পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশে - পেপালে ডলার আনার সহজ নিয়ম
পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশে প্রেক্ষাপটে অনেক জরুরি একটি বিষয়। আমরা অনেকেই আছি যারা অনলাইনে ইনকাম করি। আর সে ইনকামের টাকা বিভিন্ন ব্যাংকিং মাধ্যমে নিয়ে আসতে হয়। যার মধ্যে পেপাল অন্যতম। কিন্তু এই পেপালে কীভাবে একাউন্ট খুলতে হয়, কীভাবে ব্যবহার হয় আমাদের সকলেরই প্রায় অজানা।
আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশে, পেপালে ডলার আনার সহজ নিয়ম, কীভাবে পেপাল থেকে বিকাশে টাকা আনবেন সকল কিছু নিয়ে বিস্তারিত জানবো। আশাকরি শেষপর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ে উপকৃত হবেন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশে - পেপালে ডলার আনার সহজ নিয়ম
- পেপাল একাউন্টের ধরণসমূহ
- পেপাল একাউন্ট খোলার পূর্ব প্রস্তুতি
- পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশে
- পেপালের সাথে লোকাল ব্যাংক একাউন্ট লিঙ্ক করা
- পেপাল অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন করার প্রক্রিয়া
- পেপাল একাউন্ট ব্যবহারের সুবিধা
- পেপালে ডলার আনার সহজ নিয়ম
- স্থানীয় ব্যাংকে ডলার তোলার নিয়ম
- পেপাল একাউন্টের নিরাপত্তা
- পেপাল অ্যাকাউন্ট এর ট্রানজাকশন ফি এবং চার্জ
- পেপালে সাধারণ সমস্যার সমাধান
- আজকের পোস্ট বিষয়ক সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
- আমাদের শেষকথা
পেপাল একাউন্টের ধরণসমূহ
পেপাল একাউন্টের ধরণসমূহ মূলত ২ ধরণের। আসলে পেপাল এটি একটি আমেরিকান আর্থিক প্রযুক্তি কোম্পানি। এটি অনলাইন বেজসড অর্থাৎ অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম যা ইন্টারনেট ভিত্তিক ব্যাংকিং সেক্টর। আপনি চাইলে তাদের ওয়েবসাইট বা অ্যাপের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করতে পারেন। কিন্তু এই লেনদেনের পূর্বে আগে জানতে হবে এই ব্যাংকে কোন কোন ধরণের সার্ভিস চালো আছে বা কোন কোন ধরণের একাউন্ট ব্যবহারযোগ্য। চলুন বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক-
পেপাল একাউন্ট ধরণের-
- ব্যক্তিগত একাউন্ট
- ব্যবসায়িক একাউন্ট
ব্যক্তিগত একাউন্ট: নাম শুনেই বুঝা যাচ্ছে এটা নিজস্ব অর্থাৎ ব্যক্তিগত একাউন্ট। আপনি দেশের যে সকল ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করেন ঠিক তেমনি আন্তর্জাতিক ভাবে সেখানেও ব্যক্তিগত একাউন্ট খুলতে পারবেন। এই একাউন্টে মূলত জালিয়াতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। আরেকটি সুবিধা পাবেন সেটি হলো আপনি যদি কোন পণ্য ফেরত দিতে চান বা ফেরত পেতে চান উভয় ক্ষেত্রেই এটি সুবিধাজনক। যারা মূলত ফ্রিল্যান্সার বা অনলাইন থেকে বিভিন্ন ভাবে টাকা ইনকাম করছে তাদের জন্য জরুরি।
ব্যবসায়িক একাউন্ট: এই একাউন্টটি মূলত ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহারযোগ্য। যারা অনলাইনে আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবসা করে থাকে তাদের জন্য পেপাল ব্যবসায়িক একাউন্টের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আপনি পৃথিবীর যে কোন স্থান থেকে যেখানে পেপাল কার্যকর সেখান থেকে পেমেন্ট সম্পূর্ণ করতে পারবেন। যদিও বাংলাদেশে এটি এখনো কার্যকর না তবুও এটি ব্যবহারযোগ্য।
