আমিষ ও স্নেহ জাতীয় উপাদান যা আমাদের পরিপাকে সাহায্য করে। তাছাড়া শীমে রয়েছে আঁশ জাতীয় অংশ। যা পরিপাকে সাহায্য করে। পুষ্টিগুণে ভরা এই শিম কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়।

আমরা যারা হৃদরোগে ভুক্তোভোগী তাদের জন্য শিম অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি সবজি। কারণ এই শিমে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। যা আমাদের ত্বকের বার্ধক্যভাব কমাতে সাহায্য করবে। সেই সাথে শিশুদের অপুষ্টিভাব দূর হবে, শরীরের রক্ত স্বাভাবিক করতেও সাহায্য করে।

শীতকালীন সবজি পালংশাকের উপকারিতা: শীতকালী শাক-সবজির মধ্যে পালংশাক যেমন সবার প্রিয় একটি সবজি তেমনি পুষ্টির দিক দিয়েও রয়েছে ভিটামিনে ভরপুর। আপনি জেনে অবাক হবেন পালংশাকে পাঁচটি ভ্যারিয়েন্টের ভিটামিন রয়েছে। ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি. ভিটামিন ই. ও ভিটামিন কে। শুধু ভিটামিন নয় এতে রয়েছে আয়রণ, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক। আমাদের বাসায় যারা বৃদ্ধ বা হাড়ের সমস্যায় ভুগছে তাদের জন্য বা যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের জন্য পালংশাক হতে পারে একটি পারফেক্ট সবজি। আপনি এই পালংশাককে সবজির সাথে খেতে পারেন বা ডালের সাথে খেতে পারেন। এছাড়াও স্যুপ হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন।

শীতকালীন সবজি গাজরের উপকারিতা: শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে ও চোখের সমস্যা দূর করতে গাজরের ভূমিকা অতুলনীয়। গাজর আপনি কাঁচা ও রান্না দুইভাবেই খেতে পারেন। তবে কাঁচা খাওয়ার উপকারিতা অনেক। গাজরে রয়েছে ৬ ধরণের ভিটামিন। ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন বি২, ভিটামিন ভি৩, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে। এছাড়াও রয়েছে বিটা ক্যারোটিন যার ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। আপনি যে কোন ভাবে এই গাজরকে গ্রহণ করতে পারেন।

শীতকালীন সবজি মুলার উপকারিতা: মুলা শীতকালীন খুবই জনপ্রিয় একটি সবজি। আমরা মুলা বিভিন্ন সবজির সাথে খেয়ে থাকি। আবার অনেকেই খায় না। তাদের জন্য একটি ইনফরমেশন জানিয়ে রাখি এই মুলাতে রয়েছে পটাসিয়াম, সোডিয়াম, ভিটামিন সি এবং ম্যাগনেসিয়াম। মুলাতে প্রচুর পানি রয়েছে। আপনি জেনে অবাক হবেন এই মুলা ফ্লু এর মত রোগের সাথে লড়াই করেত সাহায্য করে। আপনি মুলাকে কাঁচা বা রান্না দুইভাবেই খেতে পারবেন। তবে কাঁচা খাওয়ার উপকারিতা অনেক।

শীতকালীন সবজি টমেটোর উপকারিতা: টমেটো এমন একটি সবজি যা আমাদের কম বেশি সবারই প্রিয়। টমেটো শীতকালীন একটি সবজি যা আপনি কাঁচা অবস্থায় সবজির সাথে খেতে পারবেন আর পাকলে খালি মুখে, সালাত বা চাটনি করে খেতে পারবেন। আপনি কি জানেন টমেটোতে কী পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে? চলুন নিচে একটি চার্ট দেখা নেয়া যাক।

১০০ গ্রাম টমেটোতে পুষ্টি উপাদান পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ
আমিষ ০.৯ গ্রাম
লৌহ বা আয়রণ ০.৬৪ মিলি গ্রাম
চর্বি ০.২ মিলি গ্রাম
শর্করা ৩.৬ গ্রাম
ফসফরাস ২০ মিলি গ্রাম
ক্যারোটিন ৩৫১ মাইক্রোগ্রাম
আঁশ ০.৮ মিলি গ্রাম
ক্যালসিয়াম ৪৮ মিলি গ্রাম
ভিটামিন সি ২৭ মিলি গ্রাম
শক্তি ২০ কিলোক্যালরি

