ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় - ব্লগ তৈরির নিয়ম
ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় অনেকরই মনে প্রশ্ন জাগে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের অন্যতম আয়ের মাধ্যম ব্লগ। কিন্তু আপনি কীভাবে শুরু করবেন এই সম্পর্কে কোন স্বচ্ছ ধারণা নেই? তাদের জন্যই আজকের এই আর্টিকেল। আজকে ব্লগিং সেক্টেরে A টু Z নিয়ে আলোচনা করব।
আজকের আর্টিকেলে আমরা জানবো, ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়, ব্লগ তৈরির নিয়ম, কীভাবে ব্লগে কাজ করবেন, কীভাবে তাড়াতাড়ি ইনকাম শুরু করতে পারবেন সকল কিছু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশাকরি শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ে ইনকাম শুরু করতে পারবেন।
পোস্ট সূচীপত্রঃ ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় - ব্লগ তৈরির নিয়ম
- ব্লগ কি?
- ব্লগিং কীভাবে শুরু করব ২০২৪
- ব্লগিং কীভাবে শিখবো সম্পূর্ণ গাইডলাইন ২০২৪
- ব্লগ তৈরির নিয়ম
- ব্লগার ওয়েবসাইট পরিচিতি
- ব্লগার (Blogger) VS ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress)
- ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়
- ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়
- আজকের পোস্ট বিষয়ক সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
- আমাদের শেষকথা
ব্লগিং কি?
ব্লগিং কি এটা নিয়ে প্রথমে আমরা প্রাথমিক ধারণা নিব। আসলে ব্লগিং বলতে আমাদের অনেকের মধ্যেই একটা মিসকন্সেপশন তৈরি হয়। এই ব্লগ আর ইউটিউব অথবা ফেসবুকের ব্লগ সম্পূর্ণ আলাদা একটি সেক্টর। আমরা অনেকেই ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানি। আসলে এই ব্লগ মূলত ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাথে জড়িত একটি সেক্টর। প্রাথমিকভাবে বলা যায়, ব্লগ হলো একটি ওয়েবসাইট যেখানে আপনি আর্টিকেল লিখার মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
এই ইনকামে আপনাকে কারো ওপর নির্ভর করতে হবে না। অর্থাৎ এটি হলো প্যাসিভ ইনকাম। এখন আসেন কীভাবে শুরু করবেন। আপনি চাইলে মোবাইল দিয়েও শুরু করতে পারেন আবার ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ দিয়েও শুরু করতে করতে পারেন। তবে আপনি যদি এটাকে প্রফেশন হিসেবে গ্রহণ করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ ব্যবহার করতে হবে। এতে অনেক কিছু সুবিধা রয়েছে যা আপনারা কাজ করার সাথে সাথে উপলব্ধি করতে পারবেন।
এখন আরেকটি প্রশ্ন হলো এই কাজ কীভাবে শিখবো? দেখুন কোন কাজ শিখার আগে অবশ্যই আমাদের বেশকিছু বিষয়ের ওপর দক্ষ হতে হয়। ঠিক এখানেও আপনাকে বেশ কিছু বিষয়ের ওপর দক্ষ হতে হবে। যার প্রথম বিষয়টি হলো আপনাকে ওয়েবসাইট তেরি করা জানতে হবে দ্বিতীয়ত আপনাকে আর্টিকেল লিখার নিয়ম জানতে হবে, SEO (এসইও) করা জানতে হবে, কী-ওয়ার্ড রিসার্চ করা জানতে হবে। প্রাথমিকভাবে বিষয়গুলো জানতে হবে। তবেই আপনি খুব দ্রুত ইনকাম শুরু করতে পারবেন।