পেপাল একাউন্ট খোলার পূর্ব প্রস্তুতি
বাংলাদেশে পেপাল একাউন্ট খোলার পূর্ব প্রস্তুতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশে জানার জন্য কিছু পূর্ব প্রস্তুতি সঠিকভাবে না নিলে একাউন্ট খোলার সময় সমস্যায় পড়তে পারেন। নিচে কিছু সহজ ধাপ দেওয়া হল যা অনুসরণ করলে আপনি সহজেই পেপাল একাউন্ট খুলতে পারবেন।
পেপাল একাউন্ট খোলার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য ও দলিল সংগ্রহ করা জরুরি।
জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট
ব্যাংক একাউন্ট নম্বর
একটি বৈধ ইমেল ঠিকানা
উপরের তথ্য ও দলিলগুলি প্রস্তুত রাখুন। সঠিক তথ্য প্রদান করা জরুরি।
ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া পেপাল একাউন্ট খোলা সম্ভব নয়।
- একটি স্থির ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করুন।
মোবাইল বা কম্পিউটার যেকোনো একটি ডিভাইস ব্যবহার করুন।
সংযোগের গতি ভালো হলে কাজ সহজ হবে।
ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত হলে এখন একাউন্ট খোলার প্রক্রিয়া শুরু করুন।
আরো পড়ুনঃ মোবাইল দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো - শিখুন ফ্রিল্যান্সিং কোর্স ফ্রি
পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশে
পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশে ভালোভাবে না জানলে আপনি অনেক বড় ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। আপনার টাকা যে কোন সময় আটকিয়ে যেতে পারে। যদিও পেপাল একাউন্ট খোলা বাংলাদেশে এখন অনেক সহজ এবং সুরক্ষিত। যদিও এটি বাংলাদেশে অবৈধ তাও এটির ব্যবহার বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অনেক। পেপাল একাউন্ট খোলার ধাপসমূহ নিম্নে বর্ণনা করা হলো। পেপাল একাউন্ট খোলার জন্য কিছু সহজ স্টেপ অনুসরণ করতে হবে।
ধাপ-১: পেপাল-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান। সেখানে গিয়ে "সাইন আপ" বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ-২: দুটি অপশন পাবেন - "পার্সোনাল একাউন্ট" এবং "বিজনেস একাউন্ট"। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী একটি অপশন বেছে নিন।
পার্সোনাল একাউন্ট ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য।
বিজনেস একাউন্ট ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য।
ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান
নির্বাচিত অপশন অনুযায়ী, আপনার ব্যক্তিগত তথ্য প্রদান করুন।
এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করতে হবে:
- পূর্ণ নাম
ইমেইল ঠিকানা
পাসওয়ার্ড
ঠিকানা
ফোন নম্বর
সব তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন। ভুল তথ্য দিলে পরে সমস্যা হতে পারে। তথ্য প্রদানের পর, "Agree and Create Account" বাটনে ক্লিক করুন। আপনার পেপাল একাউন্ট তৈরি হয়ে যাবে। এই ধাপগুলো অনুসরণ করলেই আপনি সহজেই পেপাল একাউন্ট খুলতে পারবেন।
পেপালের সাথে লোকাল ব্যাংক একাউন্ট লিঙ্ক করা