শীতকালীন সবজি লাউ এর উপকারিতা: শীতকালীন সবজি লাউ সুস্বাদু একটি সবজি। আমরা এই লাউকে বিভিন্নভাবে খেয়ে থাকি। আপনি কি জানেন? এই লাউ এ প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে। যা আমদের শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখে। দেহের পানির চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম এই লাউ। বিশেষকরে যারা পানি শূণ্যতায় ভুগছেন তাদের জন্য লাউ একটি উপাকরি সবজি। শুধু পানি শূণ্যতা নয় কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়াতে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং কোষ্ঠ্যকাঠিন্য কমাতে এই লাউয়ের উপকারিতা অনেক। মেয়েদের বিশেষকরে চুলের গোড়া শক্ত করতে ও চুল পড়া রোধে লাউয়ের ভূমিকার জোড়াভাব নেই।

শীতকালীন সবজি চাষের কার্যকরী সময় 

শীতকালীন সবজি চাষের কার্যকরী একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। কারণ শীতকালীন সবজি কেবলমাত্র শীতকালেই পাওয়া যায়। আর বর্তমানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে শীতের আগমন ঘটে অক্টোবরের শুরুর দিক থেকেই। আর এই শীতের রেশ থাকে ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত। মূলত সবজি চাষের জন্য যে পূর্ব প্রস্তুতি যেমন বীজ সংগ্রহ, মাটির পরিচর্চা ও সার প্রয়োগ, সেচ দেওয়া সহ আরো যত আনুসাঙ্গিক কাজ রয়েছে সেগুলো মধ্য সেপ্টম্বর থেকে মধ্য অক্টোবরের মধ্যে শেষ করা হয়। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কোন সময় কোন সবজি চাষ করবেন-

সবজির নাম চারা লাগানোর সময় ফসল তোলার সময়
মুলা অক্টোবর শেষ থেকে নভেম্বর মাঝামাঝি ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি
ব্রকলি নভেম্বরের প্রথম দিকে জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি
বাঁধাকপি অক্টোবর শেষ থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি
ফুলকপি অক্টোবর শেষ থেকে নভেম্বরের প্রথম দিক ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি
শালগম অক্টোবর থেকে নভেম্বরের প্রথম দিক ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি
বেগুন নভেম্বরের প্রথম থেকে মধ্যবর্তী সময়ে জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি
শিম অক্টোবর শেষ থেকে নভেম্বরের প্রথম দিক জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি
পালংশাক অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি
গাজর অক্টোবর শেষ থেকে নভেম্বর মাঝামাঝি জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি
লাউ অক্টোবর থেকে নভেম্বরের প্রথম দিকে জানুয়ারি থেকে মার্চ

শীতকালীন সবজি চাষের ৭টি ধাপ

শীতকালীন সবজি চাষের ৭টি ধাপ মেনে আপনিও আপনার বাড়ির আঙ্গিয়ায় বা নাড়ির ছাদে অনায়াসে কৃষকদের মতো চাষ শুরু করতে পারেন। আমাদের অনেকেরই টাটকা সবজি খাওয়া হয় না। কারণ কৃষকের কাছে থেকে সংগ্রহ করে তা বাজারজাত করতে অনেক সময় লেগে যায়। এতে টাটকা খাওয়া সেইভাবে হয়ে উঠে না। তাই আজকের এই হেডিং এ আপনাদের জানিয়ে দেব আপনি নিজে ঘরের ছাদ বা আঙ্গীনা ব্যবহার করে কীভাবে শীতকালীন সবজি চাষ করবেন।

প্রথমে ধাপ গধলো জেনে নেয়া যাক এরপর আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব-

  • মাটিকে সবজি চাষের উপযোগী করে তোলা।
  • বাজার থেক বীজ সংগ্রহ করা।
  • বীজ বপণ বা রোপণ করা।
  • মাটিতে সার প্রয়োগ করা।
  • সেচ দেওয়া ই নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালোভাবে করা।
  • আগাছা দমন করা
  • পোকামাকড় দূরীকরণে যত্ন নেওয়া।
  • ফসল সংগ্রহ করা।
শীতকালীন-সবজির-নামের-তালিকা-2