ব্লগিং কীভাবে শুরু করব ২০২৪
ব্লগিং কীভাবে শুরু করব তা জানার জন্য ব্লগিং শুরু করার পূর্বে আপনাকে কিছু ধাপ অবলম্বন করতে হবে। যা আপনাকে পরবর্তীতে ইনকামের ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। চলুন বলগিং শুরু করতে কী কী ধাপ অনুসরণ করতে হবে সেগুলো জেনে নিই-
- ওয়েবসাইটের ধরণ বা টপিক নির্ধারণ করতে হবে।
- ওয়েবসাইটের নাম নির্ধারণ করুন।
- ডোমেইন নাম নির্ধারণ করতে হবে।
- ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম নির্ধারণ করতে হবে।
- ওয়েবসাইট কাস্টমাইজ করতে হবে। (ব্লগারে ফ্রি ওয়েবসাইট পাওয়া যায়)
- ব্লগ পোস্ট বা আর্টিকেল লিখতে হবে।
- ব্লগ পোস্টে SEO(এসইও) করতে হবে।
- Google Adsense (গুগোল অ্যাডসেন্স) যুক্ত করতে হবে।
ব্লগিং কীভাবে শিখবো সম্পূর্ণ গাইডলাইন ২০২৪
ব্লগিং কীভাবে শিখবো সম্পূর্ণ গাইডলাইন ২০২৪ এ আমরা জানার চেষ্টা করব কোথায় থেকে ব্লগিং শিখার যাত্রা শুরু করা উচিত। আসলে ব্লগিং নিয়ে অনেকেরই অনেক মতবাদ রয়েছে। অনেকেই বলে থাকে ব্লগিং যে কোন সময় বন্ধ হয়ে যাবে। এটা আসলে একধরণের খারাপ প্ররোচোনা বলা যেতেই পারে। মনে রাখবেন পৃথিবীতে যতদিন ইন্টারনেট আছে ঠিক ততদিনই ব্লগি আছে। ব্লগিং হলো গুগোলের নিজ্স্ব প্রোডাক্ট। তাই এটি বন্ধ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
এখন আসেন জেনে নিই ব্লগিং কীভাবে শিখবো। ব্লগিং শিখার জন্য আপনাকে বেশকিছু বিষয় বিস্তারিত জানতে হবে। যা ব্লগিং কীভাবে শুরু করবেন ২০২৪ এ টপিক গুলো তুলে ধরেছি। চলুন টপিকগুলো নিয়ে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
ওয়েবসাইটের নিশ বা টপিক নির্ধারণ করতে হবে: ওয়েবসাইটের টপিক নির্ধারণ এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনি আপনার ব্লগকে বা ওয়েবসাইটকে কোন কোন বিষয়ের ওপর সাজাবেন সেটি আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে। কারণ আপনি যখন আর্টিকেল লিখবেন তখন সেই সকল বিষয়গুলোকে নিয়েই লিখতে হবে। যেমন: লাইফস্টাইল, অনলাইন ইনকাম, তথ্য ও প্রযুক্তি, খেলাধুলা, রূপ চর্চা ইত্যাদি এগুলো একেকটি নিশ। আপনি চাইলে সবগুলো নিয়ে কাজ করতে পারেন অথবা যে কোন একটি নিয়েও কাজ করতে পারেন। তবে সবগুলো বিষয় নিয়েই কাজ করা উত্তম।
ওয়েবসাইটের নাম নির্ধারণ: ওয়েবসাইটের নাম নির্ধারণে আপনি আপনার মনের মতো নাম দিতে পারেন। তবে এইক্ষেত্রে একটু টেকনিক অবলম্বন করা উচিত বলে আমি মনে করি। যখন নাম নির্ধারণ করবেন তখন অবশ্যই ছোট নাম দেওয়ার চেষ্টা করবেন। যাতে মানুষের মনে থাকে। বড় নাম দিলে মনে রাখা কষ্টকর হয়ে যায়। আপনি আপনার নাম ব্যবহার করতে পারেন। যেমন: rakibit, mariamit, ramintech24 ইত্যাদি। আরেকটি বিষয় আপনি যখন নাম নির্ধারণ করবেন তখন নামের শেষে নিচের এক্সটেনশনগুলো যুক্ত করার চেষ্টা করবেন-
- tech
- info
- trics
- it
- bd
- techbd
- blogger