পেপালের সাথে লোকাল ব্যাংক একাউন্ট লিঙ্ক করা অবশ্যই জরুরি। বাংলাদেশে পেপাল একাউন্ট খোলার পর, ব্যাংক একাউন্ট লিঙ্ক করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশে জানার পর আপনাকে একটি স্থানীয় ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে হবে। কারণ এটি আপনাকে ডলার আনার প্রক্রিয়া আরও সহজ করে দিবে। নিচে ব্যাংক একাউন্ট লিঙ্ক করার নিয়মগুলি বিস্তারিতভাবে দেওয়া হলো।
প্রথমে আপনার ব্যাংক তথ্য যাচাই করতে হবে। এ জন্য নিচের পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করুন:
পেপাল অ্যাকাউন্টে লগইন করুন।
-
প্রোফাইলে যান এবং Bank Accounts অপশন সিলেক্ট করুন।
নতুন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যোগ করুন।
-
আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর এবং রাউটিং নম্বর প্রবেশ করান।
-
দাখিল করুন এবং ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া শুরু করুন।
ব্যাংক তথ্য যাচাইয়ের পর, আপনি সহজেই অ্যাড ফান্ড পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারবেন।
নিচে অ্যাড ফান্ড করার কয়েকটি পদ্ধতি দেওয়া হল:
- পেপাল অ্যাকাউন্টে লগইন করুন।
-
প্রোফাইলে যান এবং Add Funds অপশন সিলেক্ট করুন।
-
আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা ট্রান্সফার করুন।
নির্দিষ্ট পরিমাণে টাকা অ্যাড করুন।
ট্রান্সফার নিশ্চিত করুন।
এভাবে আপনি সহজেই আপনার পেপাল অ্যাকাউন্টে টাকা যোগ করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ টাকা ইনকাম করার সহজ উপায় বাংলাদেশে
পেপাল অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন করার প্রক্রিয়া
পেপাল অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন করার প্রক্রিয়া বেশ সহজ। বাংলাদেশে পেপাল একাউন্ট খোলা যেমনটা বেশ সহজ তেমনি ভেরিফিকেশনটাও সহজ। আপনি শুধু অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করলেন কিন্তু ভেরিফিকেশ করলেন না তাহলে আপনি কোনভাবেই ডলার আনতে পারবেন না। তারই প্রেক্ষিতে ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হয়। এই প্রক্রিয়া নিশ্চিত করে যে আপনার একাউন্ট নিরাপদ এবং বৈধ। নিচে ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ার ধাপগুলো আলোচনা করা হলো।
- পেপাল একাউন্টে লগইন করুন।
সেটিংসে যান এবং ইমেইল সেকশনে ক্লিক করুন।
-
আপনার ইমেইল ঠিকানা লিখুন এবং ভেরিফাই বাটনে ক্লিক করুন।
পেপাল থেকে একটি ভেরিফিকেশন ইমেইল পাবেন।
-
ইমেইলটি খুলে ভেরিফিকেশন লিংক এ ক্লিক করুন।
ইমেইল ভেরিফিকেশনের পর, ফোন নম্বর যাচাই করতে হবে।
- পেপাল একাউন্টে লগইন করুন।
সেটিংসে যান এবং ফোন সেকশনে ক্লিক করুন।
-
আপনার ফোন নম্বর লিখুন এবং ভেরিফাই বাটনে ক্লিক করুন।
পেপাল থেকে একটি ভেরিফিকেশন কোড পাবেন।
কোডটি লিখে সাবমিট করুন।
পেপাল একাউন্ট ব্যবহারের সুবিধা
বাংলাদেশে পেপাল একাউন্ট ব্যবহারের অনেক সুবিধা রয়েছে। আমরা যারা ফ্রিল্যান্সিং করি তাদের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি মাধ্যম পেপাল। যদিও এটি বাংলাদেশে অবৈধ কিন্তু এটি ডলার আনার কার্যকরী একটি মাধ্যম। এই পেপালের মাধ্যমে আপনি সহজেই আন্তর্জাতিক অনলাইন পেমেন্ট করতে পারেন এবং ডলার আনতে পারেন। পেপাল একাউন্টের কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা রয়েছে। যেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো।