শীতকালীন সবজির বাম্পার ফসল চাষের পদ্ধতি

শীতকালীন সবজি চাষের কার্যকরী পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। বর্তমানে বাংলাদেশে শীতকাল অক্টোবরের মাঝামাঝিতেই একটি ভাইব চলে আসে। সেই ক্ষেত্রে সবজি চাষেরও একটি সময় রয়েছে আর সেই সময়টি হলো নভেম্বর থেকে মার্চ মাস। এই সময়টাই মূলত আবহাওয়া ঠান্ডা থাকে এবং বৃষ্টির পরিমাণও কম হয়। যার ফলে শীতকালীন সবজির চাষও বাম্পার হয়। চলুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফসল ফলাবেন।

ফসল ফলানোর জন্য মাটিকে চাষযোগ্য তৈরি করুন: শীতকালীন সবজি চাষের জন্য আপনাকে প্রথমে অবশ্যই ভালো মানের মাটিকে নির্বাচন করতে হবে। এরপর জমিকে উঁচু করে নিতে হবে। এরপর জমিতে গোবর সার, ইউরিয়া, টিএসপি ও এমোপি সার প্রয়োগ করে দিন। 

বীজ বপণ করুন: মাটি উঁচু সার প্রয়োগ করার পর আপনি বাজার থেকে যে বীজ সংগ্রহ করেছেন তা মাটিতে বপণ করুন। বীজ বপণের জন্য মাটিতে লাইন তৈরি করে নিন। এতে আপনার ফসল পেতে সুবিধা হবে। মনে রাখবেন একটি বীজ ধেকে আরেকটি বীজের দূরত্ব ১৫ থেকে ২০ বা ২৫ সেন্টি মিটারের মধ্যে রাখতে হবে। এরপর মাটি হালকাভাবে চাপা দিয়ে দিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ সবরি কলার উপকারিতা  ও পুষ্টিগুণ

সেচ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো করতে হবে: যখন আপনারা বীজ বপণ করে দিবেন এরপর আপনাদের লক্ষ্য রাখতে হবে কোথাও যেন পানি জমে না থাকে। এতে যে চারা উৎপাদন হবে তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। এরফলে সবজি হওয়ার কোন সম্ভাবনা আর থাকবে না। তাই জমির অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করে ফেলতে হবে।

আগাছা দমণ করুন: আমরা অনেকেই জানি আগাছা গাছের বৃদ্ধিকে ব্যহত করে। আর গাছ যদি বৃদ্ধি না পায় এর মানে গাছ পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান পাচ্ছে না। তাই গাছের পুষ্টি উপাদান বাড়াতে আপনাকে অবশ্যই আগাছা দমণ করতে হবে। সেই সাথে পোকামাকড় এর বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যাতে পোকামাকড় কোনভাবেই গাছে আক্রমণ করতে না পারে।

ফসল বসংগ্রহ করতে হবে: যখন দেখবেন ফসল তোলার সময় হয়ে গেছে তখন ফসল সংগ্রহ করে আপনি খেতে পারবেন। উপরে আমরা আপনাদের সুবিধার জন্য কোন ফসল কখন তুলতে হয় তা জানিয়ে দিয়েছি।

বাড়ির ছাদে শীতকালীন সবজি চাষের পদ্ধতি

বাড়ির ছাদে শীতকালীন সবজি চাষের পদ্ধতি আমাদের জেনে রাখা দরকার। আমার মতো যারা শহরে বাস করে তারা বেশিরভাগই টাটকা সবজি খেতে পারি না। কারণ কৃষক হতে শহরের বাজারে আসতে একটু সময় লেগেই যারা। তাহলে কি আমরা টাটকা সবজি খেতে পারবো না? অবশ্যই পারব তাও আমাদের বাসার ছাদে। এই সবজি আপনি নিজেও খেতে পারবেন আবার একজন উদ্দ্যোক্তা হয়ে তা পাড়া মহল্লায়ও বিক্রি করতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক বাড়ির ছাদে কীভাবে শীতকালীন সবজি চাষ করবেন।

ধাপ-১: প্রথমত আপনাকে মাটির টপ সংগ্রহ করতে হবে। ফুল লাগানো টব নয় সবজি চাষ করার টব। 

ধাপ-২: এরপর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ যে অংশ সবজি চাষের তা হলো মাটি। মাটি অবশ্যই ঝুরঝুরে, পানি শোষণ করতে পারে ও হালকা হয় এমন মাটি সংগ্রহ করতে হবে। আর সেই মাটি হলো বেলে দো-আঁশ মাটি। দুই ভাগ বেলে দো-আঁশ মাটির সঙ্গে দুই ভাগ জৈব সার মিশিয়ে নিয়ে মাটিকে চাষযোগ্য করে তুলুন। আর যদি বেলে দো-আঁশ মাটি না হয় তাহলে এটেল মাটি নিতে পারেন। তার সঙ্গে একভাগ বালি মিশিয়ে নিন।