ডোমেইন নাম নির্ধারণ করতে হবে: ডোমাইন নাম নির্ধারণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ গুগোলে র্যাংক করাতে এটি কিছু ক্ষেত্রে সাহায্য করে। প্রথমে আমরা যে টপিকটি নিয়ে আলোচনা করেছি নিশ নির্ধারণ। এটির সাথে ডোমাইন নাম নির্ধারণ অনেকাংশে জড়িত আবার অনেকাংশে জড়িতও না। চলুন বিষয়টি খোলাশা করা যাক-
আপনাকে নির্ধারণ করতে হবে আপনি কোন নিশ নিয়ে কাজ করবেন। অনলাইন ইনকাম নাকি তথ্য প্রযুক্তি নাকি নিউজপেপার নাকি খেলাধুলা নাকি রুপ চর্চা। যদি মাল্টিপুল অর্থাৎ অনেক গুলো নিশ নিয়ে কাজ করতে চান সেক্ষেত্রে ডোমেইন নেম কোন ইফেক্ট ফেলে না। আর যদি নির্দিষ্ট কোন নিশ কে নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে ডোমাইন নাম অনেক সাহায্য করবে। আপনাদের একটি উদাহরণ দিই তাহলে বিষয়টি আরি ভালোভাবে বুঝতে পারবেন-
ধরুন আপনি অনলাইন ইনকাম নিয়ে একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করতে চাচ্ছেন। যেখানে শুধু অনলাইন ইনকাম নিয়ে আর্টিকেল থাকবে। সেক্ষেত্রে আপনি ডোমাইন নাম দিতে পারেন onlineincome.com যদিও এই নামে একটি ডোমেইন অলরেডি রয়েছে তবে আপনি এটিকে একটু কাস্টমাইজ করতে পারেন। আর যদি আপনি মনে করেন সব ধরণের নিশ নিয়ে কাজ করবেন সেক্ষেত্রে আপনি আপনার ইচ্ছামতো নাম দিতে পারবেন। যেমন: abirtech24.com, abirit.com, abirinfobd.com ইত্যাদি। অবশ্যই ডোমেইন এক্সটেনশন .com নিবেন। এতে গুগোল র্যাংক করাতে সাহায্য হয়।
ব্লগিং প্লাটফর্ম নির্ধারণ করতে হবে: ব্লগিং প্লাটফর্ম নির্ধারণ করার ক্ষেত্রে আপনাকে ২টি প্লাটফর্মের মধ্যে একটি প্লাটফমহ বেছে নিতে হবে। একটি হলো ব্লগার (Blogger) যা আপনি ফ্রিতে পাবেন আর একটি হচ্ছে ওয়ার্ডপ্রেস (Wordpress)। এই প্লাটফর্মে আপনাকে কিছু টাকা ব্যয় করতে হবে। তবে আমার মতে ব্লগার ব্যবহার সবথেকে বেস্ট হবে।
ওয়েবসাইট কাস্টমাইজ করতে হবে: ওয়েবসাইট কাস্টমাইজ করার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে ওয়েবসাইট কীভাবে কাজ করে বা কোন টুল কীভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা নিতে হবে। আমি আপনাদের জানার ও বোঝার সুবিধার্থে নিচে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।
ব্লগ ব আর্টিকেল লিখতে হবে: ব্লগারের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ পার্ট হলো আর্টিকেল রাইটিং। ডিজিটাল মার্কেটিং এর হৃৎপিন্ড বলা হয় আর্টিকেল রাইটিং কে। এই আর্টিকেল রাইটিং করার মাধ্যমে আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটকে পরিচিত করাতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং এ আর্টিকেল রাইটিং অনেক বড় ও গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়।
আরো পড়ুনঃ আর্টিকেল লিখার এ্যাডভান্স নিয়মকানুন - জানুন আর্টিকেল লিখে লাখ টাকা আয়
ব্লগ পোস্টে এসইও (SEO) করতে হবে: ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো এসইও (SEO)। এটি করার মাধ্যমে আপনি মূলত আপনার ব্লগ পোস্টকে গুগোল র্যাংকে নিয়ে আসতে পারবেন। আর যখনই গুগোল র্যাংকে নিয়ে আসবেন তখনই আপনার ইনকাম দ্রুত শুরু হবে এবং ইনকামের পরিমাণ বাড়তে থাকবে।