পেপাল দিয়ে অনলাইন পেমেন্ট করা খুবই সহজ। আপনি যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে পেমেন্ট করতে পারেন। এই সুবিধা আপনাকে দোকানে যাওয়ার প্রয়োজন কমিয়ে দেয়। এছাড়া, পেপাল একাউন্টের মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটে কেনাকাটা করতে পারেন।
দ্রুত এবং নিরাপদ পেমেন্ট
বিভিন্ন কারেন্সি সাপোর্ট
বহু ই-কমার্স সাইটে গ্রহণযোগ্য
ট্রানজাকশন নিরাপত্তা
পেপাল আপনার লেনদেনকে নিরাপদ রাখে। আপনার ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত থাকে। পেপাল আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্ট বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য শেয়ার করে না। তাই আপনার তথ্য সর্বদা নিরাপদ থাকে।
সুবিধা | বর্ণনা |
---|---|
এনক্রিপশন | পেপাল এনক্রিপশন টেকনোলজি ব্যবহার করে। |
প্রতিরক্ষা সিস্টেম | পেপাল উন্নত প্রতিরক্ষা সিস্টেম ব্যবহার করে। |
ফ্রড প্রটেকশন | পেপাল ফ্রড প্রটেকশন অফার করে। |
পেপালে ডলার আনার সহজ নিয়ম
পেপালে ডালার আনার সহজ নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিন আজকের এই হেডিং এ। যদিও ডলার আনার অনেক উপায় রয়েছে কিন্তু এটি বিশ্বস্ত মাধ্যম গুলোর অন্যতম। বাংলাদেশে পেপাল একাউন্ট খুলে ডলার আনার অনেক সহজ উপায় আছে। পেপাল হল একটি জনপ্রিয় অনলাইন পেমেন্ট সিস্টেম। এটি ব্যবহার করে আপনি সহজেই বিদেশ থেকে ডলার আনতে পারেন। চলুন জেনে নিই কিভাবে পেপাল একাউন্ট খুলে ডলার আনবেন।
ফ্রিল্যান্সাররা সহজেই পেপাল ব্যবহার করে ডলার আনতে পারেন।
ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার.কম এই সাইটগুলোতে কাজ করুন।
কাজ শেষে পেমেন্ট পেপালে নিন।
পেপাল থেকে আপনার ব্যাংক একাউন্টে ডলার ট্রান্সফার করুন।
অনলাইন ব্যবসার মাধ্যমে পেপালে ডলার আনা খুবই সহজ।
- একটি ই-কমার্স ওয়েবসাইট তৈরি করুন।
পেপালকে পেমেন্ট গেটওয়ে হিসেবে সংযোগ করুন।
অর্ডার গ্রহণ করে পেপালে পেমেন্ট পান।
পেপাল থেকে আপনার ব্যাংক একাউন্টে ডলার স্থানান্তর করুন।
পেপাল ব্যবহার করে ডলার আনার উপায়গুলো সহজ এবং নিরাপদ।
আরো পড়ুনঃ বিদেশ থেকে বিকাশে একাউন্ট খোলা - হাজারে ২৫ টাকা বোনাসে লেনদেনের নিয়ম
স্থানীয় ব্যাংকে ডলার তোলার নিয়ম
বাংলাদেশে পেপাল একাউন্ট থেকে ডলার স্থানীয় ব্যাংকে তোলা খুবই সহজ। আপনি সরাসরি কখনোই আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ডলার আনতে পারবেন না। আপনাকে অবশ্যই থার্ড পার্টি ব্যবহার করতে হবে। যদি আপনি বৈধ পথে ডলার আনতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অনেক দৌড়াদৌড়ি করতে হবে। যেমন:পাসপোর্ট, ভিসা কার্ড ইত্যাদি। তবে পেপাল থেলে স্থানীয় ব্যাংকে ডলার আনতে আপনাকে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। স্থানীয় ব্যাংকে ডলার তোলার বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। এখানে আমরা দুইটি প্রধান পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব।