ধাপ-৩: এখন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে তা হলো মাটিকে জীবানুমুক্ত করা। এই মাটিকে জীবানুমুক্ত করতে আপনাকে ব্যবহার করতে হবে ফরমালডিহাইড। প্রতি ১ লিটারে শতকরা ৪০ ভাগ এই ফরম্যালডিহাইড ব্যবহার করতে হবে। আপনার মাটি অনুযায়ী এর পরিমাণ ঠিক করে নিতে। এটি একবারে সব দিয়ে দিবেন না। যেইদিন দিবেন সেইদিন কয়েকবার দিয়ে দিবেন। এরপর চটের কাপড় বা বস্তা দিয়ে ঢেকে রেখে দিন।

আরো পড়ুনঃ গ্যাস্ট্রিকের জন্য মেথি খাওয়ার নিয়ম

ধাপ-৪: এখন খুন হালকাভাবে বীজ বপণ করে দিতে হবে। এরপর জৈব সার দিয়ে বীজ গুলিকে ঢেকে দিতে হবে। ঠিক আগের নিয়মেই। যেভাবে কৃষক মাটিতে সবজি চাষ করে ঠিক একই নিয়মে আপনাকেও আপনার টবে চাষ করতে হবে। প্রতিনিয়ত পানি দিতে হবে। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে সেটি হলো সেচ কখনো মাটির উপর দিয়ে দেওয়া যাবে না। এতে বীজ অঙ্কুরোদমে ব্যাঘাত সৃষ্ট হবে। সেই জন্য টবের সাইডে নিচের দিকে ছিদ্র করে নিবেন এতে সেচ দেওয়াটা উপকারি হবে।  

ধাপ-৫: এরপর আপনাকে গাছের পরিচর্চা নিতে হবে। বিভিন্ন জীবানু, পোকামাকড়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে আপনাকে হেপ্টোক্লোরো-৪০ ব্যবহার করতে হবে। এর সকল পোকামাকড় দূর হয়ে যাবে। আরেকটি সমস্যা সেটি হলো পাখি। এই পাখির হাত থেকে আপনার সবজিকে রক্ষা করতে আপনি তারের বা নাইলনের জাল দিয়ে দিতে পারেন। যাতে কোন প্রকার পাখি সবজির ক্ষতি করতে না পারে। সবর্শেষ সময় হলে ফসল সংগ্রহ করতে হবে।

বাড়ির-ছাদে-শীতকালীন-সবজি-চাষের-পদ্ধতি-3

শীতকালীন ফলের উপকারিতা পাবেন খাওয়ার সাথে

শীতকালীন ফলের উপকারিতা আমরা হয়তো অনেকেই জানি বা অনেকেই জানিনা। আমরা উপরেই জেনেছি শীতকালীন ফলের তালিকা। মূলত শীতকালে যে সকল ফল গুলো হয়ে থাকে সেই ফলগুলোই তুলেই ধরেছি। এখন কথা হলো শুধু ফল খেলেই কি হবে? ফলের তো উপকারিতা জানতে হবে। কোন ফল কীভাবে উপকারে আসে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক শীতকালীন ফলের উপকারিতা কী কী-

শীতকালীন ফল আমলকী খাওয়ার উপকারিতা: আমলকী শীতের অন্যতম উপকারি একটি ফল। এই ফল ছোট থেকে বৃদ্ধ সবার জন্যই এই ফলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই ফলের চাষ দিন দিন কমে যাচ্ছে। এই ফল অনেক কয়েকধরণের রোগে সাহায্য করে থাকে। যাদের চোখে দৃষ্টি শক্তির সমস্যা, যাদের ঘুম কম হয় তাদের জন্য এই আমলকী হতে পারে ঘুমের কার্যকরী প্রতিষেধক। এছাড়াও যারা ডায়াবেটিস, চুল পড়া, শ্বত রোগী, প্রসাবে জ্বালা-পোড়া এই সকল সমস্যায় আমলকী উপকারে আসে।

শীতকালীন ফল আপেল খাওয়ার উপকারিতা: আপেল ১২ মাসই পাওয়া যায়। তবে ভালো ও মন্দের একটি বিষয় রয়েছে। দেখুন আপেলের মধ্যে অবশ্যই অনেক গুণ রয়েছে। কিন্তু আপনি কি জানেন কোন আপেলে পুষ্টিগুন বেশি। দোকানদার আপনাকে খুব সহজেই বোকা বানিয়ে আপনার কাছে অপুষ্টকর আপেল বিক্রি করে দিবে। তাহলে আপনি এখন বুঝবেন কীভাবে? দেখবেন যে সকল আপেলের রং সবুজ অর্থাৎ পাকা আপেল নয় সেগুলো নেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