গুগোল অ্যাডসেন্স (Google Adsense) যুক্ত করতে হবে: আপনি যখন এসইও (SEO) করার মাধ্যমে আপনার আর্টিকেলকে গুগোল র্যাংকে নিয়ে আসবেন তখন আপনার আর্টিকলে ক্লিক আসাতে থাকবে। আর যত ক্লিক আসবে ঠিক তত আপনার ইনকাম হবে। প্রতিদিন আপনার ওয়েবসাইটে গুগোল থেকে ১০০ টার মতো ক্লিক আসলে আপনি গুগোল অ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ব্লগ তৈরির নিয়ম
ব্লগ তৈরির নিয়ম নিয়ে অনেকের অনেক ধরণের চিন্তা থাকে। কীভাবে ব্লগ তৈরি করব। কীভাবে এটি ব্যবহার করব। আজকের এই হেডিং এ ব্লগ ওয়েবসাইটের সকল কিছু অর্থাৎ কাস্টমাইজের জন্য প্রয়োজনীয় সকল টুল এর সাথে আপনাদের পরিচিত করিয়ে দিব। আশাকরি সকল কিছু ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন। তাহলে চলুন প্রথমে জেনে নেয়া যাক কীভাবে ব্লগারে একাউন্ট ক্রিয়েট করবেন।
- প্রথমে আপনার একটি জিমেইল আইডির প্রয়োজন হবে। সেটিকে আপনার ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ বা মোবাইলে লগইন করিয়ে নিন।
- এরপর গুগোলে প্রবেশ করুন। প্রবেশের পর গুগোল সার্চবারে blooger.com লিখে সার্চ করুন। আপনাকে সরাসরি ব্লগারের একাউন্ট ক্রিয়েট পেজে নিয়ে চলে যাবে।
- এরপর CREAT YOUR BLOG বাটনে ক্লিক করুন।
- এরপর আপনাকে আপনার জিমেইল আইডি দিয়ে ভেরিফাই করে নিতে হবে।
- তারপর আপনার সামনে টাইটেল লিখা আসবে সেখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের যে নাম দিবেন সেটি বসিয়ে দিন। যেমন: abirinfotech
- তারপর আপনার ব্লগে অ্যাড্রেস সেট করুন।
- তারপর সেভ এ ক্লিক করুন।
- আপনার ব্লগ একাউন্ট খোলা শেষ।
এখন আপনার কাজ হলো ওয়েবসাইটে সুন্দর দেখে একটি থিম বসানো। যাতে ওয়েবসাইটটি দেখতে সুন্দর ও মার্জিত লাগে। সেইজন্য আপনারা ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিও পেয়ে যাবেব। অথবা আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফ্রিতে আমার ওয়েবসাইটের মতো থিম খুব সহজেই পেয়ে যাবেন।
ব্লগার ওয়েবসাইট পরিচিতি
ব্লগার ওয়েবসাইটে পরিচিতিতে আমরা জানবো ব্লগারে ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরণের টুল সম্পর্কে। যেগুলো দিয়ে আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে সাজাতে পারবেন। যদিও সাজানোর বিষয়টি থিমের মধ্যে কাজ করে। তবে সাজানোর জন্য কাজগুলো আপনাকে ব্লগার ওয়েবসাইটেইব করতে হবে। মনে রাখবেন একটি ব্লগারের অধীনে বেশ কয়েকটা ওয়েবসাইট ক্রিয়েট করা যায়। যাই হোক চলুন আমরা ব্লগারের ড্যাশবোর্ডে চলে যায় সেখানকার টুলসগুলোর সাথে পরিচিত হওয়া যাক-
New post: এটি হলো আপনি যখন কোন নতুন আর্টিকেল লিখবেন এই NEW POST এ ক্লিক করলেই আপনার সামনে বক্স চলে আসবে। সেখান থেকে আপনাকে লিখা শুরু করতে হবে।
Posts: এখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে কতগুলো আর্টিকেল লিখা আছে সেগুলো দেখতে পারবেন। সেই সাথে দেখতে পারবেন ওই আর্টিকেলে কতগুলো কমেন্ট আছে কতগুলো ভিউ হয়েছে এগুলো সকল কিছু দেখতে পারবেন।