পেপাল থেকে ডলার স্থানীয় ব্যাংকে ট্রান্সফার করা সহজ। প্রথমে আপনার পেপাল একাউন্টে লগইন করুন। এরপর Withdraw অপশনে ক্লিক করুন। তারপর Link a Bank Account অপশনটি সিলেক্ট করুন। আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য প্রদান করুন। তথ্য প্রদান করার পর, পেপাল আপনার ব্যাংক একাউন্টটি ভেরিফাই করবে। ভেরিফিকেশন সম্পন্ন হলে, আপনি Withdraw to Bank অপশনে ক্লিক করে ডলার ট্রান্সফার করতে পারবেন। ট্রান্সফার সম্পন্ন হলে, আপনার ব্যাংক একাউন্টে ডলার জমা হবে।
এটিএম ব্যবহার করেও পেপাল থেকে ডলার তোলা যায়। প্রথমে আপনার পেপাল একাউন্টের সাথে একটি আন্তর্জাতিক ডেবিট কার্ড লিঙ্ক করুন। Link a Card অপশনে ক্লিক করে কার্ডের তথ্য প্রদান করুন। পেপাল কার্ডটি ভেরিফাই করার পর, আপনি এটিএম থেকে ডলার তুলতে পারবেন। এটিএম থেকে ডলার তোলার জন্য আপনার কার্ডটি স্থানীয় ব্যাংকের মাস্টারকার্ড বা ভিসা নেটওয়ার্কে অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে। একবার কার্ডটি সফলভাবে লিঙ্ক করা হলে, যেকোনো এটিএম থেকে ডলার তোলা সম্ভব হবে।
পেপাল একাউন্টের নিরাপত্তা
পেপাল একাউন্টের নিরাপত্তা আপনার অর্থের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকলে, আপনার একাউন্ট হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি থাকে। নিচে আমরা পেপাল একাউন্টের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস আলোচনা করব।
পাসওয়ার্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কিছু বিষয় মেনে চলা উচিত।
-
জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার পাসওয়ার্ডে সংখ্যা, বর্ণ এবং বিশেষ চিহ্ন ব্যবহার করুন।
-
পাসওয়ার্ড পরিবর্তন: নিয়মিত পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।
-
পাসওয়ার্ড না শেয়ার করা: আপনার পাসওয়ার্ড অন্যের সাথে শেয়ার করবেন না।
- ফোন নম্বর যাচাই আপনার একাউন্টের সাথে ফোন নম্বর যুক্ত করুন।
-
ইমেইল যাচাই আপনার ইমেইল ঠিকানা যাচাই করুন।
-
অ্যাপ যাচাই পেপাল অ্যাপের মাধ্যমে দুই স্তরের নিরাপত্তা যুক্ত করুন।
এগুলো মেনে চললে, আপনার পেপাল একাউন্ট অনেক বেশি নিরাপদ থাকবে।
আরো পড়ুনঃ ঘরে বসে ইনকাম করার ১৫ টি কার্যকরী ট্রিকস
পেপাল অ্যাকাউন্ট এর ট্রানজাকশন ফি এবং চার্জ
পেপাল একাউন্ট খোলার পর, ট্রানজাকশন ফি এবং চার্জ সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ। পেপাল ট্রানজাকশন ফি এবং চার্জ আপনার লেনদেনের খরচ বাড়াতে পারে। এই তথ্যগুলো জানা থাকলে, আপনি খরচ কমাতে পারবেন।
পেপাল বিভিন্ন ধরনের লেনদেনের জন্য বিভিন্ন ফি চার্জ করে। নিচের টেবিলে কিছু সাধারণ ফি স্ট্রাকচার তুলে ধরা হলো:
লেনদেনের ধরণ | ফি |
---|---|
আন্তর্জাতিক লেনদেন | ৪.৪% + $০.৩০ প্রতি লেনদেন |
স্থানিয় লেনদেন | ২.৯% + $০.৩০ প্রতি লেনদেন |
ব্যবসায়িক লেনদেন | ৪.৪% + $০.৩০ প্রতি লেনদেন স্থানীয় লেনদেন ২.৯% + $০.৩০ প্রতি লেনদেন ব্যবসায়িক লেনদেন ২.৯% - ৩.৯% + ফিক্সড ফি |
পেপাল ফি এবং চার্জ কমানোর কিছু কার্যকর উপায় রয়েছে:
-
বন্ধু ও পরিবারের সাথে লেনদেন: পেপাল বন্ধুর সাথে অর্থ পাঠাতে ফি চার্জ করে না।
-
ব্যাংক একাউন্ট লিঙ্ক করা: ক্রেডিট কার্ডের পরিবর্তে ব্যাংক একাউন্ট ব্যবহার করলে ফি কম হয়।
-