কারণ সেই আপেলগুলোতে খুব ভালো পুষ্টি থাকে না। যে আপেল মিষ্টি সেই আপেলে অনেক উপকার রয়েছে। এই আপেল আপনার শরীরের শুক্র স্বল্পতা, হার্টের সমস্যা দূর করতে, কোষ্থ্যকাঠিন্য দূর করতে, হজমে সাহায্য করতে, মস্তিষ্কের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে অনেক সাহায্য করে।

শীতকালীন ফল বড়ই বা কুল খাওয়ার উপকারিতা: বড়ই বা কুল আমাদের সবারই প্রিয় একটি ফল। মূলত এই বড়ই বিভিন্ন ধরণের হয়ে থাকে। যেমন: আপেল বড়ই, গোল বড়ই, বাউকুল, বিবিকুল, নারকেল বড়ই। এগুলো সবই ভিটামিনে ভরপুর। যদিও এই ফল খেলে অনেকের ঠান্ডা লেগে যায়। যদি এইরকম কারো সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনি চাইলে এটিকে এড়িয়ে চলতে পারেন। এই ফলের তেমন কোন উপকার নেই। যারা কবিরাজ তাদের কাছে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ফল।

শীতকালীন ফল কৎবেল খাওয়ার উপকারিতা: কৎবেল নামটি শুনেই আপনার মুখে পানি চলে আসছে। কৎবেলের চাটনি সহ বিভিন্নভাবে এটিকে খাওয়া হয়। কৎবেল মূলত আশ্বিন থেকে কার্তিক মাসের মধ্যে পাওয়া যায়। এটি প্রায় সবারই প্রিয় একটি ফল। আপনি জেনে অবাক হবেন যাদের পিত্ত থলিতে পাথে হয় তাদের জন্য এই ফলটি মারাত্মকভাবে উপকারি। এছাড়াই মেয়েদের ত্বকের জন্য, বমিভাব দূর করতে, পেটে গ্যাস বা অম্বল থেকে মুক্তি পেতে এই ফল অনেক উপকারি।

শীতকালীন ফল নাশপাতি খাওয়ার উপকারিতা: নাশপাতি অনেকের কাছেই অপছন্দের একটি ফল। কিন্তু আপনি কি জানেন এই ফল কতটা উপকারি। এই নাশপাতি ফল সবথেকে বেশি কাজ করে স্নায়ুতে। বিশেষকরে যারা বেশি মানসিক চাপ নিয়ে কাজ করে থাকেন তাদের জন্য এই ফলটি অনেক উপকারি। এই নাশপতি ফল মানসিক শক্তি বাড়াতে অনেক সাহায্য করে। এছাড়াও যাদের পেটে ব্যাথা, গ্যাসের সমস্যা তাদের জন্যও উপকারি একটি ফল।

শীতকালীন ফল আমড়া খাওয়ার উপকারিতা: আমড়া টক জাতীয় একটি ফল। আবার পাকলে একটু মিষ্টি মিষ্টি লাগে। আপনাদের জানিয়র রাখি টক জাতীয় প্রায় সব ফলই কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারি। এই ফল আপনি রান্ন আবার কাঁচা হিসেবেও খেতে পারেন। এই ফল খাওয়ার পরে ক্ষুধামন্দাভাব কেটে যায়, মুখে স্বাদ ফিরে আসে, রক্ত আমাশয় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জ্বালা পোড়া দূর করতে সাহায্য করে। এছাড়াও বড় যে কাজটি করে তা হলো শিশু ও বৃদ্ধদের হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে।

শীতকালীন ফল সফেদা খাওয়ার উপকারিতা: বাংলাদেশে উৎপাদিত ফল গুলোর মধ্যে অন্যতম মিষ্টি ফল হলো সফেদা। এই ফল যেমন মিষ্টি তেমন সুস্বাদু। এই ফলটি দেকতে গাবের মতো। দেখতে কিছুটা অসুন্দর হলেই পুষ্টিতে রয়েছে ভরপুর। আপনি কি জানেন? এই ফল খাওয়ার পর আপনাকে ঠান্ডা পানি খেতে হয়। আর এই ফল খাওয়ার নিয়ম হচ্ছে সকালে একটি আর বিকালে একটি। এই ফল শরীরের ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে, হার্টের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে বিশেষভাবে মায়ের বুকের দুধ বাড়াতে এই ফল অত্যন্ত কার্যকরী।