Stats: এটিএ অর্থ হলো আপনার ব্লগ সাইটে কতজন ভিজিটে এসেছে, কোথায় থেকে এসেছে, সর্বশেষ পোস্টে কতগুলো ভিজিটে এসেছে সকল কিছু পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।
Comments: আমরা সকলেই পরিচিত এই ওয়ার্ডটির সাথে। কমেন্টস হলো কোন কিছুর ওপরে মন্তব্য করা। ঠিক এখানেও সকলেই মন্তব্য করতে পারবে। যদি কেউ খারাপ মন্তব্য করে তাহলে আপনি সেটা ডিলিটও করে দিতে পারেন।
Earning: আমরা কিছুক্ষণ আগেও আলোচনা করেছি গুগোল অ্যাডসেন্স নিয়ে। এটা মূলত গুগোল অ্যাডসেন্স যুক্ত করার একটি টুলস। তবে আমরা এখানে ভুলেও কোন প্রকার ক্লিক করবো না। কারণ আমরা গুগোল অ্যাডসেন্স আলাদাভাবে এটিকে যুক্ত করব।
Pages: পেজেস এটি হলো পেজ তৈরির একটি টুল। আমরা যদি বিভিন্ন ওয়েবসাইট ঘুরে দেখি বেশ কিছু পেজ আছে যেমন: যোগাযোগ, নীতিমালা, টার্মস এন্ড কন্ডিশন ইত্যাদি ইত্যাদি। এই সকল পেজগুলো মূলত এই Pages থেকে তৈরি করা যায়।
Layout: এখানে আপনি আপনার ব্লগের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের gadget রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করতে পারবেন। অর্থাৎ আপনার ব্লগ সাইটকে কাস্টমাইজ করার জন্য এটি হলো মূল টুলস।
Theme: আপনি যখন কোন থিম বসাবেন তখন আপনাকে এই টিলসের ব্যবহার করতে হবে। ব্লগে বাই ডিফল্ড বেশকিছু থিম দেওয়া আছে সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। অথবা বাইরে থেকে থিম নিয়ে সেখানে বসাতে পারবেন।
Settings: সেটিংস এ আপনি বিভিন্ন ধরণের কাজ করতে পারবেন যেমন: ব্লগের নাম পরিবর্তন করতে পারবেন, আপনার প্রোফাইলের ইনফরমেশন পরিবর্তন করতে পারবেন, আপনার ব্লগ সাইটের ডেসক্রিপশন লিখতে পারবেন অর্থাৎ মানুষ কেন আপনার ব্লগ সাইট প্রতিদিন ভিজিট করবে এই সম্পর্কে ২-৩ লাইন লিখে দিন এছাড়াও বিভিন্ন ধরণের কাজ করতে পারবেন।
ব্লগার (Blogger) VS ওয়ার্ডপ্রেস (WordPress)
ব্লগার (Blogger) VS ওয়ার্ডপ্রেস নিয়ে অনেকের মনেই অনেক কনফিউশন থাকে কে কোনটা ব্যবহার করবেন। মূলত দুটি ওয়েবসাইট থেকেই ইনকাম করা খুব সহজ। তবে কিছু সুবিধা অসুবিধার বিষয় কাজ করে। আমরা পূর্বেও জেনেছি ব্লগার একদম ফ্রি একটি ওয়েবসাইট কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেস সম্পূর্ণ ফ্রি নয়। এখানে আপনাকে কিছু একটা অ্যামাউন্ট দিয়ে ব্লগ সাইট পরিচালনা করতে হয়। আপনি যদি বিনা কোন ইনভেস্টমেন্ট টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে ব্লগার আপনার জন্য সবথেকে বেস্ট ব্লগ সাইট।
আরো পড়ুনঃ ব্লগারে গুগোল অ্যানালিটিক্স এ্যাড করার নিয়ম ২০২৪
ওয়ার্ডপ্রেসে বেশ অনেক ধরণের প্লাগিং রয়েছে যেগুলো দিয়ে আপনি খুব সহজেই আপনার ওয়েবসাইটকে কাস্টমাইজ করে সাজাতে পারবেন। আর ব্লগারে আপনাকে কাস্টমাইজ করতে হলে একটু টেকনিকস অবলম্বন করতে হবে। যেহেতু আপনি এটি ফ্রিতে ব্যবহার করবেন। মূলত ওয়ার্ডপ্রেস তারাই ব্যবহার করে যারা অনলাইন ব্যবসার সাথে জড়িত। আর আপনি যদি ব্লগার হয়ে কাজ করতে চান অর্থাৎ গুগোল অ্যাডসেন্স থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে ব্লগারের বিকল্প নেই।
ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয়
ব্লগ থেকে আয় করার জন্য কিসের এপ্রুভাল প্রয়োজন হয় এই বিষয়টি আজকের এই হেডিং এ জেনে নিন। এতোক্ষণ আমরা ব্লগের আদ্যোপান্ত ধারণা নিলাম আসলে ব্লগ কি, কীভাবে কাজ শুরু করবেন, ধাপসমূহ সহ আরো অনেক কিছু। ব্লগ সাইট পরিচালনার মূল কারণ হলো ইউনিক ইউনিক আর্টিকেল লিখা এবং পাঠকের মন জয় করা। যাতে আর্টিকেলটি পড়ে সে মনমুগ্ধ হয়। কারণ ব্লগিং ভিজিটর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আরো পড়ুনঃ গুগোল সার্চ কনসোলে ওয়েবসাইট সাবমিট করার নিয়ম ২০২৪
কারণ ভিজিটর যত বেশি হবে তত দ্রুত ব্লগারে গুগোল অ্যাডসেন্স এপ্রুভাল হবে। ব্লগ থেকে আয় করার জন্য গুগোল অ্যাডসেন্স এপ্রুভাল এর প্রয়োজন হয়। কারণ আমরা যারা ব্লগার তাদের প্রধান ইনকাম আসে এই গুগোল অ্যাডসেন্স থেকে। এইক্ষেত্রে একটি বিষব অবশ্যই মনে রাখতে হবে আর্টিকেল যেম মানসম্মত হয়। পাঠক যেন আপনার আর্টিকেল পড়ে মজা হয়। যখন আপনার আর্টিকেল পড়ে মজা পাবে ওই পাঠক বার বার আপনার ওয়েবসাইটে আসবে। আর আপনার ইনকাম ঠিক তত বাড়বে।
ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়
ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায় সকলেরই একটি আগ্রহের একটি বিষয়। আসলে আগ্রহের বিষয় হবেই বা না কেন? আপনি যে কাজটি করবেন সেি কাজ করে কত টাকা ইনকাম করবেন এটি না জানলে তো হবে না। এই ইনকাম সম্পূর্ণ আপনার ওপর নির্ভর করছে। কারণ এটি প্যাসিভ ইনকাম। কোন বায়ারের ওপর এই ইনকাম নির্ভর করে না। আপনি এখান থেকে যত টাকা ইনকাম করবেন এটি সম্পূর্ণ আপনার নিজের টাকা। এখানে কারো নির্ভর করার কোন প্রয়োজন নেই।
আমি আগেও বলেছি, আপনার আর্টিকেল যত মানসম্মত হবে আপনার ইনকাম তত দ্রুত ও বেশি হবে। ব্লগিং করে মাসে কত টাকা ইনকাম করবেন এটার কোন বাধ্যবাধকতা নেই। এটা যেহেতু সম্পূর্ন আপনার ওপর নির্ভর করে সেহেতু এই ইনকামের কোন লিমিট নেই। প্রাথমিক অনবস্থায় আপনি মাসে ১০,০০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে যারা প্রফেশনালি কাজ করছে তারা মাসে লাখ টাকার ওপরে ইনকাম করছে। তাহলে হয়তো বুঝেই গেছেন এই কাজের ইনকাম কেমন। তাই আপনিও শুরু করে দিন এখনই।
- বাংলা ব্লগে মাসে সর্বনিম্ন ১০০-২৫০ ডলার ইনকাম করা সক্ষম। তবে আর্টিকেল এর মান গুণগত হলে এটি ১০০০ ডলারও ছাড়িয়ে যায়।
- যারা ইংরেজি ব্লগ লিখে তাদের আয়ের পরিমাণ বেশি। ইংরেজি ব্লগ থেকে বেশির ভাগ মানুষ মাসে সর্বনিম্ন ৩০০-৫৫০ ডলার ইনকাম করে থাকে আর যারা ভালো মানের আর্টিকেল লিখে তারা মাসে ১০,০০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে।
আজকের পোস্ট বিষয়ক সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন
১। ব্লগিং থেকে আয় করার সেরা উপায় কী কী?