বড় লেনদেন ভাগ করা: বড় লেনদেনগুলো ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে পাঠান।
এই উপায়গুলো মেনে চললে, পেপাল ট্রানজাকশন ফি এবং চার্জ কমানো সম্ভব।
পেপালে সাধারণ সমস্যার সমাধান
পেপাল একাউন্ট খোলার সময় এবং ডলার আনার ক্ষেত্রে কিছু সাধারণ সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যাগুলির সমাধান জানা থাকলে আপনি সহজেই পেপাল ব্যবহার করতে পারবেন। এখানে আমরা কয়েকটি সাধারণ সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা করবো।
অনেক সময় লগইন করতে সমস্যায় পড়তে হয়। আপনার একাউন্ট লগইন করতে না পারলে প্রথমে আপনার ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড ঠিক আছে কিনা চেক করুন।
-
পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে পাসওয়ার্ড রিসেট অপশন ব্যবহার করুন।
ইমেইল ভেরিফিকেশন চেক করুন।
ক্যাপচা চেক করে ঠিকভাবে সমাধান করুন।
ট্রানজাকশন জটিলতা
ট্রানজাকশন জটিলতা অনেক সময় দেখা দেয়। এটা অস্বাভাবিক কিছু নই। এই সমস্যা হতেই পারে। আমাদের লোকাল ট্রান্সফারেই অনেক সমস্যা হয়ে থাকে কেক্ষেত্রে আর্ন্তজাতিক ট্রানজাকশনে সমস্যা হওয়াটাও স্বাভাবিক একটি বিষয়। তবে এই সমস্যার সমাধানও রয়েছে। কয়েকটি ধাপ অবলম্বন করলেই আপনার সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক সমস্যার সমাধান সম্পর্কে-
সমস্যা | সমাধান |
---|---|
ডলার পাঠানো যাচ্ছে না | একাউন্টের ভেরিফিকেশন চেক করুন। |
ট্রানজাকশন পেন্ডিং | ২.৯% + $০.৩০ প্রতি লেনদেন |
আপনার ডলার পাঠানোর সময় ব্রাউজারের ক্যাশ এবং কুকিজ ক্লিয়ার করুন।
- ব্রাউজার রিস্টার্ট করুন।
দ্রুত ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করুন।
আজকের পোস্ট বিষয়ক সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
উত্তরঃ বাংলাদেশ থেকে সরাসরি পেপাল একাউন্ট খোলা সম্ভব নয়। বিকল্প পদ্ধতির মাধ্যমে একাউন্ট খোলা যেতে পারে।
উত্তরঃ পেপাল একাউন্ট খোলার জন্য একটি বৈধ ইমেল ঠিকানা এবং আন্তর্জাতিক ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড প্রয়োজন।
উত্তরঃ পেপাল একাউন্টে ডলার আনতে সাধারণত ২-৩ কার্যদিবস সময় লাগে।
উত্তরঃ পেপাল একাউন্ট খোলার জন্য কোনো খরচ নেই। এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
উত্তরঃ পেপাল একাউন্ট ব্যবহার করে অনলাইনে সহজে লেনদেন করা যায়। নিরাপদ এবং দ্রুত অর্থ স্থানান্তর সম্ভব।
আমাদের শেষকথা
প্রিয় পাঠক, পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম বাংলাদেশে এবং পেপালে ডলার আনার সহজ নিয়ম এখন খুবই সহজ। সঠিক নির্দেশনা মেনে চললে আপনি সহজেই সফল হবেন। এই পদ্ধতিগুলি ব্যবহার করে বাংলাদেশ থেকে আন্তর্জাতিক লেনদেন সহজ হবে। পেপাল ব্যবহার করে আপনার অর্থনৈতিক কার্যক্রম আরও স্বচ্ছ এবং সুরক্ষিত করতে পারেন। সঠিকভাবে অনুসরণ করে আপনার অনলাইন লেনদেনকে নিরাপদ করুন।
এইরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। কারণ আমরা আমদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরণের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।
আবির ইনফো টেকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url