শীতকালীন ফল জলপাই খাওয়ার উপকারিতা: জলপাই টক জাতীয় একটি ফল। এই ফলে রয়েছে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, আয়রণ বা লৌহ, অসম্পৃক্ত চর্বি। জলপাই আমাদের শরীরের চর্বি বা ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও বাতের ব্যাথা, হাঁপানির উপশম কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে। আপনি জেনে অবাক হবেন আপনি যে জলপাই খেয়ে থাকেন তাতে হৃদরো্ ও কোলন ক্যান্সার নিরাময়ের মতু শক্তি রয়েছে। তাই জলপাই বেশি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করবেন।

শীতকালীন ফল পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা: পেঁপে ঠান্ডা জাতীয় একটি ফল। আমরা মূলত আমাদের পেঁট ঠান্ডা রাখতে এই ফলটি খেয়ে থাকি। আবার অনেকেই ঠান্ডা লাগার ভয়ে খায় না। আসলে এই ফলটিতে কোন ক্ষতি নেই বা ঠান্ডা লাগার কোন সুযোগ নেই। যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, অম্বল বা পেট ফাঁপাএ সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন পেঁপে খেলে ঊপকারে আসবে। আর এই ফলটি খাওয়ার আগে একটু সতর্কতা অবলম্ব করবেন। সেটি হলো খাওয়ার ১ ঘন্টা পূর্বে ফলটিকে ভিজিয়ে রাখবেন এতে ফলটি বিষমুক্ত হয়ে যাবে।

শীতকালীন ফল আনারস খাওয়ার উপকারিতা: আনারস আমাদের সকলের প্রিয় একটি ফল। আমরা হুট হাট করেই এই ফলটি খেয়ে থাকি। সর্গি, কাশি, জ্বর, শরীরের ব্যাথা এইসকল কারণেই মূলত আমরা আনারস খায়। এই আনারসে রয়েছে ভিটামিন সি। আপনি যদি ১ কাপ আনারসের রস বা জুস খান তাহলে সেখান থেকে ৭৮.৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি পাবেন। এছাড়াও এই ফলে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য যা আমাদের হজমে সাহায্য করে।

আজকের পোস্ট বিষয়ক সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন

১। শীতকালীন সবজি চাষের সঠিক সময় কখন?

উত্তরঃ শীতকালীন সবজি চাষের সঠিক সময় নভেম্বরের প্রথম থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত।

২। শীতকালীন সবজি তোলার সঠিক সময় কখন?

উত্তরঃ শীতকালীন সবজি তোলার সঠিক সময় ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

৩। শীতকালে কলা, কমলা, ডালিম, আঙ্গুর প্রভৃতি ফল খেলে সর্দি-কাশি হয়?

উত্তরঃ জ্বি না। শীতকালে কলা, কমলা, ডালিম, আঙ্গুর প্রভৃতি ফল খেলে সর্দি-কাশি হয় না। এটা মাদের অনেকেরই ভুল ধারণা। ডাক্তররা আজকাল এই সকল ফলকে বেশি বেশি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে।

৪। শীতকালে পেঁপে খেলে কি ঠান্ডা লাগে?

উত্তরঃ জ্বি না। শীতকালে পেঁপে খেলে ঠান্ডা লাগে না। বরং আপনার পেটে অম্বলের সমস্যা থাকলে তা প্রতিনিয়ত খাওয়ার ফলে তা ভালো হবে যায়।

আমাদের শেষকথা

প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা জানলাম শীতকালীন সবজির নামের তালিকা, কীভাবে মাঠে ও ঘরের ছাদে শীতকালীন সবজি চাষ করবেন, ফসল ফলানোর ও ফসল তোলার সঠিক সময় কখন সকল কিছু বিস্তারিত জেনেছি। সেই সাথে আরো জেনেছি শীতকালীন ফলের উপকারিতা, শীতকালীন সবজির উপকারিতা। শীতকালীন সবজি ও ফলগুলো শুধু শীতকালেই হয়ে থাকে। তাই অবশ্যই সকল সবজি ও ফল খাবেন। এতে আপনার শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

এইরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। কারণ আমরা আমদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরণের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।  

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আবির ইনফো টেকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url