উত্তরঃ ব্লগিং থেকে আয় করার কিছু জনপ্রিয় উপায় হলো:
- বিজ্ঞাপন: Google AdSense বা অন্যান্য বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে।
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের লিঙ্ক শেয়ার করে কমিশন আয় করা।
- স্পন্সরড পোস্ট: কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিয়ে পোস্ট লিখে।
- ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি: ই-বুক, কোর্স ইত্যাদি বিক্রি করা।
- সাবস্ক্রিপশন মডেল: প্রিমিয়াম কনটেন্টের জন্য সাবস্ক্রিপশন ফি নেওয়া।
২। ব্লগিং শুরু করার জন্য কী কী প্রয়োজন?
উত্তরঃ ব্লগিং শুরু করতে হলে প্রথমে একটি ব্লগ প্ল্যাটফর্ম (যেমন: WordPress/Blogger) বেছে নিতে হবে, একটি ডোমেইন নাম এবং হোস্টিং সার্ভিস (Blogger ফ্রি) কিনতে হবে। এরপর নিয়মিত মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করতে হবে এবং SEO (Search Engine Optimization) এর মাধ্যমে ট্রাফিক বাড়াতে হবে।
৩। ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা সম্ভব?
উত্তরঃ ব্লগিং করে আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে ব্লগের জনপ্রিয়তা এবং মনিটাইজেশন পদ্ধতির উপর। কিছু ব্লগার মাসে কয়েকশো ডলার আয় করেন, আবার কিছু ব্লগার মাসে হাজার হাজার ডলার আয় করতে পারেন।
৪। বাংলা ব্লগিং করে কি আয় করা যায়?
উত্তরঃ বাংলা ব্লগিং করে আয় করা সম্ভব, তবে ইংরেজি ব্লগিংয়ের তুলনায় আয় কম হতে পারে। তবে, মানসম্পন্ন কনটেন্ট এবং সঠিক মনিটাইজেশন পদ্ধতি ব্যবহার করে ভালো আয় করা সম্ভব।
আমাদের শেষকথা
প্রিয় পাঠক, আজকের আর্টিকেলে আমরা জানলাম, ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়, ব্গ তৈরির নিয়ম, কীভাবে শুরু করবেন, কীভাবে শিখবেন তার সম্পূর্ন গাইডলাইন, মাসে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন সকল কিছু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। তাই আপনি চাইলেই এখন থেকেই আপনিও ব্লগ শুরু করে দিতে পারেন। ধৈর্য্য ধরে কাজ করলে সাফল্য আসবেই। আর একবার গুগোল অ্যাডসেন্স এপ্রুভাল করাতে পারলে মাসে ভালো একটি এমাউন্টের টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এইরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল পেতে আমাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত ভিজিট করুন। কারণ আমরা আমদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরণের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি।
আবির ইনফো টেকের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url